৭টি সরকারি স্কুলে ভর্তি পরীক্ষার অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন অভিভাবকরা

৭টি সরকারি স্কুলে ভর্তি পরীক্ষার অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন অভিভাবকরা

খুলনার ৭টি সরকারি স্কুলে ভর্তি পরীক্ষার অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন অভিভাবকরা।

স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে উত্তীর্ণ কোমলমতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকালে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান মো. সেলিম হোসেন। এসময় শতাধিক অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শনিবার সকালে অনলাইনে ত্রুটির কথা জানিয়ে স্থগিত করা স্কুলগুলোর ৩য় ও ৬ষ্ঠ শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল পুনরায় ঘোষণা করা হয়। খুলনা জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পরীক্ষার ফলাফল পুন:মূল্যায়নের সময় ৬টি স্কুলের ফলাফলে গরমিল ধরা পড়ে। এ কারণে পূর্বের ঘোষিত ফলাফল স্থগিত করে নতুন ফলাফল প্রকাশ করা হলো।

জানা যায়, গত ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত খুলনা মহানগরীর ৭টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩য় ও ৬ষ্ঠ শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়। এরপর ফলাফলে ত্রুটি ধরা পরায় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে খুলনা জেলা প্রশাসক আমিন-উল আহসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ঘোষিত ফলাফল স্থগিত করা হয়। ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী তিনি জেলা সদরের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি কমিটি-২০১৭ এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে অভিভাবকরা জানায়, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে প্রকাশ করা নতুন ফলাফলে শুধুমাত্র জিলা স্কুলের দিবা শাখায় ৫৬ জন বাদ পড়েছে। অন্য স্কুলগুলো মিলিয়ে এ সংখ্যা শতাধিক। তারা জানান, এতগুলো স্কুলের ফলাফল গরমিল প্রমাণ করে ভর্তি পরীক্ষায় দুর্নীতি হয়েছে। তারা তদন্তপূর্বক দুর্নীতিতে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন। একই সঙ্গে পূর্বে ঘোষিত ফলাফল বহাল রাখার দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি, স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেওয়া খুলনা জিলা স্কুলের তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে প্রথম ফলাফলে ৩৫তম স্থান করা মুশফিক শাহরিয়ারের মা শামীমা আক্তার বলেন, আমার ছেলে জিলা স্কুলের ডে শিফটের ভর্তি পরীক্ষায় ৩৫তম হয়। আমাদের ভর্তি ফরম দিয়েছে সেটি পূরণ করে জমা দিতে গিয়ে দেখি নোটিশ বোর্ডে অন্য রেজাল্ট দিয়েছে। ২১ তারিখের ফলাফলে আমার ছেলে উত্তীর্ণ হয়। আর ২৩ তারিখের ফলাফলে তার নামসহ ১-৫৬ পর্যন্ত বাতিল হয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের দাবি আগের রেজাল্ট বহাল থাকুক। সব স্কুলে ভর্তি হয়ে গেছে এসব বাচ্চাদের এখন কোথায় ভর্তি করবো। এ দুশ্চিন্তায় সময় কাটছে।সংবাদ সম্মেলনের আগে বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা প্রেসক্লাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এ সময় অনেক শিক্ষার্থীকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়তে দেখা যায়।

এ বিষয়ে খুলনা জেলা প্রশাসক আমিন-উল আহসানকে বার বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

 

আরো পড়ুন:

ভুল সিদ্ধান্তের কারণে স্কুলে ভর্তি হতে পারছে না সারাদেশের লক্ষাধিক শিক্ষার্থী

৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে সব মাধ্যমিক সরকারি স্কুলে ভর্তি শেষ করার সিদ্ধান্ত

৪০ শতাংশ এলাকা কোটার সংরক্ষণ করার নির্দেশনা দিয়ে স্কুলে ভর্তির নীতিমালা প্রণয়ন

প্রশ্নফাঁস প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ৩৯৫ স্কুলের পরীক্ষা স্থগিত

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের দিবা শাখায় ভর্তি অনুষ্ঠিত হয়েছে

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline