
প্রথম, দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ায় বরগুনা সদর ও বেতাগী উপজেলার ৩৯৫টি প্রাথমিক স্কুলের ১৭ ডিসেম্বরের (রোববার) পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
অপরদিকে, রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় বিকেলের চতুর্থ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সকালেই শিক্ষার্থীর হাতে পৌঁছে যায়। পরে বিকেলে পরীক্ষা শুরুর পর দেখা যায় সকালে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সঙ্গে মূল প্রশ্নের হুবহু মিল। বরগুনা সদরে স্কুল ২৫৫টি। আর বেতাগীতে ১৪০টি।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার পর বরগুনার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মজিদ প্রথমে সদর উপজেলায় এবং পরে বেতাগী উপজেলা শিক্ষা অফিসে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করে পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন।
এসময় এ ঘটনা তদন্তের জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুস সালামকে প্রধান করে দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্য হলেন, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের (ইউআরসি) ইনস্ট্রাক্টর কেএম শহিদুল্লাহ।এ কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুস সালাম জানান, রোববার উপজেলার ১৪০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শ্রেণির গণিত পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এ পরীক্ষার তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে।
এদিকে রাজশাহীর বাঘায় মণিগ্রাম এলাকায় রোববার সকালে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের হাতে হাতে চতুর্থ শ্রেণির গণিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেখা যায়।
শিশু সন্তানের হাতে পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র দেখে উদ্বিগ্ন এক অভিভাবক দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, ‘শিক্ষাব্যবস্থার মূলে পচঁন ধরেছে। আগে অভিভাবকদের শপথ নিতে হবে তারা প্রশ্নের পেছনে ঘুরবেন না। তারপর ফাঁসকারীদের পাকড়াও করতে হবে।’
আরো পড়ুন: