আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকো তাহলে এই ১০ টা পয়েন্ট শুধু আপনার জন্যই। ইশিখন.কম শিক্ষা নিয়ে সবর্দা শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন, এটি তারই ধারাবাহিকতার অংশ।
১. Software (সফ্টওয়্যার): আমরা একটা ডিজিটাল জগতে বসবাস করি। সুতরাং, এই ডিজিটাল জগতে আপনার এগিয়ে যাবার মেইন অস্ত্র হচ্ছে আপনি কোন সফটওয়্যারগুলো সবচেয়ে ভালো জানো।
খুব সহজভাবে বলতে গেলে, আপনি যদি অফিশিয়াল এক্টিভিটিতে ইনভলব এবং পারদর্শী হতে চান তাহলে আপনার জন্য অফিস স্যুট- MS Word, MS Excel, MS powerpoint- এই তিনটা সফটওয়্যারে আজ থেকে দক্ষতা অর্জনে লেগে পড়ুন। কারন, এই সফটওয়্যার গুলো আপনি যদি ভালো করে জানো তাহলে এই ডিজিটাল দুনিয়ার যত্তগুলা লড়াই আছে, প্রতিটিতেই আপনি ইজিলি সাফল্যের দুয়ারে পৌছতে পারবে।
ইশিখন.কম শিক্ষক ও অন্যান্য স্বনামধন্যদের সাথে সময় যোগাযোগ রাখুন।
২. Mentor(মেন্টর): আপনার কলেজ, আপনার ইউনিভার্সিটি, আপনার পাড়া- যেখান থেকে পারবে এমন একজন সিনিয়রকে খুজে বের করে যার সাথে সবসময় যোগাযোগ রাখবে, যে তোমাকে গাইড করবে। মেন্টর ছাড়া উন্নতি করাটা অনেকটাই সম্ভব।
৩. Extra co-curricular activity: সামাজিক কার্যক্রম: শিক্ষার্থীদের সফলতার জন্য এক্সট্রা কারিকুলার একটিভিটি গুরুত্বপুর্ণ।অনেকেরই hobby জিজ্ঞেস করলে জানা যায়, তাদের hobby হচ্ছে ফেসবুকিং, এটাকে খুব খারাপ অবশ্য আমি বলছি না বাট ফেসবুকিং করে খুব বেশি প্রোডাক্টিভ কাজ আসলে করা যায় না। এতে করে নিজেদেরও কিন্তু সেভাবে ডেভেলপ হচ্ছে না। তাই নিজেকে ডেভেলপ করার জন্য হলেও কোন Extra curricular করতে পারেন।
যারা BBA-র শিক্ষার্থী তারা বেশি করে বিজন্যাস কম্পিটিশনে পার্টিসিপেট কর, আইডিয়া কন্টেস্টে এ পার্টিসিপেইট কর, Entrepreneur contest এ পার্টিসিপেট করা শুরু কর, বিদেশের কম্পিটিশন গুলোতে পার্টিসিপেট করা শুরু কর, বিভিন্ন কেস সল্ভিং কম্পিটিশন হয়, সেগুলোতেও চাইলে পার্টিসিপেট করতে পারেন। ভলান্টিয়ারিং কর- এই কাজগুলো শুধু আপনাদের self development-এর জন্য।
তাই আজকে থেকেই কোন না কোন co-curricular এক্টিভিটিতে involv হওয়ার চেষ্টা কর
খোঁজ রাখো আপডেট বিশ্ব সর্ম্পকে
৪. Corporate grooming কর্পোরেট গ্রুমিং: তোমাকে কিছু না কিছু আচার, নিয়ম কানুন, কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডে কি হচ্ছে সে সব কিছু জানতে হবে। সেটা জানার জন্য যদি তোমাকে কোন সিরিজ দেখতে হয়, কোন অফিসে ভিজিট করতে হয়, ইউটিউবের ভিডিও দেখতে হয়, যেটি করার দরকার কর কিন্তু কর্পোরেটে প্রবেশের পূর্বে তোমাকে অবশ্যই কিছু বেসিক আইডিয়া থাক্তেই হবে কর্পোরেট কালচার সম্পর্কে।
৫. CV: আপনার যে ড্রিম জব আর আপনি- এই দুইটার মাঝখানে যেটা থাকে সেটা হচ্ছে আপনার সিভি। আপনি যেসব জায়গায় যেতে পারবে না সেসব জায়গায় পৌছাবে আপনার সিভি। তাই, CV টা কিন্তু অনেক বেশি পরিমানে ইম্পরট্যান্ট।
অনেকেই ভাবে, 4th yera শেষ হবার পর CV লিখবো, কিন্তু আমার যেটা মনে হয় আপনার ইউনিভার্সিটির একদম প্রথম বর্ষেই আপনার CV টা বানিয়ে ফেলা দরকার। কেন জানো?
কারন, আপনি যখন সিভিটা এডিট করতে যাবে দেখবে আপনার CGPA ছোট্ট একটা চেঞ্জ বাদে আর কিছু এডিট করার মত নেই। যেটা পড়ে আপনার মনে পরবে লাস্ট সেমিস্টারে আপনি এমন কিছু করনি যেটা সিভিতে উল্লেখ করা যায়।
তাই, এখনই একটা CV লিখে ফেলো এবং প্রতি সেমিস্টার পর CV টা এডিট করার চেষ্টা কর এডিট করার জন্য যদি আপনি কিছু না পাও তাহলে বুঝবে সেটা আপনার জন্য একটা ALARM..!! এতেই প্রমান হবে, আপনি গত সেমিস্টারে কিছুই করনি।
সমস্যা সমাধান সফলতার গুরুত্বপূর্ণ চাবিকাঠি
৬. Problem solving: একটা প্রবলেম সল্ভ করার চেষ্টা না করে অহেতুক প্রশ্ন করাটা সবার কমন একটা অভ্যাস। সফল হওয়ার জন্য এই পরামর্শটিও গুরুত্বপুর্ণ। এই অভ্যাসটাকে দূরে সরিয়ে রেখে কাজের দিকে মনোযোগ দিতে হবে… Get it Done!!
প্রবলেম , কাজ যেটাই বলি না কেন সেটার সমাধানের জন্য দরকারী রিসোর্স, নলেজ গ্যাদার করা, কারো হেল্পের দরকার পড়লে হেল্প নেওয়া যেটি করার কর বাট প্রবলেম সল্ভিং এর এনালিটিক্যাল এবিলিটি টা এচিভ করা খুবই গুরুত্বপূর্ন।
নিজের মতামত এবং নিজেকে তুলে ধরা/প্রেজেন্টেশন
৭. Presentation: ইউনিভার্সিটি লাইফে সবচেয়ে ভয়ংকর একটা জিনিস হলো (অনেকের মতে) PRESENTATION!! এটি শিক্ষার্থীদের সফলতার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ।
আমার এখনো মনে হয়, আমার ইউনিভার্সিটি লাইফের প্রথম প্রেজেন্টেশনের কথা। হাত কাপছিল, পা কাপছিল, গলা শুকিয়ে যাচ্ছিলো, টয়লেটের প্রেশার আসলো- বিতিকিচ্ছিরি একটা অবস্থা!! কিন্তু একটা জিনিস যেটা আমাকে শিখিয়েছে। আপনার লাইফে যে প্রেজেন্টেশন গুলো হয় এগুলোই নির্ধারন করে তোমাকে মানুষ কি হিসেবে চিনবে।
শুধুমাত্র, সবার সামনে গিয়ে হড়বড় করে কিছু বলাটা কিন্তু প্রেজেন্টেশন না, আপনার জীবনের প্রতিটা মুহূর্তকেই কিন্তু আপনি প্রেজেন্ট করছো।
তাই, যাদের প্রেজেন্টেশনের সময় অনেক ভয় থাকে তারা প্লিজ ভয়টাকে দূরে সরিয়ে প্রেজেন্টেশন স্কিলটা ডেভেলপ করার চেষ্টা কর
ইংরেজীতে দক্ষতা বাড়ানো
৮. English: এটা আন্তর্জাতিক একটা ভাষা, জানতেই হবে, কোন মাফ নেই। আজকে ইংরেজী কালকে ম্যান্দারিনও হতে পারে।
You have to know one or more language other than your mother tongue.
ইশিখন এর ফ্রি অরিয়েন্টেশন ক্লাসে অংশগ্রহণ/ডিজিটাল অরিয়েন্টেশন
৯. Digital orientation: এটা আমার খুব ফেভারিট একটা পয়েন্ট, আমাদের সবারই একটা করে ডিজিটাল প্রোফাইল আছে। যেমন- ফেসবুক, টুইটার, লিংকডিন ইত্যাদি। এই জিনিস গুলোকে আজকে থেকেই ভালোভাবে ইউজ করা শুরু কর কারন, এই প্রোফাইল গুলো আপনার ক্ষেত্রে এক বিশাল “Networking opportunity” হতে পারে।
আপনি যে কাজ করতে পছন্দ কর, যে কাজগুলোতে আপনার প্যাশন বিদ্যমান, সেই কাজের বহিঃপ্রকাশ কিন্তু হতে পারে আপনার ফেসবুক প্রোফাইল।
আপনি যে কাজটার পেছনে লেগে আছো সেই কাজটার একটা page কিন্তু আপনি অপারেট করতে পারেন ফেসবুকে।
আপনি যে কর্পোরেটের মানুষের সাথে আজকে দেখা করলে বা কোন একটা ইভেন্টে যারা আপনার বিচারক ছিল তাদের সাথে ফেসবুকে কানেক্ট কর, তারা যেন তোমাকে চেনে। তাহলে, নেক্সট টাইমে তাদের কাছে যখন আপনি জবের জন্য যাবে, আপনার ফেস দেখা মাত্র তাদের যেন সাথে সাথে মনে পড়ে যায় – “আচ্ছা এই ছেলেটা তো অনেক ভাল, ওর ফেসবুক প্রোফাইলে দেখতাম সে অনেক কাজ করে। তো, “একেই তাহলে আমাদের চাকরির জন্য দরকার।”
প্রতিদিন নতুন নতুন বন্ধুদের সাথে পরিচয়/নেটওয়ার্কিং
১০. Networking: যোগাযোগ করা অথবা রক্ষা করা মানুষের সাথে , কার সাথে কোন পদ্মতিতে সেটা আপনার ওপর ডিপেন্ড করে। সো, সবার সাথে সর্বদা যোগাযোগ রক্ষা করার চেষ্টা করতেই হবে।
নিজেকে কিভাবে প্রকাশ করবে, আপনি কার সাথে যোগাযোগ রাখবে কোন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ধরা যাক- সেটা ঈদের গ্রিটিংস কিংবা বার্থডে গ্রিটিংস যে কোন ভাবে যোগাযোগ টা রাখতে হবে।
আরো দেখুন:
একটি আকর্ষণীয় সিভি তৈরি করার জন্য যে সকল বিষয় জানা দরাকার
নতুন চাকরিপ্রার্থীরা কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন
জেনে নিন কীভাবে লিখবেন কভার লেটার
ফোরাম প্রশ্নোত্তর – চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য কিছু পরামর্শ
শিক্ষার্থীদের সফলতার ১০টি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
ইন্টারভিউয়ের আগেই ৫টি করণীয় জেনে নিন
বিসিএস ভাইভার খুটি নাটি
মনের মত চাকরি পাওয়ার ১০টি পরীক্ষিত উপায়!
বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতির জন্য যেটি দরকার
সকল ক্যাডারদের জন্য কমন প্রশ্ন
0 responses on "শিক্ষার্থীদের সফলতার ১০টি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ"