একটি আকর্ষণীয় সিভি তৈরি করার জন্য যে সকল বিষয় জানা দরাকার

একটি আকর্ষণীয় সিভি তৈরি করার জন্য যে সকল বিষয় জানা দরাকার

একটি আকর্ষণীয় সিভি তৈরি করার জন্য যে সকল বিষয় জানা দরাকার

সিভি বা কারিকুলাম ভাইটা ( Curriculum Vitae ) : সিভি হল একজন চাকরী প্রার্থীর জীবনের দক্ষতার পাতা যেটি দেখে একটা কোম্পানি আপনাকে প্রথম ধাপে মূল্যায়ন করবে। কোন কোম্পানি আপনাকে তার কোম্পানিতে আবেদন করার জন্য সিভি পাঠাতে বলেছে , কিন্তু আপনি চিন্তিত কিভাবে সিভি তৈরি করবেন। চিন্তার কোন কারণ নাই, আমরা আপনাকে দিচ্ছি কি ভাবে একটি কার্যকরী সিভি তৈরি করবেন তার কৌশল।

১. একটি সিভিতে সাধারণত যে সকল তথ্য দিতে হয় :

বেশিরভাগ সিভিতে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, কাজের দক্ষতা, আপনার পছন্দ, অর্জন এবং আপনাকে সনাক্তকারীদের  বিবরণ থাকতে হবে। অভিজ্ঞ মানুষ আপনার সিভি মূল্যায়ন করবে তাই একটি আধুনিক ও পেশাদারি সিভি তৈরি কর

২. যে পদের জন্য আবেদন করেন বা করছেন তা মূল্যায়ন কর : কোম্পানি নিয়ে গবেষণা কর, কোম্পানির উদ্দেশ্য কি ? কি নিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। একজন চাকরি প্রার্খীর কাছে তারা কি চায় ? আপনি যে পদের জন্য আবেদন করছেন সেখানে কি কি দক্ষতা আপনার থাকা প্রয়োজন। তাই সব কিছুসিভি তৈরি করার সময় খেয়াল রাখতে হবে।

৩. কোম্পানির ওয়েবসাইটে গিয়ে সিভি তৈরির অনুসঙ্গ লিখুন : দেখে নিন সিভি তৈরি করার জন্য নির্দিষ্ট কোন তথ্য কোম্পানি তাদের ওয়েবসাইটে দিছে কি না। তবে সব সময় আবেদন প্রক্রিয়ায় কিছু নির্দেশনা  থাকে তা দু্ই তিন বার পড়ে নিন। যাতে নির্দেশনা অনুযায়ী সিভি তৈরি করতে পারেন।

৪. যে যে কোম্পানিতে চাকরি করছেন তার তালিকা দিন : আপনি বর্তমানে কোথাও চাকরি করতেছেন কি না অথবা অতীতে কোথায় ও চাকরি করেছেন কি না তা উল্লেখ কর মোট কত বছর চাকরি করছেন কবে যোগদান ও ছেড়ে দিছেন তা উল্লেখ কর

৫. আপনার ( Hobby )  বা শখ উল্লেখ কর : ব্যতিক্রম ধর্মী চিন্তা ও শখ আপনাকে অনেকের মধ্যে অন্যতম করবে এমন কিছু গুণের কথা উল্লেখ কর, যেটি আপনাকে একের ছেয়ে দলগত ভাবে কাজ করতে আগ্রহী বুঝায়। কারণ কোম্পানি এমন কিছু লোক চায় যারা সবার সাথে দলগত ভাবে কাজ করতে পারে এবং প্রয়োজনে যে কোন কঠিন পদক্ষেপ নিতে পারে।

( ক ). যে অভ্যাস বা কাজ গুলো পজিটিভ দিক তুলে ধরে। যেমন – ফুটবল দলের অধিনায়ক হওয়া, এতিমের জন্য দাতব্য কাজ পরিচালনা করা।

( খ ). যে অভ্যাস গুলো নিষ্ক্রিয় ও একার ক্ষেত্রে সম্পাদন যোগ্য। যেমন – টিভি দেখা, পড়া, এরকম কিছু যদি সিভিতে যোগ করতে চান তাহলে পজিটিভ কারণ ব্যাখ্যা কর যেমন – ধরুন আপনি একটি প্রকাশনা সংস্থায় কাজ করতে চান, তখন উল্লেখ করা যেতে পারে আমি মাইকেল টু আইন বা হেমিং ওয়ে পড়তে ভালবাসি কারণ তাদের সময়ে এই লেখা গুলো অনেক যুগ উপযোগী ছিল।

৬. প্রয়োজনীয় দক্ষতার  একটি তালিকা তিকর : এই দক্ষতার  মধ্যে কম্পিউটার দক্ষতা যেমন – প্রেস, এক্সেল, ওয়েব ডিজাইন , কোন ভাষা যার উপর আপনার দক্ষতা সর্বোপরি যদি কোম্পানি নির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ করে তাহলে উল্লেখিত ভাষা সম্পর্কে আপনার অর্জন লিখুন। যেমন – ধরুন আপনি পত্রিকার একজন লেখক হতে চান এ ক্ষেত্রে আপনি উল্লেখ কর আপনি BBC স্টাইলে লিখতে পছন্দ করেন। যদি আপনি কোডিং জব এর জন্য আবেদন কর তাহলে উল্লেখ কর আপনি জাভা স্ক্রিপ্ট দিয়ে কাজ করতে পছন্দ করেন।

সিভি লেখার ক্ষেত্রে

১ . সিভির ফরমেট / বিন্যাস তৈরি কর : আপনি কি সিভির মধ্যে সকল অনুচ্ছেদ যোগ করতে চান। আপনি কি আপনার সকল তথ্যের তালিকা তৈরি করতে চান। তাহলে সবচেয়ে পেশাদারী লাগে এমন সিভি তৈরি কর

২ . আপনার নাম, ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর, এবং ই-মেইল  ঠিকানা টি পাতার উপরে লিখুন । চাকরি দাতা যেন পুরো  সিভির মধ্যে আপনার নামটি নির্দেশ করতে পারে একটু বড় আকারে  আপনার নাম লিখুন।

উন্নত বিন্যাসের মধ্যে আপনার নামটি পৃষ্ঠার মধ্যবর্তী স্থানে হতে হবে। পৃষ্ঠার বাম কর্ণারে আপনার বাসার ঠিকানা মোটা অক্ষরে লিখুন। টেলিফোন নম্বর ও ই-মেইল ঠিকানা আপনার বাসার ঠিকানার ঠিক নিচেই লিখুন।

৩ . আপনার ব্যক্তিগত প্রোপাইল তৈরি : এটা সিভির একটি অতিরিক্ত অধ্যায় যেটি চাকরি দাতাকে আপনার সম্পর্কে বিশদ জানতে সাহায্য করবে। এখানে আপনি আপনার অর্জন অভিজ্ঞতা ও ব্যক্তিগত গুণের কথা লিখবেন। এটা হবে সত্য নির্ভর ও সুন্দর ভাবে লিপিবদ্ধকৃত। আপনাকে কিছু পজিটিভ  ( Adaptable, confident, determined  লিখতে হবে। যেমন একটি প্রকাশনা কোম্পানিতে আপনার ব্যক্তিগত Statement এমন হতে পারে—- An enthusiastic recent graduate looking for an entry level editorial position that will utilize organizational, and communication skills developed as a summer intern at city lights.

৪ . শিক্ষাগত যোগ্যতা অন্তর্ভুক্তি করণ : এই অপশন টা আপনার সিভির প্রথম হতে পারে অথবা অন্যান্য অপশনের পরে হতে পারে। আপনাকে সর্বশেষ অর্জিত ডিগ্রি দিয়ে শুরু করতে হবে এরপর ক্রমান্বয়ে লিখবেন।

৫ . আপনার কাজের অভিজ্ঞতা লিখুন : উল্লেখ কর আপনি বর্তমানে কোথাও চাকরিরত কি না অথবা অতীতে কোথাও চাকরি করতেন কি না।

৬ . আপনার যোগ্যতা ও অর্জন নিয়ে লিখুন : পূর্ববর্তী কোন কোম্পানিতে কাজ করলে অর্জিত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার বিবরণ লিখুন।

৭ .  যে যে অভ্যাস গুলো আপনার পজিটিভ দিক কে তুলে ধরে সে গুলো লিখুন।

৮ . Reference লিপিবদ্ধ কর : যথাযথ  ভাবে কমপক্ষে দুই জন ব্যক্তির Reference  দিন। তাদের নাম, ঠিকানা, কর্ম ক্ষেত্র উল্লেখ কর

আরো দেখুন:

একটি আকর্ষণীয় সিভি তৈরি করার জন্য যে সকল বিষয় জানা দরাকার

নতুন চাকরিপ্রার্থীরা কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন

জেনে নিন কীভাবে লিখবেন কভার লেটার

ফোরাম প্রশ্নোত্তর – চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য কিছু পরামর্শ

শিক্ষার্থীদের সফলতার ১০টি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ

ইন্টারভিউয়ের আগেই ৫টি করণীয় জেনে নিন

বিসিএস ভাইভার খুটি নাটি

মনের মত চাকরি পাওয়ার ১০টি পরীক্ষিত উপায়!

বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতির জন্য যেটি দরকার

সকল ক্যাডারদের জন্য কমন প্রশ্ন

মন্তব্য করুন

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline