ফোরাম প্রশ্নোত্তর – চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য কিছু পরামর্শ

চাকরি পরীক্ষার লিখিত ও এমসিকিউ প্রস্তুতির জন্য ইশিখন.কম এ প্রতিটি বিষয়ের প্রতিটি অধ্যায়ের উপর রয়েছে শত শত লেকচার। যেটি থেকে প্রায় ৬০% থেকে ৯০% বিভিন্ন পরীক্ষায় কমন আসে।

চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য কিছু পরামর্শ

চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য কিছু পরামর্শ

১. অল্প অভিজ্ঞতা সিভিতে উল্লেখ করার দরকার নেই

আগের চাকরির অভিজ্ঞতা জীবন বৃত্তান্তে উল্লেখ করাটাই নিয়ম।তবে, খুব জরুরি না হলে যে সব প্রতিষ্ঠানে আপনার কাজ করার অভিজ্ঞতা ছয় মাসের কম সেটা সিভিতে লেখার কোন প্রয়োজন নেই। এ ধরনের অল্প অভিজ্ঞতাগুলো নিয়োগকর্তার মনে বেশ কিছু প্রশ্নের জন্ম দেয়। তারা প্রশ্ন করতে পারে, ‘আপনি কি সেখানে অযোগ্য বিবেচিত হয়েছিলেন? ’ কিংবা ‘আপনার সহকর্মীদের সঙ্গে কোনো ঝামেলা হয়েছিল ‘ এ ধরনের প্রশ্ন।
Job Interview Tips

২. চাকরির জন্য আরও আবেদন করেছি

অন্য কোথাও পড়ালেখার জন্য বা চাকরির জন্য আবেদন করতেই পারেন। কিন্তু এ বিষয়গুলো ইন্টারভিউতে বলার দরকার নেই। সাধারণত নিয়োগকর্তার চাওয়া আপনি আগামীতে অন্য কোনো কাজে নিয়োজিত না হয়ে শুধু তাদের কাজেই সময় ব্যয় করবেন।

৩. আগের চাকরির অভিজ্ঞতা ভালো ছিল না

ইন্টারভিউয়ের সময় আগের চাকরির বাজে অভিজ্ঞতার বিষয়ে বলা হলেও সেটা তারা বিশ্বাস নাও করতে পারেন। আগের অফিসের ম্যানেজমেন্ট খারাপ ছিল, কাজের প্রচণ্ড চাপ ছিল ইত্যাদি কথা বলা হলে সেটি আপনার জন্য মোটেও ইতিবাচক কিছু হবে না। নিয়োগকর্তারা মনে করতেই পারে, আপনার সহনশীলতা কম অথবা আপনি চাকরি করার জন্য উপযুক্ত নন।

৪. রেফারেন্সের গুরুত্ব

জীবন বৃত্তান্ত লেখার সময় রেফারেন্স দিতেই হবে। এক্ষেত্রে আপনার পূর্ববর্তী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, কিংবা শিক্ষালয়ের দায়িত্বশীল কাউকে রেফারেন্স হিসেবে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। এ এটি না দিলে নিয়োগকর্তা ভেবে বসতে পারেন কোন বিশেষ সমস্যা থাকার কারণে আপনি রেফারেন্স উল্লেখ করেননি।

৫. অন্য পদে চলে যাবার সম্ভাবনা

কোনো পদে আপনি যখন চাকরির জন্য আবেদন করবেন তার মানে হল সে পদে অন্তত দুই বছর আপনি থাকবেন। যদি ইন্টারভিউ বোর্ডে আপনি বলে ফেলেন, এ পদটি আপনার প্রধান লক্ষ্য নয় অন্য কোনো পদে আপনি চলে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে, তাহলে তা অবশ্যই তাদের দুশ্চিন্তার কারণ হবে। এতে যে ম্যানেজম্যান্ট কাজের প্রয়োজনে আপনাকে নিয়োগ দিতে চান, তিনি শঙ্কিত হয়ে পড়বেন এবং আপনার চাকরির সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে আসবে।

৬. অফিসে যাতায়াতের বিষয়

ইন্টারভিউ বোর্ডে আপনি যদি জানিয়ে দেন যে, অফিসটিতে আপনার যাতায়াত কষ্টকর এবং অন্য কারো সাথে  আপনি এখানে যাতায়াত করছেন তাহলে সেটা ম্যানেজমেন্টের মনে উদ্বেগের সৃষ্টি করবে। চাকরি দেয়া হলে আপনি সঠিক সময়ে যাতায়তে সক্ষম কি না, এ এটি নিয়েই তারা মূলত উদ্বিগ্ন হবেন।

৭. কাজের বাইরের আগ্রহ বলার দরকার নেই

আপনি যে নির্দিষ্ট পদে চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিচ্ছেন, কেবল সে বিষয়েই নিয়োগকর্তার আগ্রহ থাকে। ধরা যাক আপনি অ্যাকাউন্টেন্ট পদের জন্য আবেদন করলেন। ইন্টারভিউ বোর্ডে বলে বসলেন আপনি নিজে একটি  রেস্টুরেন্ট খুলতে চান, তাহলে তা সন্দেহ সৃষ্টি করতেই পারে।

বিজনেস ইনসাইডার অবলম্বনে

চলমান বিশ্ব, কারেন্ট আফেয়ার্স এর সকল আপডেট তথ্য পাবেন, আমাদের ব্লগে এবং আমাদের ফেসবুকে পেইজে facebook.com/eshikhon

আরো দেখুন:

একটি আকর্ষণীয় সিভি তৈরি করার জন্য যে সকল বিষয় জানা দরাকার

নতুন চাকরিপ্রার্থীরা কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন

জেনে নিন কীভাবে লিখবেন কভার লেটার

ফোরাম প্রশ্নোত্তর – চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য কিছু পরামর্শ

শিক্ষার্থীদের সফলতার ১০টি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ

ইন্টারভিউয়ের আগেই ৫টি করণীয় জেনে নিন

বিসিএস ভাইভার খুটি নাটি

মনের মত চাকরি পাওয়ার ১০টি পরীক্ষিত উপায়!

বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতির জন্য যেটি দরকার

সকল ক্যাডারদের জন্য কমন প্রশ্ন

মন্তব্য করুন

Need Help? Send a WhatsApp message now

Click one of our representatives below

Jannatul Ferdous
Jannatul Ferdous

Course Counsellor

I am online

I am offline

Md. Shamim Sweet
Md. Shamim Sweet

Course Counsellor

I am online

I am offline

Mehedi Hasan
Mehedi Hasan

Technical Support

I am online

I am offline

Rezaul Hasan Sarker
Rezaul Hasan Sarker

Course Counsellor

I am online

I am offline

Ariful Islam Aquib
Ariful Islam Aquib

Course Counsellor

I am online

I am offline