ভাইভা_প্রস্তুতি
মোঃ শরীফ উদ্দিন
সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট
বিসিএস (প্রশাসন)
।
যেকোন চাকুরির জন্য ভাইভা চাকরিপ্রার্থীদের জন্য একটি জলাতঙ্গকের নাম সেটা বিসিএস হউক ,ব্যাংক হউক কিংবা প্রাইভেট যেকোন চাকুরিই হউক। ভাইভা নিয়ে লিখতে গেলে অনেক কিছুই বলা যাবে ,লেখা যাবে কিন্তু পরিশেষে মনে হবে কিছুই হয় নাই। ভাইভা এমন একটি বিষয় যেখানে আপনি অনেক প্রস্তুতি নিয়ে ও ভাইভা বোর্ডে গিয়ে মনে হবে কিছুই পড়ে আসেন নাই বা মনে হবে যথেষ্ট প্রস্তুতি নেন নাই। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে এমনও হতে পারে যে আপনি নগন্য প্রস্তুতি নিয়ে ভাইভা বোর্ডে গেলেন, দেখলেন আর জয় করলেন মানে চাকরি পেয়ে গেলেন। ভাইভা আসলে একটা ওয়ানডে খেলা যেখানে কেউ ফুলটস বল পেয়ে ছক্কা হাঁকায়, আবার কেউ ভাল ব্যাটসম্যান হবার পরও একটা ভাল বল ফেস করতে গিয়ে আউট হয়ে অনেক বল খেলার সুযোগ হতছাড়া করেন দুর্ভাগ্যজনকভাবে।
তবে এটা সত্য যার বেসিক যত ভাল তিনি তত ভাল করে বুঝেন ইনিংস কিভাবে শুরু করতে হয়। কিভাবে ভাল বলকে ফেস করতে হয়। আর বিসিএস ভাইভার ক্ষেত্রে যিনি প্রিলিমিনারিতে এবং লিখিত পরীক্ষায় ভাল প্রস্তুতি নিতে পেরেছেন তারা ভাল করে থাকেন বলেই আমার ধারণা। যারা প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় টি২০ ইনিংস খেলে পার হন নাই তারাই মূলত ভাইভাতে ভাল করে থাকেন কারণ ভাইভা বোর্ডে তাদের আত্মবিশ্বাস থাকে পর্যাপ্ত। তবে অন্যদের ও মন খারাপের কিছু নাই। ঐ যে বললাম ভাইভা একটি ওয়ানডে খেলা । দিনটি আপনার হলে ঠেকায় কে?
যাই হউক, আমি ভাইভা বিশেষজ্ঞ না। বিসিএস স্পেসিয়ালিস্ট ও না। কিছু ছোট ভাই-বোন আমাকে বিশাল কিছু মনে করে ফেলেছে। তার তো মূল্য দেয়া চাই, তাই না? সে দায়িত্ববোধ থেকে আমি বিসিএস ভাইভাকে যেভাবে ফেস করেছি তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
#ভাইভা_বোর্ডে_যাবার_আগের_প্রস্তুতিঃ
ভাইভা বোর্ডে যাবার আগের প্রস্তুতি যদি ভাল হয়ে থাকে তবে তা আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে নিঃসন্দেহে । যেকোন ভাইভা ভাল দেয়ার পূর্বশর্তই হলো পর্যাপ্ত আত্মবিশ্বাস। আর আত্মবিশ্বাস তখনই পর্যাপ্ত হবে যখন আপনার প্রস্তুতি খুব ভাল হবে। প্রস্তুতি ভাল হলে প্রশ্ন কমন না পড়লেও আপনি নার্ভাস হবেন না নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। আর ভাইভায় ভাল করার অন্যতম শর্তের মধ্যে নার্ভাস না হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। যাহোক, বোর্ডে যাবার আগের প্রস্তুতি কেমন হতে পারে দেখে নেই। ভাল প্রস্তুতির জন্য কোন কোন বিষয় অবশ্যইপাঠ্য তা দেখে নেই।
#সাধারণ_প্রস্তুতিঃ
বিসিএস ভাইভা প্রার্থীর পছন্দক্রম যাই হউক না কেন তাকে কিছু বিষয়ে কমন প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হয়। সে বিষয়গুলো হয় সাধারণত……
১। আপনার পরিচয়
২। একাডেমিক ডিটেইলস ( আপনার কোন ডিস্টিংশন থাকলে এই সুযোগে বলে ফেলেন)
৩। আপনার বিভাগ, জেলা, থানা বা ইউনিয়নের বিখ্যাত ব্যাক্তি, জিনিস বা ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ কিছুর বিবরণ।
৪। বিসিএসে কেন আসতে চান?
৫। ভাল রেজাল্ট হলে জিজ্ঞেস করতে পারে যে একাডেমিক লাইনে যেতে চান না কেন?
৬। আপনার সিজিপিএকে মার্কসে রুপান্তর করে দেখান। মানে আপনি গড়ে কত পার্সেন্ট মার্কস পেয়েছেন বিভিন্ন টায়ারে।
#ক্যাডারভিত্তিক_প্রস্তুতিঃ
সাধারণ প্রস্তুতির পর আপনাকে আপনার ক্যাডার চয়েচের উপর ভিত্তি করে প্রশ্ন শুরু করতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনাকে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হতে পারে তা হলঃ
১। ফরেন/পুলিশ/ এডমিন ইত্যাদি (আপনি যেটা প্রথম চয়েচ দিয়েছেন) প্রথম চয়েচ দেয়ার কারণ কি?
২। আপনার সাবজেক্টের সাথে এর সম্পর্ক কি? (প্রশ্ন ১ ও ২ কিন্তু রেগুলার করে, ইহা খুবই কমন যেটি আপনাকে ফেস করতে হবে)
৩। আপনার ক্যাডার চয়েচের প্রথম তিনটি চয়েচের অর্গানোগ্রাম, ক্যাডারের হায়ারার্কি অবশ্যই জানবেন।
৪। আপনার ক্যাডার চয়েচের প্রথম তিনটি চয়েচের সর্বোচ্চ পদ কি তা জানবেন।
৫। আপনার ক্যাডার চয়েচের প্রথম তিনটি চয়েচের ভিশন, মিশন এবং মূল কাজ কি তা জানার চেষ্টা করবেন। (সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে পাবেন)
#নিজের_পঠিত_বিষয়ে_বিষয়ভিত্তিক_প্রস্তুতি
ক্যাডার চয়েচভিত্তিক প্রশ্নের পর (বা আগে) আপনাকে আপনার পঠিত বিষয়ের উপর প্রশ্ন করা হতে পারে তাই এ বিষয়ে প্রস্তুতি রাখতে হবে। এক্ষেত্রে যেটি খেয়াল রাখবেন তন্মধ্যে উল্লখযোগ্য হল….
১। আপনার সাবজেক্টের একদম বেসিক বিষয়ের জ্ঞান।
২। ইন্টারেস্টিং থিওরি, থিওরির পেছনে ইন্টারেস্টিং কোন বিষয় জড়িত থাকলে তা। ( যেমন অর্থনীতিতে একটা ‘থিওরি আছে, ব্যাড মানি ড্রাইভস গুড মানি আউট অফ সার্কুলেশন’। এ থিওরির পেছনে সুন্দর একটা কাহিনী আছে। যেটি আপনাকে জিজ্ঞেস করতে পারে (আমাকে করেছিল)। এরকম কিছু আপনার পঠিত বিষয়ে থাকলে জেনে যাবেন।
৩। ‘থাম্ব রুল’ থাকলে পড়ে যাবেন।
৪। আর অবশ্যই আপনার বিষয়ের সাথে ক্যাডার চয়েচের সম্পর্ক তৈরী করে প্রস্তুতি নিয়ে যাবেন।
৫। সর্বোপরি আপনার পঠির বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত মৌল বিষয়গুলোর একটা গ্রস ধারণা অবশ্যই রাখবেন।
#মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক_প্রস্তুতিঃ
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অবশ্যই ক্লিয়ার ধারণা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে কোন ধরণের কনফিউশন থাকা চলবে না। তাহলে দেখা যাক, কি কি বিষয়ে আমাদের ক্লিয়ার ধারণা রাখা চাই।
১। ২৫ শে মার্চ কালরাত সম্পর্কে
২। স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কে, কে দিয়েছেন, কখন দিয়েছেন, কিভাবে দিয়েছেন? (সংবিধানে আছে কি না, থাকলে কোথায়?)
৩। মুজিবনগর সরকার ও এ সরকারের শপথ সম্পর্কে বিস্তারিত। (সংবিধানে আছে কি না, থাকলে কোথায়?)
৪। মার্চ ১৯৭১ থেকে ডিসেম্বর ১৯৭১ সাল পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
৫। ৭ই নভেম্বর সম্পর্কে বিস্তারিত।
৬। আমাদের বীরশ্রেষ্টদের সম্পর্কে বিস্তারিত। কে কি করতেন, কার বাড়ি কোথায় ইত্যাদি।
৭। বঙ্গবন্ধুর জীবনবৃত্তান্ত। (অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়ে নিন)
৮। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে বিস্তারিত, তাঁর লেখা বিভিন্ন বইয়ের নাম, তাঁর প্রাপ্ত বিভিন্ন এওয়ার্ডের নাম।
৯। বুদ্ধিজীবি হত্যা সম্পর্কে বিস্তারিত।
১০। সর্বোপরি ভাষা আন্দোলন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ছয়দফা, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্তান ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত।
#সংবিধান_নিয়ে_প্রস্তুতি
বাংলাদেশের সংবিধান সম্পর্কে একজন হবু ক্যাডার অফিসারকে জানতে হবে। কারণ ক্যাডার অফিসার হবার পর আপনি সংবিধান মেনেই কাজ করবেন। এক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দেয়া যেতে পারে….
১। সংবিধানের মূলনীতি
২। এক্সিকিউটিভ, বিচার ও আইন বিভাগ সম্পর্কে।
৩। পি.এস.সি সম্পর্কে।
৪। সংবিধান সংশোধনী সম্পর্কে।
#বাংলাদেশের_অর্থনীতি_সম্পর্কে_ধারণাঃ
অর্থনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশ বর্তমানে খুবই সম্ভাবনাময় একটি দেশ। তাই আমাদের বাংলাদেশের অর্থনীতির সম্ভাবনাময় খাত সম্পর্কে জানতে হবে। মূলত খেয়া রাখতে হবে…..
১। আমাদের শিল্প, সেবা ও কৃষি নিয়ে।
২। আমাদের জিডিপি, জাতীয় আয়, মাথাপিছু জাতীয় আয়, বাজেট সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
৩। লিস্ট ডেভেলপ কান্ট্রি আর ডেভেলপিং কান্টির পার্থক্য জানতে হবে।
৪। মধ্যম আয়ের দেশ বলতে কি বুঝি? এর ক্রাইটেরিয়া গুলো কি কি? জানতে হবে। (খুবই গুরুত্বপূর্ণ)।
৫। পদ্মা সেতু জাতীয় অর্থনীতিতে কেমন ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন।
#সাম্প্রতিক_বিষয়_নিয়ে_প্রস্তুতিঃ
ভাইভা বোর্ডে সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বিষয়ের উপর আপনার খোঁজখবর রাখতে হবে। যেমন আইএসআইএস, ইরান ইস্যু, রাশিয়া তুরস্ক ইস্যু ইত্যাদি। রেগুলার পত্র পত্রিকা পড়বেন।
#বিবিধ_প্রস্তুতিঃ
এক্ষেত্রে আপনি আপনি আগের বছরের ভাইভার প্রশ্ন সংগ্রহ করে দেখতে পারেন যে উপরিখিল্লিত বিষয় ছাড়াও আর কি কি বিষয়ে সম্মানিত স্যারগণ বিভিন্ন বোর্ডে প্রশ্ন করে থাকেন। সেগুলো নোট করেন। তাছাড়া আপনার এলাকার বিখ্যাত রাজনীতিক, কবি, গীতিকার, সিভিল সার্ভেন্ট থাকলে তাঁর সম্পর্কে জানবেন। আপনার নামে বিখ্যাত কেউ দেশে বা বিদেশে থাকলে জানবেন। আপনার জন্মদিনের সাথে মিল আছে এরকম বিখ্যাত কেউ থাকলে তাঁর সম্পর্কেও জেনে যাবার চেষ্টা করবেন।
#ভাইভার_দিনের_প্রস্তুতিঃ
চিন্তামুক্ত থেকে সময় নিয়ে ভাইভা বোর্ডে হাজির হবার জন্য পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে রওয়ানা দিবেন ভাইভার উদ্দেশ্যে। ভাইভার জন্য সকল কাগজপত্র আগের রাতে সুন্দর করে একটা ফাইল রেডি করে রাখবেন আপনার সকল ডকুমেন্টসসহ। ভাইভার জন্য আপনার ড্রেস হবে ফর্মাল। ছেলেরা শার্ট, প্যান্ট আর টাই ভাল করে কালি করে সু পড়বেন। আপুরা শাড়ি পড়বেন সাথে হালকা করে হয়না পড়তে পারেন (বাট নট ম্যান্ডেটরি, খেয়াল রাখবেন কখনই ভারী গয়না পড়ে যাবেন না)। সকালে রওয়ানা দেয়ার আগে অবশ্যই খবরের কাগজ পড়বেন। বাংলা বা ইংরেজী ডেট দেখে সে ডেট তাৎপর্যপূর্ণ কোন কারণে হলে তা জেনে নিন।
#ভাইভা_বোর্ড_ম্যানেজিং
ভাইভা বোর্ডে পৌঁছার পর ধীরে ধীরে আপনার ডাক আসবে। ডাক আসলে আপনি ধীরে দরজা ওপেন করে অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করেই সালাম দিবেন। স্যাররা আপনাকে ওয়েলকাম করলে আপনি প্রবেশ করবেন। তারপর আপনাকে বসতে বলবেন তখন চেয়ারে শব্দ না করে বসবেন। ভাইভা বোর্ডে যেটি অবশ্যই খেয়া রাখবেন।
১। টেবিলে হাত দিবেন না।
২। কুঁজো হয়ে কথা বলবেন না।
৩। আপনাকে যিনি যে ভাষায় প্রশ্ন করবেন সে ভাষায় আপনি উত্তর দিবেন। তাড়াহুড়ো করার কিছু নাই।
৪। নখ ছিড়বেন না।
৫। প্রশ্নকর্তার দিকে তাকিয়ে উত্তর দিবেন।
৬। মাম্বলিং করবেন না।
৭। যে প্রশ্নের উত্তর পারে না সেটা আন্দাজের উপর না দিয়ে সরি বলবেন। (আমি বলেছি স্যার সরি, এ মুহুর্তে মনে করতে পারছি না)
৮। ব্যাক্তিগত প্রশ্ন, রাজনৈতিক প্রশ্ন নিজের বুদ্ধি খাঁটিয়ে উত্তর দিন।
#সর্বশেষঃ
আসলে ভাইভা নিয়ে কখনই কিছু প্রিডিক্ট করা যায় না। আমি সবসময় মনে করি তকদির একটা বিষয়। আপনার বোর্ড ও একটা ফ্যাক্টর হয়ে যেতে পারে। তাই সৃষ্টিকর্তাকে ডাকুন আর পরিপূর্ণ একটা প্রস্তুতি নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস যোগাড় করে ভাইভার জন্য নিজেকে তৈরী কর শুভ কামনা সবার জন্য।
#পুনশ্চঃ
ভাইভা প্রস্তুতি নিয়ে সুজন দেবনাথ দাদা, সুশান্ত পাল দাদা আর মাশরুপ হোসেন ভাইয়ের আপডেটগুলো খেয়াল রাখেন। অনেক কাজে দিবে নিশ্চিতভাবেই। আর বাজারের প্রচলিত কিছু ভাইভা গাইড আছে সেগুলোও আপনারা দেখতে পারেন। তবে সতর্কতার সাথে পড়বেন কারণ অনেক ভুল ও থাকে এ সকল গাইডে।
আপনাদের নিরন্তর শুভ কামনায়
মোঃ শরীফ উদ্দিন
সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট
বিসিএস (প্রশাসন)
আরো দেখুন:
একটি আকর্ষণীয় সিভি তৈরি করার জন্য যে সকল বিষয় জানা দরাকার
নতুন চাকরিপ্রার্থীরা কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন
জেনে নিন কীভাবে লিখবেন কভার লেটার
ফোরাম প্রশ্নোত্তর – চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য কিছু পরামর্শ
শিক্ষার্থীদের সফলতার ১০টি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
ইন্টারভিউয়ের আগেই ৫টি করণীয় জেনে নিন
বিসিএস ভাইভার খুটি নাটি
মনের মত চাকরি পাওয়ার ১০টি পরীক্ষিত উপায়!
বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতির জন্য যেটি দরকার
সকল ক্যাডারদের জন্য কমন প্রশ্ন
0 responses on "বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতির জন্য যা দরকার"