
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের তাদের ভাষায় ‘মর্যাদা’ রক্ষার আন্দোলনের ফলে সেশনজটের শঙ্কায় রয়েছে সরকারি কলেজের প্রায় ১৫ লাখ শিক্ষার্থী। জাতীয়করণের তালিকাভুক্ত হওয়া বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্ত না করাসহ বিভিন্ন দাবিতে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ব্যানারে ২৬ ও ২৭ নভেম্বর কর্মবিরতি পালন করেন সরকারি কলেজের শিক্ষকরা।
দাবি আদায়ে আগামী ৬ থেকে ৮ জানুয়ারিও কর্মবিরতি পালন করবেন তারা। বিসিএস শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে শিক্ষার্থীদের শঙ্কার পাশাপাশি অভিভাবকরাও রয়েছেন উদ্বেগে।
জানুয়ারির কর্মবিরতিতেও বন্ধ থাকবে সারা দেশের ৩১৩টি সরকারি কলেজের সব একাডেমিক কার্যক্রম। স্থগিত হয়ে যাবে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাও। এর আগে গত দুই দিনে শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে বন্ধ ছিল সব একাডেমিক কার্যক্রম। পূর্বঘোষিত পরীক্ষাগুলোও স্থগিত করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ক্র্যাশ প্রোগ্রাম কর্মসূচির মাধ্যমে সারা দেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট কাটিয়ে উঠলেও ক্যাডার-নন-ক্যাডার ইস্যুতে শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে পুনরায় সেশনজটের দিকে যাচ্ছেন সারা দেশের কলেজ শিক্ষার্থীরা।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) বদরুজ্জামান গতকাল বলেন, আগামী জানুয়ারিতে দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত রয়েছে। এ ছাড়া আরও কয়েক বর্ষের পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করার কথা রয়েছে।
সে হিসেবে শিক্ষা ক্যাডারদের তিন দিনের কর্মবিরতিতে এ পরীক্ষাগুলোও স্থগিত রাখতে হবে। বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারদের দাবি আদায়ে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের আশঙ্কা আরও বাড়ছে।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, ‘আমরা আমাদের দাবী আদায়ে আন্দোলন করছি। ২০০০ বাতিল চাচ্ছি। শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষার স্বার্থে আমাদের এ আন্দোলন।
আরো পড়ুন: