
ভুয়া উপসচিব পরিচয় দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতারণা, যুবককে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
উপ-সচিব পরিচয়ে পটুয়াখালীর বাউফলের বিভিন্ন স্কুল-মাদ্রাসায় পরিদর্শন করে অর্থ আদায়ের অভিযোগে আটক করা হয়েছে আবদুল মতিন ভূইয়া (২৫) নামে একজনকে। সে নরসিংদী উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে। রোববার (৮ এপ্রিল) পৌর সদরের বাউফল মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নার্গিস আক্তার জাহান জানান, পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের নাম ব্যবহার করে বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন ওই যুবক। এ সময় আইসিটি সেক্টরের বিভিন্ন তথ্য দেয়ার জন্য একাধিক ফরমেট প্রদান করলেও ওই যুবকের কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে হওয়ায় চ্যালেঞ্জ করলে স্বপক্ষে কোনো তথ্য-উপাত্ত দিতে না পারায় পুলিশে সোপর্দ করা হয় তাকে।
পটুয়াখালী সদরের নেছারিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ওমর জিহাদ জানান, আটক মতিন এর আগে সুকৌশলে নিজেকে পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের উপসচিব পরিচয় দিয়ে তার মাদ্রাসা পরিদর্শন করে এবং সন্মানী হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আরও কয়েকটি স্কুল মাদ্রাসা থেকে একইভাবে টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেন।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন জানান, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে আইসিটি শিক্ষার প্রচলন শীর্ষক প্রকল্পের প্রভাব মূল্যায়নের জন্য নিয়োগকৃত পরামর্শক ফার্মের একটি দল তার জেলায় সফর করছেন মোবাইলফোনে একথা জানিয়ে ওই দলকে সহযোগিতা দিতে একটি কাগজও তার কার্যালয়ে দেখায় ওই যুবক। এরপর জেলা ডিও অফিসের রেস্ট হাউজে ওই যুবকের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে থেকে মতিন নিজের আসল পরিচয় গোপন রেখে বিভিন্ন স্কুল-মাদ্রাসার প্রধান ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের মোবাইফোনে যোগাযোগ করে সহোযোগিতা চায়।
বাউফল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, মতিন পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়েল কর্মকর্তা ও ডিও অফিসের রেস্ট হাউজে অবস্থান করছেন জানিয়ে বাউফলের বিভিন্ন স্কুল-মাদরাসা পরিদর্শনে সহোযোগিতা চায়। সন্দেহ হলে বাউফল মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শণকালে তিনি প্রধান শিক্ষককে জানান। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের চ্যালেঞ্জে ধরা পওে তার কারসাজি।
বাউফল থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রতারক ওই যুবককের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
আরো পড়ুন: