
শিক্ষক নিবন্ধন সনদসহ ভুয়া একাডেমিক সনদ দেখিয়ে একই স্কুলে পাঁচ জন শিক্ষক চাকরি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঢাকার দক্ষিণ বনশ্রী মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজে কর্মরত পাঁচ শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের কথা জানা গেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারি সচিব অসীম কুমার কর্মকার স্বাক্ষরিত ২০শে ডিসেম্বরের এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ বনশ্রী মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজের অভিভাবকদের পক্ষে আবুল কালাম নামের এক ব্যক্তি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এমন অভিযোগ করেন। ভুয়া নিবন্ধন সনদ দেখিয়ে ওই পাঁচ শিক্ষক চাকরি চাকরিতে যোগদানের পর এমপিওভুক্ত হয়ে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছেন মর্মে তিনি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি ওই প্রতিষ্ঠানের সহকারি প্রধান শিক্ষক (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ) মো: আলম সরদারের বিরুদ্ধে অর্থ সংক্রান্ত এক অভিযোগের বিষয়ে এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তদন্ত করে। তদন্তে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয় কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলম সরদারের বিরুদ্ধে দুই প্রতিষ্ঠান থেকে একইসাথে অর্থ উত্তোলনসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ ছিল।
এসব অভিযোগের বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অঞ্চল, ঢাকার উপপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জানতে চাইলে দক্ষিণ বনশ্রী মডেল হাই স্কুল ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলম সরদার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘হ্যা। আমার নামে এর আগে কিছু অভিযোগ আনা হয়েছিল। আমি ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে এই প্রতিষ্ঠানে যোগদান করি। ভুলবশত আগের প্রতিষ্ঠানের এক মাসের বেতন উত্তোলন করা হয় না। তাই এই প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর একই সাথে দুই প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন নিতে হয়েছিল।’ তবে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মন্ত্রণালয়ের তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয় বলে তিনি দাবি করেন।
জানা গেছে, নিয়োগ অবৈধ হওয়ায় এর আগের অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান শামীমকে চলতি বছরের জুলাইয়ের দিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এর আগেও তিনি কয়েকবার দুর্নীতির কারণে বরখাস্ত হয়েছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত থাকায় বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন আলম সরদার।
আরো পড়ুন: