ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তরপত্র না দেখেই নম্বর দেয়ার অভিযোগ উঠেছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামি স্টাডিজ বিভাগে দুইজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্তরপত্র না দেখেই নম্বর দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই কারণে বিভাগের মাস্টার্স ‘এ’ গ্রুপের ফল প্রকাশ আটকে আছে।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১২-১৩ সেশনের মাস্টার্স প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানীকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রক্টর এটি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্স প্রথম সেমিস্টারে ‘এ’ গ্রুপে ৫০১ নম্বর থেকে ৫০৫ নম্বর কোর্স রয়েছে। এর মধ্যে কোর্স নম্বর ৫০৪ ও কোর্স নম্বর ৫০৫ অল্টারনেটিভভাবে নেয়ার সুযোগ আছে। কোর্স নম্বর ৫০৪ হলো ‘টিচিং অ্যান্ড রিসার্স মেথডোলজি’এবং কোর্স নম্বর ৫০৫ হলো ‘উলুম আল কোরআন।’ রিসার্স মেথডোলজি কোর্সের কোর্স শিক্ষক ছিলেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শফিক আহমেদ ও প্রভাষক কাজী ফারজানা আফরীন।

এক শিক্ষার্থী ৫০৪ নম্বর কোর্স নিয়ে পরীক্ষার কাভার পেজে কোর্স নম্বরের জায়গায় ভুল করে ৫০৫ লিখেন। কিন্তু তিনি খাতায় ৫০৪ নম্বর কোর্সের প্রশ্নের উত্তর লিখেন। ওই শিক্ষার্থীর কাভার পেজে ৫০৫ লেখার কারণে খাতাটি চলে যায় কোর্স টিচার ড.মুহাম্মদ শফিক আহমেদন ও কাজী ফারজানা আফরীনের কাছে। ওই দুই শিক্ষক শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র মূল্যায়ন করেন। কিন্তু দুই শিক্ষকের এই উত্তরপত্রসহ আরো ২৮টি উত্তরপত্রের নম্বরে ২০ শতাংশ পার্থক্য থাকায় খাতাগুলো তৃতীয় শিক্ষক অধ্যাপক ড. মু আব্দুল বাকীর মূল্যায়নের দায়িত্ব পড়ে। তিনিই এটি ধরতে পেরে খাতাটি মূল্যায়ন না করে ডেপুটি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে জমা দেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ও পরীক্ষা কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ শফিক আহমেদ বলেন, ‘আমি ৫০৫ নম্বর কোর্সের ক্লাস নিয়েছি ও পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করেছি। এটুকু আমি বলতে পারবো। পরীক্ষার বিষয়গুলো তো গোপনীয়। এগুলো পরীক্ষা কমিটি ছাড়া কারও সঙ্গে শেয়ার করি না।’ এ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরী কোনো কথা বলতে চাননি।

তদন্ত কমিটির প্রধান প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ওই পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ করা হবে। কিন্তু তদান্তধীন বিষয় সম্পর্কে আমি কিছু বলতে পারবো না।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, এটি আমি শুনেছি। এটি ডিসিপ্লিনারি বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। বোর্ডের প্রতিবেদন অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তরপত্র না দেখেই নম্বর দেয়ার অভিযোগ উঠেছে

ভাল ফলাফলের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে ভর্তির আবেদন সময় বৃদ্ধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হয়েছে

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline