
এইচএসসি পরীক্ষায় ভুল প্রশ্ন সরবরাহের দায়ে ২ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে চলতি এইচএসসি পরীক্ষায় ভুল প্রশ্নপত্র সরবরাহের ঘটনার ওই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ২ জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এর আগে ভুল প্রশ্নপত্র সরবরাহ করার ঘটনা তদন্তে চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। বিষয়টি সোমবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।
গত রোববার (২২ এপ্রিল) দুর্গাপুরের মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে ভূগোল প্রথমপত্রের প্রশ্ন না নিয়ে ভুলক্রমে দ্বিতীয়পত্রের সরবরাহ করা হয়েছিল। এতে ওই কেন্দ্রের পরীক্ষা শুরু হতে অন্তত ১৫ মিনিট দেরি হয়েছিল।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সারাদেশে ভূগোল দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। সোমবার ওই বিষয়ে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। আগামী ১৪ মে ভূগোল দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ করে বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম জানান, ওই ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও তথ্য প্রযুক্তি) মোহা. খালিদ হোসেনকে প্রধান করে গত রোববার চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশিদ, দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা সার্কেলের এএসপি শাহ মোহাম্মদ সিবলী সাদি ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ওয়ালী উল্লাহ। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিটি জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা রয়েছে।
এইচএসসি পরীক্ষায় দায়িত্বের অবহেলার অভিযোগ
ওই কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তা ইউএনও মামুনুর রশিদের প্রতিনিধি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুশ শাকুর সাদি এবং কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও দুর্গাপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ফারুক আহম্মেদ তালুকদারের প্রতিনিধি মহিলা কলেজের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক সাদেকুর রহমানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ওই কেন্দ্রে ভূগোল বিষয়ে মোট ৫৮২ জন পরীক্ষার্থী রয়েছেন। তারা সুসঙ্গ সরকারি কলেজ ও মফিজ উদ্দিন কলেজ থেকে অংশ নিচ্ছেন।
কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুশ শাকুর সাদি গত রোববার বিকেলে বলেছিলেন, থানার ট্রেজারি থেকে ভুলে ভূগোল দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্ন সরববরাহ করা হয়েছিল। পরে অবশ্য সঙ্গে সঙ্গে প্রথমপত্রের প্রশ্ন নিয়ে আসা হয়। এতে ১০ মিনিট সময় দেরি হয়েছিল। নির্ধারিত জায়গা থেকে প্রশ্ন সরবরাহের সময় তার সঙ্গে উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইসার নাসির উদ্দিন, কলেজ শিক্ষক সাদেকুর রহমান ও থানার পুলিশ সদস্য মোহাম্মদ আরিফ ছিলেন।
কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দুর্গাপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ফারুক আহম্মদ বলেন, তদন্ত কমিটির প্রধান মোহা. খালিদ হোসেন কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সকল ব্যক্তিদের সঙ্গে গত রোববার বিকেলে থেকে রাত পর্যন্ত কথা বলে আমাদের লিখিত নিয়েছেন।
আরো পড়ুনঃ