অর্থ পাচার রোধ
Halting capital flight
স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে অর্থ পাচারে বাংলাদেশ শীর্ষে, আর অর্থ পাচারের দিক থেকে শীর্ষ ১০০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৪০।
Bangladesh tops the list of lesser developed countries for illicit financial outflow and ranks at 40 among the top 100 countries in this regard.
দেশটির অর্থ পাচারের পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ তা বোঝার জন্য এই দুটি তথ্যই যথেষ্ট।
This is enough to understand the enormity of capital flight from the country.
.বিনিয়োগ খরায় ভুগছে যে দেশ, সেখান থেকে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের এটি সত্যিই বিস্ময়কর।
It is shocking that there is such an illegal outflow of capital in a country suffering from a dire lack of investment.
বোঝা যায় দেশে যেকোনো পর্যায়ে বিনিয়োগ নিয়ে অর্থের মালিকদের আস্থাহীনতা কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে!
It goes to show the utter lack of confidence in investment in the country.
এর সঙ্গে আর্থিক নীতি ও এর প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার যেমন সম্পর্ক রয়েছে, তেমনি রয়েছে অনিশ্চিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি।
This exposes the country’s fiscal policy and institutional weakness as well as the uncertainty in the political situation.
.আন্তর্জাতিক সংগঠন গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে গত ১০ বছরে যে অর্থ পাচার হয়েছে, তা এবারের জাতীয় বাজেটের চেয়েও এক লাখ কোটি টাকা বেশি।
According to the international organization Global Financial Integrity (GFI), the amount of finance transferred unlawfully from the country over the past 10 years, exceeds this fiscal’s budget by over a trillion taka.
অর্থ পাচার একটি বৈশ্বিক সমস্যা, কিন্তু বাংলাদেশ থেকে যে মাত্রায় অর্থ পাচার হচ্ছে, তা এককথায় মাত্রাছাড়া।
Capital flight is a global problem but Bangladesh has crossed all limits.
এত টাকা বিদেশে পাচারের পেছনে যে বাস্তবতা ও কারণ কাজ করে সে ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে; নির্বাচনের আগে টাকা পাচার বাড়ে, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা টাকা পাচার উৎসাহিত করে এবং যথাযথ বিনিয়োগের পরিস্থিতি না থাকায় টাকা বাইরে চলে যাচ্ছে।
Experts observe that political uncertainty instigates capital flight and lack of an investment environment spurs on the illegal outflow.
অর্থ পাচার রোধে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
There is no alternative but to take immediate and effective measures to remedy the situation.
শনিবার এ নিয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক পরামর্শ সভায় দেশের অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার ও ব্যবসায়ীদের তরফে যেসব পরামর্শ এসেছে, তা বিবেচনায় নেওয়া জরুরি।
The recommendations made by economists, bankers and businesspersons at a recent discussion of the Centre for Policy Dialogue (CPD), should be taken into consideration.
.সভায় টাকা পাচার রোধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সমন্বয়ের জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব এসেছে।
The meeting recommended that the relevant institutions be strengthened against capital flight and a task force be formed to ensure proper coordination.
বলা হয়েছে অর্থ পাচার রোধে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোর কথা।
Cooperation with the relevant countries must also be stepped up to prevent this transfer of money.
জিএফআই তথ্য অনুযায়ী মোট পাচার হওয়া অর্থের ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশই হয় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের আড়ালে।
According to GFI, 85 of 90 percent of this illegal wealth transfer is done in the guise of international trade.
ফলে এই দিকটিতে কঠোর নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে।
This sector must been closely monitored.
তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, অর্থ পাচার রোধের ব্যাপারে রাজনৈতিক সদিচ্ছা।
However, political will is the most important tool to prevent illegal capital flight.
একই সঙ্গে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা দূর করতে না পারলে অর্থ দেশে রাখার ব্যাপারে সম্পদশালীরা আস্থা ফিরে পাবে না।
In the meantime, unless political uncertainty is dispelled, the wealthy will not have confidence in keeping their wealth in the country.
আরও পড়ুন :
প্রথম আলো থেকে সংগৃহীত পার্ট – 37
0 responses on "ইংরেজি শিক্ষা - প্রথম আলো থেকে সংগৃহীত"