অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক অবৈধ নোট ও গাইড বইয়ের ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে

অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক অবৈধ নোট ও গাইড বইয়ের ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে

অবৈধ নোট ও গাইড বইয়ের ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে নিয়মিত মাসোহারা দিয়ে প্রকাশনা সংস্থাগুলো অবৈধভাবে নোট ও গাইড ছাপা ও বাজারজাতের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করছে। এ ধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুদক ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম তাৎক্ষণিকভাবে নীলক্ষেতের হজরত শাহজালাল মার্কেট, বাবুপুরা মার্কেট, বাকুশাহ মার্কেট, ইসলামিয়া মার্কেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে অনুসন্ধান চালায়। এসময় দুদকের সহকারী পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ ও সহকারী পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান অনুসন্ধান দলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

দুদকের অভিযান চলাকালে সময় প্রায় প্রতিটি দোকানেই এসব নিষিদ্ধ বই পাওয়া যায়। দুদক ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ার বলেন, ‘বাজারে প্রতিটি দোকানে অননুমোদিত গাইড বইয়ের ছড়াছড়ি। দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে শুরু করে স্নাতক শ্রেণি পর্যন্ত বিভিন্ন নামে বিভিন্ন কোম্পানির গাইড বই বিক্রি হচ্ছে।’

দুদকের কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে দ্বিতীয় শ্রেণি হতে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বাজারে থাকা গাইড বইয়ের অন্যতম প্রকাশনা সংস্থাগুলো হলো- পাঞ্জেরী, লেকচার, অনুপম, নবদূত, জননী,পপি ও জুপিটার। নবম ও দশম শ্রেণি পর্যন্ত বাজারে প্রাপ্ত গাইড বইয়ের প্রকাশক হলো- পাঞ্জেরী, লেকচার, অনুপম, রয়েল, আদিল, কম্পিউটার, জুপিটার ও ইংরেজী ভার্সনের জন্য ক্লাসিক। এছাড়া, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য গাইড বইয়ের প্রকাশনী হিসেবে বাজারে লেকচার, পাঞ্জেরী, জ্ঞানগৃহ, জুপিটার, পপি, মিজান লাইব্রেরি, কাজল ব্রাদার্স, দি রয়েল সায়েন্টেফিক পাবলিকেশন্সের বই পাওয়া যায়।

এসব গাইড বই, টেস্ট পেপার, সহায়ক বই, মেইড ইজি বিভিন্ন নামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। শ্রেণিভিত্তিক গাইড বইয়ের পাশাপাশি ডিগ্রি, অনার্স ও মাস্টার্স শ্রেণির বিভিন্ন গাইড বই এবং প্রফেসর’স, ওরাকল, এমপিও, থ্রি ডক্টরস ও সাইফুরস নামে চাকরির নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন গাইড বাজারে রয়েছে।

দুদক কর্মকর্তারা জানান, দেশে ১৯৮০ সালের নোট বই নিষিদ্ধকরণ আইন বিদ্যমান রয়েছে। এই আইন অনুসারে গাইড ও নোট বই ছাপা ও বাজারজাত করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এছাড়া, ২০০৮ সালে নির্বাহী আদেশে নোট বই ও গাইড বই নিষিদ্ধ করা হয় ।

 

 

আরো পড়ুন:

ভুয়া সনদ দেখিয়ে একই স্কুলে ৫ জন শিক্ষক চাকরি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে

সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির ভর্তি কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে (ইউজিসি)

কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদের বৈধতা প্রশ্নে অনুষ্ঠিত সভা শেষ হয়েছে

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline