শিক্ষা
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ঃ
শিক্ষা মানুষের একটি অধিকার, এটি মাথায় রেখে সরকার ঢাকায় কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছে, যেটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত। এসব বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি নিয়মনীতি দ্বারা পরিচালিত। শিক্ষার্থী বেতন বাবদ কিছু টাকা আসলেও মূলত ভর্তূকি দিয়ে সরকার এসব বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করে।
===
বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ঃ
বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণাটি অপেক্ষাকৃত নতুন। অতিরিক্ত জনসংখ্যা এবং মানুষের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির কারণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বর্ধিত চাহিদা মেটাতে না পারায় সরকার বেসরকারী বা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেয়। কিছু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদান করে বেশ প্রশংসিতও হচ্ছে।
===
মেডিকেল কলেজঃ
ছোট থেকেই অনেকে স্বপ্ন দেখেন ডাক্তার হওয়ার। আবার অনেক (অধিকাংশ বললেও হয়ত অত্যুক্তি হবে না) বাবা-মার স্বপ্ন থাকে সন্তানকে ডাক্তার বানাবেন। ডাক্তার তৈরির প্রতিষ্ঠান হলো মেডিকেল কলেজ। ডাক্তার হওয়ার জন্য মানুষের এতই আগ্রহ যে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলো তার চাপ সামলাতে পারছিল না। ঢাকায় তিনটি সরকারি মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি নতুন-পুরাতন মিলিয়ে বেশ কয়েকটি বেসরকারী মেডিকেল কলেজ রয়েছে। এককভাবে একটি মাত্র ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।
===
ডেন্টাল কলেজঃ
মানুষের শরীরের বিভিন্ন রোগব্যাধির এটি দেখেন এম.বি.বি.এস. চিকিৎসকগণ, অবস্থা জটিল হলে রোগীগণ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দারস্থ হন। তারাও এম.বি.বি.এস. কোর্সের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন। দাঁতের এটি দেখেন দন্ত বিশেষজ্ঞ। এমবিবিএস কোর্স নয় ডেন্টাল কলেজের বিডিএস কোর্সের মাধ্যমে দন্ত বিশেষজ্ঞ তৈরি হয়। মিরপুরের সরকারি ডেন্টাল কলেজ ছাড়াও ঢাকায় বেশ কয়েকটি বেসরকারী ডেন্টাল কলেজ আছে এখন।
===
বিদেশে উচ্চ শিক্ষাঃ
উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য ঢাকায় সরকারী-বেসরকারী মিলিয়ে বেশ অনেকগুলো শিক্ষালয় আছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে ৮ টি। আর বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মূলত ঢাকাকেন্দ্রিক। সরকারি মেডিকেল কলজে আছে ৩ টি আর বেসরকারী মেডিকেল কলেজের সংখ্যাও প্রতিদিন বাড়ছে। তাছাড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ডেন্টাল কলেজসহ আরও বিভিন্ন ধরনের উচ্চ শিক্ষালয় আছে। প্রতি বছর উচ্চ শিক্ষার জন্য একটি বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীগণ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকায় আসেন। আর বিভিন্ন বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলোও ঢাকায় তাদের শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য লিয়াজো অফিস স্থাপন করেছেন। অপরদিকে এডুকেশন কনসালটেন্সি ফার্মগুলো বিদেশে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে অর্থের বিনিময়ে প্রয়োজনীয় লজিষ্টিক সাপোর্ট দিচ্ছে।
===
কলেজঃ
মাধ্যমিক পরাবর্তী উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে পড়াশোনা এবং উচ্চমাধ্যমিক পরবর্তী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়ালেখার জন্য ঢাকার সরকারি এবং বেসরকারী কলেজগুলোর তথ্য থাকছে এ অংশে। উচ্চমাধ্যমিক পার্যায়ের পড়াশোনা শিক্ষাবোর্ড নিয়ন্ত্রণ করে আর উচ্চমাধ্যমিক পরবর্তী কোর্সগুলো নিয়ন্ত্রণ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমও রয়েছে। যেমনঃ ঢাকার সনামধন্য ৭টি সরকারি কলেজসহ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণ করে।
নটরডেম কলেজ | |
===
স্কলারশীপঃ
শিক্ষা মানুষের অধিকার হলেও আর্থিক বাস্তবতায় সবার পক্ষে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। এ সমস্যা সমাধানে বাংলাদশ সরকারের বৃত্তি ছাড়াও মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের লেখাপড়ার জন্য বিভিন্ন ব্যাংক ও দাতব্য সংস্থার বৃত্তি রয়েছে। আবার উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়ার স্বপ্নও দেখেন অনেকে। কিন্তু বিদেশে পড়ালেখার যোগ্যতা অর্জন করলেও আর্থিক কারণে সবার পক্ষে বিদেশে যাওয়া সম্ভব হয় না। তবে এক্ষেত্রে বিভিন্ন সরকার ও সংগঠন সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছে। এসব বৃত্তির আওতায় কেবল পড়ালেখার খরচ নয়, অনেক ক্ষেত্রে অন্যান্য খরচও দেয়া হয়। দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ধরনের বৃত্তির খবর থাকছে এ বিভাগে।
বিস্তারিত
===
কারিগরী শিক্ষাঃ
শিল্প প্রতিষ্ঠানে দক্ষ জনশক্তি সরবরাহ করে অর্থনীতিকে গতিশীল করার জন্য কারগরি শিক্ষার বিকল্প নেই। আবার দেশের বাইরেও অদক্ষ জনশক্তি রপ্তানি করে খুব বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায় না। এক্ষেত্রেও দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য কারিগরি শিক্ষা জরুরী। ঢাকার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী কারগরি শিক্ষালয়ের তথ্য পাওয়া যাবে এখানে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স করানো হয়। অবশ্য অনেক শিক্ষালয় কেবল তাদের একটি সার্টিফিকেট দিয়ে থাকে, কোন বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফিলিয়েশন নেই এদের।
===
শিক্ষা বোর্ডঃ
বাংলাদেশে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিক এবং এইচএসসি(HSC) বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণের জন্য নয়টি শিক্ষা বোর্ডের পাশাপাশি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ড আছে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড মাদ্রাসা সমূহের দাখিল, আলিম, ফাজিল এবং কামিল পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তাছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিক এবং এইচএসসি(HSC) বা উচ্চ মাধ্যমিক সমতূল্য কোর্স পরিচালিত হয়। সারাদেশের মাদ্রাসা শিক্ষা এবং কারিগরি শিক্ষা কার্যক্রমের তদারকি এই দুই বোর্ডের মাধ্যমেই পরিচালিত হয়ে থাকে। কাজেই ঢাকায় মোট তিনটি শিক্ষা বোর্ডের দপ্তর অবস্থিত।
===
স্কুলঃ
কথা বলা শেখার পর সন্তানের শিক্ষা জীবন শুরু করতে ঢাকার কর্মব্যস্ত অভিবাবকগণ চিন্তিত হয়ে পড়েন কেমন করে কোথায় ভর্তি করাবেন আদরের সন্তানটিকে। এ লক্ষ্যে খোঁজ নিতে হয় ঢাকার বিভিন্ন স্কুল গুলোর ফরম সংগ্রহ পদ্ধতি, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ভর্তি ফি, মাসিক বেতন, স্কুলের মান, স্কুলের পরিবেশ সস্পর্কে। কিন্তু কর্মব্যস্ততার মাঝে অনেক অভিভাবকগণই সময় করে উঠতে পারেন না। ফলে কর্মব্যস্ত অভিভাবকগণ অনায়াসে অন লাইন ঢাকা গাইড থেকে ঢাকার স্কুলগুলোর সম্পর্কে সহজেই তথ্য পেতে পারেন।
মতিঝিল মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজ |
===
লাইব্রেরীঃ
স্কুলে পড়াশোনা না করলেও টমাস আলভা এডিসন বাল্যকালেই তাঁর পাড়ার লাইব্রেরীর সব বই পড়ে শেষ করেছিলেন। হয়ত একারণেই তিনি ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবকে পরিণত হয়েছিলেন। জ্ঞানের পরিপূর্ণ বিকাশে গ্রন্থাগার সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত। সারাদেশেই লাইব্রেরী আছে, তবে মূলত ঢাকা শহরকে কেন্দ্র করেই বড় লাইব্রেরীগুলো গড়ে উঠেছে। তাছাড়া বিশেষ প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরীও রয়েছে যেমন- ব্যান্ডসডক লাইব্রেরি, পরমাণু শক্তি কেন্দ্র, বাংলা একাডেমী, এশিয়াটিক সোসাইটি লাইব্রেরি। বৃটিশ কাউন্সিল, আমেরিকান কালচারাল সেন্টার, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ, বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন বিদেশী সংস্থার লাইব্রেরীও আছে ঢাকা শহরে। আর সবার কাছে পরিচিত পাবলিক লাইব্রেরিতো রয়েছেই।
===
সাংস্কৃতিক জগৎঃ
মানসিক প্রশান্তি বা নেহাত বিনোদনের জন্য এক সময় সংগীত ও চারুকলার প্রতি মানুষের আসক্তি ছিল। সময় বদলেছে বর্তমানে জীবিকার প্রয়োজনে মানুষ সংগীত ও চারুকলার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে। সংগীত ও চারুকলা নিপুণভাবে আয়ত্ত করার জন্য মহানগরীতে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট, ছায়ানট, নজরুল একাডেমী, সংগীত কলেজ, বুলবুল ললিত কলা একাডেমী এবং শিশু একাডেমী। তাছাড়া পাড়া মহল্লা বিভিন্ন কিন্ডার গার্টেন স্কুলে গড়ে উঠেছে সংগীত ও চারুকলা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। নিজস্ব চেষ্টা, পরিশ্রম আর সাধনার গুণে শুধু দেশেই নয় বহিঃবিশ্বে সুনাম অর্জন করা যেটি এই সংগীত ও চারুকলার অঙ্গনে।
===
বইপত্রঃ
বই পড়ার অভ্যাস সবার নেই। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের মতে শতকরা ১০-২০ ভাগের মত শিক্ষার্থীদের দিয়ে বই পড়ানো সম্ভব। তিনি অবশ্য বই পড়া বলতে পাঠ্যবহির্ভূত বইয়ের কথা বলেছেন। আবার সৈয়দ মুজতবা আলীর বিখ্যাত উক্তি, বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না। তবে যেখানে বই পড়ার এবং কেনার অভ্যাসটাই সেভাবে নেই, সেখানে তাঁর উক্তির সঠিকতা যাচাই করা কঠিন বটে! বই পড়তে যাদের বিশেষ ভালো লাগে না, তারাও বই কেনেন এবং পড়েন কখনো ডিগ্রী নেবার জন্য, কখনো পেশায় উন্নতির জন্য।
স্কুল কলেজের টেক্সটবুক সহজেই পাওয়া যায়। ওগুলো কিনতে কোথায় যেতে হবে সেটা ভাবতে হয় না। কিন্তু যে সব বইয়ের পাঠক কম, সে সব বই কিনতে গিয়ে অনেক সময় সমস্যায় পড়তে হয়। জনপ্রিয় লেখকের বই পাওয়া গেলেও সাহিত্য নির্ভর অন্যান্য বইগুলো পাড়ার বইয়ের দোকানে তেমন পাওয়া যায় না। এসব বই পাওয়ার সহজতম উপায় হচ্ছে একুশে বই মেলার জন্য অপেক্ষা করা, যেখানে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় সব প্রকাশক আসেন তাদের বইয়ের পসরা নিয়ে। আর প্রায় সব প্রকাশনা সংস্থার অফিস পাওয়া যাবে ঢাকার বাংলাবাজারে।
বইয়ের দোকান, বই কিনতে নানা প্রয়োজনীয় তথ্য, প্রকাশনা সংস্থা, ই-বুক ডাউনলোড, অনলাইন অভিধান, বিশ্বকোষ ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের তথ্য পাওয়া যাবে এ বিভাগে।
===
কোচিং সেন্টারঃ
প্রাচীন গুরু শিষ্যের ধারা থেকে যখন শিক্ষকতকা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করলো তখন থেকেই গৃহশিক্ষক এবং গৃহশিক্ষকতা নামক নতুন ধারাও সৃষ্টি হল। আজকের কোচিং সেন্টার সেই গৃহশিক্ষকতারই একটি পরিবর্তিত, বিস্তৃত ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ। যদিও আজকে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় এর অবদান ও অবস্থান নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। তবে এর শুরুটা ছিল সমালোচনাহীন। বস্তুতঃ শিক্ষক যখন মাতৃ-প্রতিষ্ঠান বিদ্যালয়কে গুরুত্ব না দিয়ে কোচিং সেন্টারকে গুরুত্ব দিতে শুরু করলেন। তখন থেকেই সমালোচনাহীন কোচিং সেন্টার সমালোচনার শিকার হতে শুরু করলো। তবে, কোচিং সেন্টারে শুধু বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণই শিক্ষকতা করেন না। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও শিক্ষকতা করেন। কোচিং বিভিন্ন রকমের হতে পারে; একাডেমিক কোচিং, ভর্তি কোচিং, চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি কোচিং ইত্যাদি। ঢাকার বিভিন্ন ধরনের কোচিং সেন্টারে তথ্য থাকছে এ বিভাগে।
===
পেশাগত প্রশিক্ষণঃ
সরকারী চাকুরীর ক্ষেত্রে পেশাগত দক্ষতা অর্জনের জন্য চাকুরীতে যোগদানের পরে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। বেসরকারী চাকুরীতে যোগদানের ক্ষেত্রেও একইভাবে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তাছাড়া প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে মনের মত জায়গা করে নিতে পড়াশোনা পরবর্তী বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন অনেকেই। বর্তমানে কম্পিউটার, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, শেফ, মার্চেন্ডাইজিং, ফ্যাশন ডিজাইনিং, ফটোগ্রাফি, বিদেশী ভাষা, উপস্থাপনা, কেবিন ক্রু, এয়ার হোস্টেস, ক্যামেরাম্যান, নার্সিং এসব বিষয়ে দক্ষ জনশক্তির প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকারী-বেসরকারী উদ্যোগে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরকম প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের ন্যাশনাল হোটেল এন্ড ট্যুরিজম, বিকেএমইএ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বিজেএমই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, জাতীয় যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ইব্রাহীম কার্ডিয়াক হসপিটাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, কি সেজোং ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা ইনস্টিটিউট ইত্যাদি। ঢাকায় অবস্থিত এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য থাকছে এ অংশে।
===
দূতাবাসঃ
এক দেশের সাথে অন্য দেশের সাথে যোগাযোগ এবং যাতায়াতের জন্য অনুমতি দেয় দূতাবাস কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস রয়েছে। এসব দূতাবাস স্ব স্ব দেশের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করে। ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, ভারত, নেপাল, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, সৌদি আরব, দুবাই, ডেনমার্ক, শ্রীলংকা, পাকিস্তান, সুইডেন, ফিলিপাইন, নিউজিল্যান্ড, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন, চীন, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের তথ্য থাকছে এ বিভাগে।