[C] সাধারণ জীবাণু নাশকের ব্যবহার :- বিভিন্ন রোগ-জীবাণু প্রতিরোধের জন্য নানা ধরনের জীবাণুনাশক ব্যবহার করা হয় । সাধারণত জীবাণুনাশকগুলি প্রধানত তিন ধরনের হতে পারে, যেমন : প্রাকৃতিক [Natural], ভৌত [Physical] এবং রাসায়নিক[Chemical] ।
[ক] প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক:- সূর্যালোক এবং বাতাস স্বাভাবিক জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে । সূর্যালোকের অতিবেগুনি রশ্মির[Ultra violet rays] জীবাণুনাশক করার ক্ষমতা আছে ।
[খ] ভৌত জীবাণুনাশক:- সংক্রামক রোগের জীবাণুযুক্ত জামা-কাপড়-বিছানা ইত্যাদি পুড়িয়ে ফেলার মাধ্যমে জীবাণুনাশ করা হয় । তাছাড়া গরম জলে ফুটিয়ে অথবা বাষ্প প্রবাহিত করেও জীবাণুনাশ করা সম্ভব হয় ।
[গ] রাসায়নিক জীবাণুনাশক:- বাড়ি, হাসপাতাল ইত্যাদি স্থানে বিভিন্ন রাসায়নিক জীবাণুনাশক ব্যবহার করা হয়, যথা : মার্কারি পারক্লোরাইড, মারকিউরিক আয়োডাইড, ফেনল বা কার্বলিক অ্যাসিড, লাইসল, ফিনাইল, ব্লিচিং পাউডার, পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট, ক্লোরিন, সাবান ইত্যাদি ।
টীকাকরণ এবং অনাক্রম্যতাকরণ :- দেহে জীবাণু বা জীবাণুসৃষ্ট পদার্থ কৃত্রিমভাবে প্রবেশ করিয়ে ওই রোগের সাপেক্ষে দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বা অনাক্রম্যতা বৃদ্ধি করার প্রক্রিয়াকে
টীকাকরণ [Vaccination] বলে, এবং যে পদার্থকে দেহে প্রবেশ করানো হয়, তাকে
টীকা [Vaccine] বলে । ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে অথবা খাওয়ানোর দ্বারা (যেমন : পোলিও
টীকা ) প্রতিষেধক
টীকা দেহে প্রবেশ করানো হয় । এই
টীকা দেহে প্রবেশ করে নির্ধারিত অ্যান্টিবডি গঠনে সাহায্য করে ।
♦
টীকা প্রস্তুতির উপায়:-
টীকা সাধারণত চার রকমভাবে তৈরি করা হয়, যথা:-
[১] মৃত জীবাণু : যথা, টাইফয়েডের TABC
টীকা ।
[২] জীবিত কিন্তু শক্তি হ্রাসপ্রাপ্ত জীবাণু : যথা, যক্ষার BCG
টীকা ।
[৩] জীবিত এবং সম্পূর্ণ ক্ষতিকারক জীবাণু : যথা, গোরুর পক্স ভাইরাসের দ্বারা মানুষের স্মল পক্সের
টীকাকরণ ।
[৪] টক্সয়েড
টীকা : যথা, ডিপথেরিয়া এবং টিটেনাসের
টীকা । এগুলি হল ব্যাকটিরিয়া নিঃসৃত বিষাক্ত পদার্থের নিষ্ক্রিয় অবস্থা ।
প্রতিটি লেকচারে নতুন নতুন লিখা যুক্ত হচ্ছে, তাই কাঙ্খিত কোন লিখা না পেলে দয়া করে কিছুদিন পর আবার ভিজিট করে দেখবেন।
লিখাতে কিংবা লেকচারে কোন ভুলত্রুটি থাকলে অথবা আপনার কাঙ্খিত লিখা খুঁজে না পেলেইশিখন.কম এর ফ্যানপেইজ অথবা নিচে কমেন্ট কর