(BCS প্রিলিমিনারিতে সূচক ও লগারিদম, সমান্তর ও গুণোত্তর অনুক্রম ও ধারা থেকে সর্বোচ্চ ০৩ নম্বর থাকবে এবং অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায়ও এ অধ্যায়গুলো থেকে প্রশ্ন থাকে)
যে কোন পরীক্ষায় ধারা থেকে অংক আসে। আমরা সহজ ভাষায় ধারা শিক্ষার চেষ্টা করব। ধারা কয়েক রকমের হতে পারে।
যেমন ধরুন: ১,২,৩,৪,৫,…… কিংবা ২,৪,৬,৮,১০, … অথবা ১,২,৪,৮,১৬, …
আপনি অংক গুলো খেয়াল করলে দেখবেন প্রথম ধারাতে ১ করে যোগ হচ্ছে। দ্বিতীয় ধারাতে ২ করে যোগ হচ্ছে। তৃতীয় ধারাতে ২ করে গুন হচ্ছে।
একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা যদি যোগ বা বিয়োগ হয়ে কোন ধারা তৈরী হয় তবে সে ধারাকে বলে সমান্তর বা সান্ত ধারা বলে।
এখানে ১,২,৩,৪,৫,…… এবং ২,৪,৬,৮,১০,… এই দুটি ধারা সমান্তর ধারা।
এই ধারার পরের সংখ্যাটি আপনি এমনি বলে দিতে পারবেন। কিন্তু মুশকিল হল, পরীক্ষায় আসবে প্রদত্ত ধারার ১৫ তম কিংবা ৩৯ তম এরকম পদ বের কর এরকম অংক করার জন্য একটি সহজ সূত্র আছে,
n তম পদ = a + (n – ১)d; a হচ্ছে প্রথম পদ এবং d হচ্ছে সাধারণ অন্তর।
আপনি এই সূত্র ব্যবহার করে এরকম অংক করে ফেলতে পারবেন। কিন্তু একটি ক্ষেত্রে আপনার ভুল করার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
আপনি “n তম পদ” আর n কে যে কোন সময় এক করে ফেলবেন। 🙂
n এবং “n তম পদ” এর পার্থক্য ভাল মতন বুঝে নিন; এবার বিশ্বকাপে ১ম দল কোনটি? জার্মানি।
n তম পদ হল জার্মানি আর n হল ১।
তাহলে n হল সিরিয়াল আর n তম পদ হল ওই সিরিয়ালে যে নাম্বারটি আছে তা।
তাহলে আমরা ৩৯ তম পদ বের করি:
১ম ধারায়:
৩৯ তম পদ = ১ + (৩৯-১)১ = ৩৯
২য় ধারায়: ৩৯ তম পদ = ২ + (৩৯-১)২ = ৭৮
অংকটি কর,
একটি ধারার ২০ তম পদ ১১৭ এবং ১১ তম পদ ৬৩, ধারাটির প্রথম পদ কত?
প্রতিটি লেকচারে নতুন নতুন লিখা যুক্ত হচ্ছে, তাই কাঙ্খিত কোন লিখা না পেলে দয়া করে কিছুদিন পর আবার ভিজিট করে দেখবেন।
লিখাতে কিংবা লেকচারে কোন ভুলত্রুটি থাকলে অথবা আপনার কাঙ্খিত লিখা খুঁজে না পেলেইশিখন.কম এর ফ্যানপেইজ অথবা নিচে কমেন্ট কর