বি সি এস লিখিত পরীক্ষা নিয়ে কিছু কথা এবং পরামর্শ

বি সি এস লিখিত পরীক্ষা নিয়ে কিছু কথা—

১- বিগত বছরের লিখিত পরীক্ষার প্রতিটি বিষয়ের প্রশ্নগুলো আগে একবার দেখে নিন ।
২- একটি খাতায় নোট কর যে solid নম্বর কত আছে ,সেগুলো মিস করা যাবেনা এমন চেষ্টা করবেন ।
৩- প্রতিটা পরীক্ষা সমান পরিমান ভালো দেয়া হয়তোবা সম্ভব না,তাই চেষ্টা করবেন average এ যেন একটা ভালো পরীক্ষা হয় ,কোন বিষয় যেন খুব খারাপ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন ,বিশেষ নজর দিতে হবে বিজ্ঞান,গনিত,মানসিক দক্ষতা ,ইংরেজী ১ম পত্র এবং বাংলা প্রথম পত্রের দিকে ।যাদের গনিত এবং বিজ্ঞান ভালো হবে তাদের অন্যান্য পরীক্ষার উপর load অনেকটা কমে যাবে ।
৪- বর্ণনামূলক প্রশ্নগুলো traditional ভাবে না লিখে একটু হলেও special ভাবে লেখার চেষ্টা কর ,আপনার খাতাটা দেখে যেন ভালো একটা ধারনা হয় স্যারদের ।প্রচুর reference দেয়ার চেষ্টা কর ,এর জন্য যে খুব স্টাডি প্রয়োজন তা কিন্তু না,দরকার একটা ভালো প্লানিং ,যেমন আপনি আগেই ঠিক করে রাখবেন যে কি টাইপ প্রশ্ন কিভাবে উত্তর করা শুরু করবেন ,যেমন শুরুতে একটা বিখ্যাত মানুষের দেয়া সংজ্ঞা বা উক্তি ইত্যাদি ।common কিছু topic গুলো একটা খাতায় লিখে ফেলুন যেমন মুক্তিযুদ্ধ, দুর্নীতি, পরিবেশ, অপরাধ,বিশ্ব অস্থিরতা, যুদ্ধ, চুক্তি, নারীর অধিকার /স্বাধীনতা,সংবিধান ইত্যাদি ।পরে গুছিয়ে ফেলুন যে এই টাইপ প্রশ্ন যাই আসুক না কেন আপনি আপনার প্ল্যান অনুযায়ী শুরু করবেন ।
৫- বিখ্যাত উক্তি,বই এর refrence ,সংবিধানের অনুচ্ছেদ ,মানচিত্র, ছক,গ্রাফ, পত্রিকার নাম তারিখসহ reference বিভিন্ন topic ভিত্তিক,ওয়েবসাইট এর ঠিকানা ইত্যাদি প্রশ্ন ভিত্তিক লিখে আসার চেষ্টা কর ,এমনটা নয় যে আপনাকে এক প্রশ্নেই সব লিখতে হবে,আপনি আগে থেকেই প্ল্যান করে রাখবেন যে কি টাইপের প্রশ্নের উত্তরে কোন reference টা দিবেন ।কিছু ছক তৈরি করে রাখুন যে আপনি সেগুলো অবশ্যই দিয়ে আসবেন,যেকোনো উত্তরে লেখার মাধ্যমে কিন্তু যেকোনো topic নিয়ে আসা সম্ভব,এটা অভ্যাস কর তাহলে আপনার reference দেয়াটা অনেক সহজ হবে,পাতা পাতা ভরে লিখে আসলেই যে নম্বর বেশি আসবে ধারনাটা ঠিক নয়,এমন ভাবে উত্তর করে আসবেন যেন আপনার খাতার একটা আলাদা weight থাকে ( এই weight মানে খাতার ওজন নয় ),বাংলা লাইন লেখার সময় একটু সাহিত্য টাইপের লেখার অভ্যাস কর,আপনার বাংলা লেখার মানটা উন্নত করার চেষ্টা কর,কি টাইপ প্রশ্নের উত্তরে কি reference দিবেন তা একটা খাতায় নোট করে ফেলুন,অযথা প্ল্যান ছাড়া random স্টাডি করে random লিখে আসলে তেমন ভালো কিছু হবার সম্ভাবনা কম, স্টাডি করার চেয়ে যেটি স্টাডি করবেন তা apply করার দিকে খেয়াল রাখুন, special reference গুলো নীল কালিতে উত্তর করতে পারেন । বিজ্ঞানে যেখানে সম্ভব না চাইলেও একটা চিত্র দিয়ে আসুন, সেটা অবশ্যই প্রাসঙ্গিক হতে হবে, বাংলাদেশ এবং বিশ্বের মানচিত্রই নিয়ে ভালো ধারনা রাখুন এবং পারলে দৈনিক একটু করে মানচিত্র দেখতে থাকুন, একেক দিন একেক region দেখুন ।
৬- মনে রাখবেন বি সি এস এর মেইন পরীক্ষা হল লিখিত পরীক্ষা ।বাস্তবিকভাবে লিখিত পরীক্ষা যাদের ভালো হয় তারাই সফল হয়, আপনারা খেয়াল করবেন অনেকের ভাইভা খুব ভালো হবার পরও তাদের চাকুরী হয়না,সাধারনত তাদের লিখিত পরীক্ষার নম্বর কম থাকার কারনে এটা হয়, যেহেতু রেজাল্ট লিখিত আর ভাইভার নম্বর মিলিয়ে সম্মিলিতভাবে দেয়া হয়, যেমন কেউ লিখিত পরীক্ষায় ৯০০ এর মধ্যে ৫৭০ পেল আর ভাইভা তে ১০০= ৬৭০,আবার কেউ লিখিত পরীক্ষায় ৫২০ পেল এবং ভাইভা তে পেল ১৪০=৬৬০,তাহলে চাকুরীটা কার হবার সম্ভাবনা বেশি?আমি just একটা তুলনামুলক কথা বললাম ।

*** মূলকথা প্ল্যান করে স্টাডি কর, অযথা অনেক বেশি স্টাডি করে মাথা খারাপ করার দরকার নেই, প্রতিটা বিষয় ৭ দিন করে সময় নিয়ে যেটি পারবেন স্টাডি করে ফেলুন তারপর আরেকটি বিষয় শুরু কর ,ইংরেজীতে অবশ্যই যেকোনো ভালো গ্রামার বই থেকে অনুবাদ প্র্যাকটিস কর ।

** কোন গুজবে কান দেবেন না,নিজের মত নিজেকে তৈরি কর, সফল আপনি হবেনই ।

আরো পড়ুন:

লিখিত প্রস্তুতি সম্ভাবনাময় প্রশ্নঃ সংবিধান

৩৭ তম লিখিত প্রস্তুতি- পোশাক শিল্প

বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতিকৌশলঃ বাংলা

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline