
বিসিএস ও ব্যাংক লিখিত প্রস্তুতি
পোশাক শিল্পঃ
::বেসরকারি উদ্যোগে ১৯৭৬ সালে যাত্রা শুরু করা তৈরি পোশাক শিল্প ১৯৭৮ সাল থেকে রপ্তানী শুরু করে।
উৎসঃ বাংলাপিডিয়া।
:: বাংলাদেশ প্রায় ৩০টি দেশে পোশাক রপ্তানি করে, তবে রপ্তানি মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ-এর বাজারে কেন্দ্রীভূত যেটি এই শিল্পের বড় দূর্বলতা।মোট রপ্তানির ৯০%-এর অধিক যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ বাজারে বিক্রি হয়। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে মোট রপ্তানির ৪০% এবং ইইউতে ৫০% রপ্তানি হয়।
উৎসঃ বাংলাপিডিয়া।
::তৈরি পোশাক শিল্প বাংলাদেশে রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত। এ খাতে ৪০ লাখের বেশি শ্রমিক সরাসরি কাজ করে তন্মধ্যে ৮০% ই কম-সুবিধাভোগীই নারী।
উৎসঃ বস্ত্র সেল, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
::বিভিন্ন দেশে শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরিঃ
দেশ
মাসিক মজুরি
(US ডলার)
থাইল্যান্ড
———- ২৩৭
চীন
— ১৬৬
ফিলিপাইন
——– ১৫২
ভিয়েতনাম
——— ৯০
ইন্দোনেশিয়া
——- ৭৪
ভারত
— ৭০
বাংলাদেশ
———— ৬৮
উৎসঃ ILO’র ২০১৪ সালের সমীক্ষা।
::বাংলাদশের একজন পোশাক শ্রমিক জীবনধারণের উপযোগি মজুরির মাত্র ১৪% পান।
উৎসঃ ওয়ার্কাস রাইটস কনসোর্টিয়াম।
::বাংলাদেশ একশন প্লান-২০১৩”, “সাসটেইন্যাবল কমপ্যাক্ট” এবং “জাতীয় ত্রি-পক্ষীয় কর্ম-পরিকল্পনা” বাস্তবায়নের মাধ্যমে তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে কমপ্লায়েন্সের উন্নতি হচ্ছে।এছাড়া, মুন্সিগঞ্জ জেলার বাউশিয়ায় প্রায় ৫৩০ একর জমির উপর ‘গার্মেন্টস শিল্প পার্ক’’ স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে।
উৎসঃ বস্ত্র সেল, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
::দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের সাপ্লাই চেইনের (সরবরাহ ব্যবস্থায়) তিনটি পর্যায়ে অন্তত ১৬টি ধাপে দুর্নীতি হচ্ছে।
উৎসঃ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), ১৪ জানুয়ারি ২০১৬ এর রিপোর্ট।
::পোশাক শিল্পের যেকোনো সমস্যা সমাধানে কার্যকর ও অর্থবহ সামাজিক সংলাপ দরকার বলে মনে করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বেনোইত পিয়েরে লারামি।
উৎসঃ অর্থসূচক.কম।
::তৈরি পোশাক কারখানাগুলোকে ‘সবুজ প্রযুক্তির’ আওতায় নিতে সরকার ও ক্রেতাদের সহায়তা চেয়েছে দেশের পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
উৎসঃ বণিকবার্তা.কম, ২০১৬।
::২০০৬-০৭ অর্থ বছরে পোশাক খাতের রপ্তানি আর্ন ছিল ৯.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেটি ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে প্রায় ২৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ সাত বছরে দ্বিগুণের ও বেশি আর্ন হয়েছে। রপ্তানির এই পরিসংখ্যান থেকে ধরে নেয়া যায় ২০২১ সালে পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৫০ বিলিয়ন নয়, ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার উন্নয়ন সম্ভব।
উৎসঃ বি.জি.এম.ই.এ ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর পরিসংখ্যান।
::চীনের মত বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রয়েছে। বাংলাদেশের পোশাক শিল্প তাদের দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছে।
উৎসঃ ম্যাকেনজি ’ একটি শীর্ষস্থানীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান।
:: পোশাক খাতে বাংলাদেশের বিকল্প ইউরোপ আমেরিকার অনেক ক্রেতার কাছে নেই। চীন বিশ্বের প্রতিষ্ঠিত ক্রেতাদের আকর্ষণ হারাচ্ছে। বিপরীতে পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহকারী হিসাবে বাংলাদেশ তার জায়গা করে নিচ্ছে।
উৎসঃ ম্যাকশনসে এন্ড কোম্পানি,
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান।
::বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ক্রমবিকাশ, সাম্প্রতিক পরিস্থিতি,সমস্যা ও সম্ভাবনার একটি চিত্র ফুটে উঠেছে। পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষস্থানে উঠে আসার সুযোগ এখন ও বাংলাদেশের রয়েছে।
উৎসঃ’বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদনে, বিশ্বব্যাংক।
::বর্তমানে বিশ্বে তৈরি পোশাকের বাজার ৪৫০ বিলিয়ন ডলারের। চীন একাই ১৬০ বিলিয়ন ডলার বা ৩৫.৫ শতাংশের অংশীদার। সে তুলনায় বাংলাদেশের হিস্যা মাত্র ৫.৪ শতাংশ। আমাদের অংশীদারিত্ব ৮ শতাংশে নিতে পারলে ৫০ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথ সুগম হবে।
উৎসঃ বণিকবার্তা.কম।
::ইউরোপের প্রধান দেশে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের আর্ন স্থিতিস্থাপকতা ২% এর মতো। ওসব দেশের আর্ন ১% বাড়লে, বাংলাদেশি পোশাকের রপ্তানি বাড়বে ২% এর মতো ।
উৎসঃ বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বি আই ডি এস)।
::বিভিন্ন সময়ে পোশাক শিল্পে নিহতের পরিমাণঃ
সাল————-দুর্ঘটনা
——-নিহত
২০০৫—- স্পেকট্রাস ভবন ধ্বস——- ৬৪
২০০৬ —কেটিএস এ অগ্নিকান্ড ——– ৫৫
২০১২ — তাজরিন ফ্যাশনে অগ্নিকান্ড-১১২
২০১৩— রানা প্লাজা ধ্বস ———— ১১২৭
উৎসঃ ইন্টারনেট।
::গত কয়েক বছরে বিশ্ব বাজারে তৈরি পোশাকের মূল্য উল্লখযোগ্য হারে কমে গেছে।বিশেষ করে ওভেন পোশাকের কাটিং এন্ড মেকিং ( CM) চার্জ কমেছে ১৫% এর বেশি।উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন আগে যেখানে প্রতি ডজন পোশাকে CM পাওয়া যেত ১০ ডলার, বর্তমানে তা ৬-৭ ডলারে নেমে গেছে।
::বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ১১৫ প্রকারের পেশাকের চাহিদা রয়েছে, এর মাঝে ইউরোপিয় ইউনিয়নের দেশসমূহের চাহিদা রয়েছে ৮৫ রকমের পোশাকের।
বাংলাদেশ মাত্র ৩৬ রকমের পোশাক উৎপাদন করতে সক্ষম।অপরদিকে চীন ৯০ রকমের, হংকং ৬৫ রকমের, ভারত ৬০ রকমের পোশাক রপ্তানী করে থাকে।
::২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদশের রপ্তানী আয়ের ৮১.৬৮% (তৈরি পোশাক ৪১.৮৬% ও নীটওয়্যার ৩৯.৮২%) পোশাক শিল্প থেকে আর্ন করে।
উৎসঃ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৫।
::বিভিন্ন দেশ থেকে পোশাক রপ্তানী হতে আয়ের শতবরা হিসাবঃ
দেশ
– আর্ন (%)
যুক্তরাষ্ট্র
————- ২০.০৬
জার্মানি
————- ১৪.৭৫
যুক্তরাজ্য
———— ১০.৪২
ফ্রান্স
— ৫.৩৭
অন্যান্য
————– ৪৯.৪
::নিম্নে ছকের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিভিন্ন বছরে কারখানার সংখ্যা তুলে ধরা হলো- সাল —————কারখানার সংখ্যা
২০১০ ————– ৫০৬৩
২০১১ ————— ৫১৫০
২০১২ —————৫৪০০
::পোশাক শিল্প হতে বিভিন্ন অর্থবছরে আয়ঃ(মিলিয়ন ডলার)
অর্থবছর ——তৈরি পোশাক — নিটওয়্যার
২০১০-১১ ——- ৮৪৩২ ————– ৯৪৮২
২০১১-১২ ——– ৯৬০৩ ————– ৯৪৮৬
২০১২- ১৩ ——- ১১০৪০ ————– ১০৪৭৬
২০১৩-১৪ ——— ৮২২৮ ————— ৭৯১০
উৎসঃ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো।
আরো পড়ুন: