চাকরি স্থায়ীকরণের নামে শিক্ষকদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

চাকরি স্থায়ীকরণের কথা বলে রাঙামাটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাড়ে তিনশো শিক্ষকদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষকরা জানান, সংগঠনের প্রভাব কাঠিয়ে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ওই সংগঠনটির কর্মকর্তারা।

তারা বলেন, রাঙামাটি সদর উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৮৯টি। এসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭৩ জন প্রধান শিক্ষক এবং ৩০০ জন সহকারী শিক্ষকের চাকরি স্থায়ীকরণের কথা বলে প্রত্যেক শিক্ষককের কাছ থেকে এক থেকে দেড় হাজার টাকা করে সংগ্রহ করে সংগঠনটির কর্মকর্তারা।

ভুক্তভোগী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, তাদের মধ্যে যাদের চাকরির বয়স ২৫ বছর কিংবা তারও বেশি হয়ে গেছে তাদের অনেকেরই এখনো চাকরি স্থায়ী হয়নি। গত বছর থেকে অফিস আদেশ হয়েছে শিক্ষকদের চাকরি অবশ্যই স্থায়ীকরণ করতে হবে। না করলে পেনশনে গেলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেবে। তাই এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাঙামাটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি টাকা সংগ্রহের জন্য সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি শিক্ষকদের কাছ থেকে চাকরি স্থায়ীরণের কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেয়।

কবি অরুণ রায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা বাপ্পী রাণী চৌধুরী বলেন, চাকরি স্থায়ীরণের কথা বলে রাঙামাটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি আমার কাছ থেকে এক হাজার টাকা এবং আমার সহকর্মী স্বরসতী মজুমদারের কাছ থেকে সমকক্ষ টাকা নেয়।

রাজা নলিনাক্ষ রায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রিনা তালুকদার জানান, চাকরি স্থায়ীকরণের কথা বলে আমার কাছ থেকে রাঙামাটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির নেতারা এক হাজার টাকা নিয়েছে।

রাঙামাটি সদর উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নজির আহম্মদ জানান, এ ব্যাপারে আমি কোনো কথা বলতে চাই না। আমরা প্রধান শিক্ষকরা মিলে আলোচনা করে পরে জানাবো।

রাঙামাটি সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ত্রিরতন চাকমা জানান, চাকরিতে যোগদানের তিন বছরের মধ্যে চাকরি স্থায়ী হওয়ার কথা। কিন্তু রাঙামাটির অসংখ্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের চাকরি স্থায়ী না হওয়ায় এখন তা নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে।

এ শিক্ষা কর্মকর্তা আরো বলেন, চাকরি স্থায়ীকরণের নামে শিক্ষকদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের কোনো সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রওশন আলী জানান, অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

আরো পড়ুন:

ভুয়া সনদ দেখিয়ে একই স্কুলে ৫ জন শিক্ষক চাকরি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে

ডাচ-বাংলা ব্যাংকে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ, ৩৫ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ

মন্তব্য করুন

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline