এসএসসি হিসাববিজ্ঞান নৈর্বত্তিক পরীক্ষা প্রস্তুতিঃ তৃতীয় অধ্যায় দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি

এসএসসি হিসাববিজ্ঞান নৈর্বত্তিক পরীক্ষা প্রস্তুতিঃ তৃতীয় অধ্যায় দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি

সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে নবম-দশম শ্রেণীর হিসাববিজ্ঞানঃ এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকি নৈর্ব্যত্তিক পরীক্ষা প্রস্তুতিঃ তৃতীয় অধ্যায় দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি এর বহুনির্বাচনী বা নৈর্ব্যত্তিক সাজেশন লিখতে যাচ্ছি। আশা করি নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য উপকারী হবে।

 

নবম-দশম শ্রেণীর হিসাববিজ্ঞানঃ এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকি নৈর্ব্যত্তিক পরীক্ষা প্রস্তুতিঃ অধ্যায় ৩য়

দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি

  • দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি হলো নির্ভরযোগ্য, বিজ্ঞানসম্মত, পূর্ণাঙ্গ ও স্বয়ংসম্পূর্ণ হিসাব সংরক্ষণ পদ্ধতি।
  • দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি- ডেবিট ও ক্রেডিট নির্ধারণ পদ্ধতি।
  • বর্তমানে হিসাবে ভিত্তি- দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি।
  • যে পদ্ধতিতে প্রতিটি লেনদেনের ডেবিট ও ক্রেডিট, এ উভয় দিকে লিপিবদ্ধ করা হয়- দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে।
  • দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে সুবিধা গ্রহণকারী হিসাবটিকে বলা হয়- ডেটর।
  • দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে সুবিধা প্রদানকারী হিসাবটিকে বলা হয়- ক্রেডিটর।
  • প্রতিটি লেনদেন কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান একই সঙ্গে পরিবর্তন ঘটায় দুটি।
  • প্রতিটি লেনদেন হিসাব সমীকরণকে প্রভাবিত করে।
  • দুতরফা দাখিলা পদ্ধতির মূল নীতি বা বৈশিষ্ট্য- পাঁচটি। যথা- ১) দ্বৈতসত্তা, ২) দাতা ও গ্রহীতা, ৩) ডেবিট ও ক্রেডিট করা, ৪) সমান অঙ্কের আদান- প্রদান, ৫) সামগ্রিক ফলাফল।
  • দুতরফা দাখিলায় মোট ডেবিট টাকা- মোট ক্রেডিট টাকার সমান হবে।
  • ব্যবসায়ের মূল উদ্দেশ্য- মুনাফা অর্জন করা।
  • ধারে পণ্য ক্রয়সংক্রান্ত লেনদেন লিপিবদ্ধ হয়- ক্রয় জাবেদায়।
  • ধারে পণ্য বিক্রয়সংক্রান্ত লেনদেন লিপিবদ্ধ হয়- বিক্রয় জাবেদায়।
  • ধারে ক্রীত পণ্য ফেরতসংক্রান্ত লেনদেন লিপিবদ্ধ হয়- ক্রয় ফেরত জাবেদায়।
  • ধারে বিক্রীত পণ্য ফেরতসংক্রান্ত লেনদেন লিপিবদ্ধ হয়- বিক্রয় ফেরত জাবেদায়।
  • নগদ প্রাপ্তিসংক্রান্ত লেনদেন লিপিবদ্ধ হয়- নগদ প্রাপ্তি জাবেদায়।
  • নগদ প্রদানসংক্রান্ত লেনদেন লিপিবদ্ধ হয়- নগদ প্রদান জাবেদায়।
  • দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে সুবিধা – ১) পরিপূর্ণ হিসাব সংরক্ষণ, ২) লাভ-লোকসান নিরূপণ, ৩) গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাই, ৪) আর্থিক অবস্থা নিরূপণ, ৫) ভুলত্রুটি ও জালিয়াতি উদঘাটন প্রতিরোধ, ৬) ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, ৭) মোট দেনা পাওনাদার পরিমাণ নির্ণয়, ৮) সঠিক কর নির্ধারণ, ৯) সহজ প্রয়োগ, ১০) সার্বজনীন স্বীকৃতি।
  • হিসাব সমীকরণের ভিত্তি হলো- মোট ডেবিট টাকা= মোট ক্রেডিট টাকা।
  • হিসাব সমীকরণের মূল উপদানগুলো হচ্ছে- সম্পদ, দায় ও মালিকানাস্বত্ব।
  • আর্থিক বিবরণীর খসড়াস্বরূপ ব্যাবহার করা হয়- কার্যপত্র(Work sheet)
  • হিসাব চক্রের ধাপগুলো হচ্ছে- দশটি। যথা- ১) লেনদেন শনাক্তকরণ, ২) লেনদেন বিশ্লেষণ, ৩) জাবেদাভুক্তকরণ, ৪) খতিয়ানে স্থানান্তর, ৫) রেওয়ামিল প্রস্তুতকরণ, ৬) সমন্বয় দাখিলা ৭) কার্যপত্র প্রস্তুতকরণ, ৮) আর্থিক বিবরণী প্রস্তুত, ৯) সমাপনী দাখিলা, ১০) হিসাব পরবর্তী রেওয়ামিল বা প্রারম্ভিক জাবেদা।
  • হিসাবচক্রের বিভিন্ন ধাপ ধারাবাহিকতা রক্ষা করে- পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বছরের মধ্যে।
  • একতরফা দাখিলা পদ্ধতি- অসম্পূর্ণ ও ত্রুটিপূর্ণ।
  • সমাপনী মূলধনঃ প্রারম্ভিক মোট সম্পদ- প্রারম্ভিক মোট দায়।
  • লাভ/ ক্ষতিঃ {সমাপনী মূলধন + উত্তোলন) – (প্রারম্ভিক মূলধন + অতিরিক্ত মূলধন)

 

আশা করছি, উপরের তথ্যগুলো নবম দশম শ্রেণীর অথবা এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকির কমার্স ব্যাকগ্রাউন্ড এর  শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে আসবে।

বিঃ দ্রঃ উপরোক্ত তথ্যগুলো হিসাববিজ্ঞানের যেকোনো মৌলিক জ্ঞান মেটাবে। তাই, ভার্সিটি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদেরও উপকারে আসতে পারে।

 

আরো পড়ুন:

কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদের বৈধতা প্রশ্নে অনুষ্ঠিত সভা শেষ হয়েছে

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফি কমানোর দাবিতে শিক্ষার্থীদের ধর্মঘট

রহমতুল্লাহ মডেল হাই স্কুলে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় ৭৪ শতাংশ পাস করেছে

গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান ডিপ্লোমা পরীক্ষা আগামী ১৯শে ডিসেম্বর শুরু হবে

এসএসসিএইচএসসি ফরম পূরণে বাড়তি ফি ফেরত না দিলে ম্যানেজিং কমিটির কার্যক্রম স্থগিত: হাই কোর্ট

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline