
বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের কর্মবিরতির কর্মসূচি বিবেচনায় নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষঅনার্স তৃতীয় বর্ষের পূর্ব নির্ধারিত পরীক্ষা স্থগিত করেছে। আজ ১৬ই মে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা পেছানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ১৪ই মে। যদিও গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে ‘অনিবার্য’ কারণে পরীক্ষা স্থগিত। ১৬ ই মে’র পরীক্ষাটি ১০ই জুন অনুষ্ঠিত হবে।
বি সি এস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নেতৃবৃন্দের দাবীর মুখে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষপরীক্ষাটি স্থগিত করেছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। সরকারি কলেজ শিক্ষকরা জানিয়েছেন, কর্মবিরতি বাস্তবায়নে সোমবার রাতেই তারা সমিতির পক্ষ থেকে মোবাইল-ফোন” target=”_blank”>মোবাইল ফোনে মেসেজ পেয়েছেন। শিক্ষা ভবনে কর্মরত কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা আজ অফিসে থাকবেন কিন্তু কোনো কাজ করবেন না।
এছাড়াও এইচএসসি(HSC) বা উচ্চ মাধ্যমিক’র ব্যবহারিক পরীক্ষা আজ ১৬ই মে শুরু হওয়ার কথা ছিলো। ১৫ই মে আন্ত:শিক্ষাবোর্ডর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় ১৬ই মে’র পরিবর্তে ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৭ই মে থেকে শুরু হবে।
দেশের বিভিন্ন সরকারি কলেজে শিক্ষকদের ওপর অন্যায় আচরণ, শারীরিক নির্যাতনসহ নানাবিধ হামলা ও হুমকির প্রতিবাদ ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে সমিতির নেতৃবৃন্দ। গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, জড়িতদের বিচার না হলে সব সরকারি কলেজে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্ম বিরতি বাস্তবায়ন করা হবে।
বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষকরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়াধীন স্নাতক পাস ও সম্মান শ্রেণির ক্লাস ও পরীক্ষা নেন। উচ্চমাধ্যমিকের ক্লাস ও পরীক্ষাও নেন তারা। ১০টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান-সচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ সবগুলো পদে শিক্ষা ক্যাডার সদস্যদের প্রেষণে পদায়ন করা হয়।
জানতে চাইলে বি সি এস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, বিভিন্ন কলেজে আজ সরকারি কলেজ শিক্ষকরা নানাভাবে লাঞ্ছিত। এর শক্ত প্রতিবাদ না করা নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব। ১ম শ্রেণির ক্যাডার কর্মকর্তা হয়েও যদি নিরাপদে চাকরি করতে না পারি। এর চেয়ে দুু:খ আর কী হতে পারে?
আশাকরি সরকার আমাদের যৌক্তিক ও ন্যায্য দাবী মেনে নিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অতিসত্ত্বর নির্দেশ দেবেন।
আরো পড়ুন: