বিসিএস – প্রিলিমিনারি – বাংলা ভাষা ও সাহিত্য – পদাশ্রিত নির্দেশক

(বাংলা ব্যাকরণ থেকে BCS প্রিলিমিনারিতে সর্বোচ্চ ১৫ নম্বর থাকবে ।)

পদাশ্রিত নির্দেশক:

বাংলা ভাষায় কিছু কিছু প্রত্যয় বা শব্দাংশ শব্দের শেষে ‍যুক্ত হয়ে পদটির নির্দিষ্টতা কিংবা অনির্দিষ্টতা জ্ঞাপন করে। এগুলোকে পদাশ্রিত নির্দেশক বলে।

অর্থাৎ, যে সব প্রত্যয় বা শব্দাংশ পদের নির্দিষ্টতা কিংবা অনির্দিষ্টতা নির্দেশ বা প্রকাশ করে, তাদেরকেই পদাশ্রিত নির্দেশক বলে। এরা সাধারণত পদের শেষে যুক্তভাবে বসে। তবে অনেক পদাশ্রিত নির্দেশক পদের আগেও বসে।

[পদাশ্রিত নির্দেশক ইংরেজী Article (a(n), the) এর মতো কাজ করে।]

বচনভেদে বিভিন্ন পদাশ্রিত নির্দেশক ব্যবহৃত হয়। যেমন-

একবচনে ব্যবহৃত পদাশ্রিত নির্দেশক : টি, টা, খানা, খানি, গাছা, গাছি, ইত্যাদি। যেমন- টাকাটা, ছেলেটি, কাপড়খানা, বইখানা, লাঠিগাছা, চুড়িগাছি, ইত্যাদি।

বহুবচনে ব্যবহৃত পদাশ্রিত নির্দেশক : গুলি, গুলা, গুলো, গুলিন, ইত্যাদি। যেমন- মানুষগুলি, লোকগুলো, আমগুলো, পটলগুলিন, ইত্যাদি।

বিশেষ প্রয়োগ ; পরিমাণের স্বল্পতা বোঝাতে : কোনো সংখ্যা বা পরিমাণের স্বল্পতা বোঝাতে ব্যবহৃত পদাশ্রিত নির্দেশক- টে, টুক, টুকু, টুকুন, টো, গোটা, ইত্যাদি। যেমন- চারটে ভাত, দুধটুকু, দুধটুকুন, দুটো ভাত, গোটা চারেক আম, ইত্যাদি।

এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline