বিসিএস প্রিলিমিনারি কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি কম্পিউটার সংগঠন
কম্পিউটারের সংগঠন
কম্পিউটারকে কাজের উপযোগী করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশগুলো সঠিকভাবে স্থাপন করতে হয় এবং যন্ত্রাংশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে হয়।প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশগুলো যথাযথভাবে অবস্থানে স্থাপন ও যন্ত্রাংশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সংযোগ স্থাপনকেই কম্পিউটার সংগঠন বলে।
কম্পিউটারকে প্রধান দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। এর সংগঠনটিও দুটি ভাগে বিভক্ত। কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার অংশে এক সময় কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশ, গানিতিক যুক্তি ইউনিট, কন্ট্রোল ইউনিট, ইনপুট-আউটপুট, মেমোরি ইত্যাদি আলাদা আলাদা ভাবে থাকত। বাংলাদেশে অবস্থিত প্রথম আইবিএম১৬২০ কম্পিউটারটিতেও এমন ব্যবস্থা রয়েছে। ঐ কম্পিউটারটি এখন বিজ্ঞান জাদুঘরে রয়েছে। এখনকার দিনের কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার কাঠামো তেমন নয়। তখনকার সফটওয়্যারের ও কাঠামো ছিল ভিন্ন।
এখন কম্পিউটারের ভাগ গুলো হচ্ছে এরকম –
প্রথমত কম্পিউটারের দুটি ভাগ : হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার। (Hardware & Software)
হার্ডওয়্যারের তিনটি অংশ : সিপিইউ, ইনপুট ও আউটপুট। (CPU, Input & Output)
সফটওয়্যার দুই প্রকার : অপারেটিং সিস্টেম ও এ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম।
কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ভাগের প্রধান অংশ কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরন ইউনিট বা সিপিইউ। এটি ডেস্কটপ কম্পিউটারের ক্ষেত্রে আজকাল কম্পিউটারের কেসিঙের ভেতরে বিন্যস্ত করে বসানো থাকে। এই কেসিঙের সাথে থাকে একটি পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট। পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট কম্পিউটারের যাবতীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। একমাত্র মনিটর, প্রিন্টার, স্ক্যানার ছাড়া সব কিছুর বিদ্যুৎই এই পাওয়ার সাপ্লাই থেকে পাওয়া যায়। মনিটর বা স্ক্যানার ও কখনও কখনও পাওয়ার সাপ্লাই থেকে বিদ্যুৎ পেয়ে থাকে।
ল্যাপটপ, পামটপ, পিডিএ বা অন্য বহনযোগ্য কম্পিউটারের কেসিং বা খাঁচাটির উপরিভাগে ইনপুট যন্ত্র হিসাবে কীবোর্ড ও মাউসের বিকল্প হিসেবে ট্র্যাকপ্যাড যুক্ত থাকে। এতে আলাদাভাবে কিবোর্ড ও মাউস যুক্ত করার ব্যবস্থা থাকলেও এসব ছাড়াই এটি হতে পারে একটি পূর্ণাঙ্গ কম্পিউটার। এতে ব্যাটারি দেওয়া থাকে ইউটিলিটি পাওয়ার সাপ্লাইয়ের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করার জন্য।
ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ উভয় ধরনের কম্পিউটারের কেসিং বা খাঁচার ভিতরে থাকে মাদারবোর্ড। মাদারবোর্ডটি আসলে কম্পিউটারের প্রক্রিয়াকরন অংশ। এতে থাকে মাইক্রোপ্রসেসর, রম, র্যাম, ভিডিও ডিসপ্লে, সাউন্ড কার্ড, নেটোয়ার্ক কার্ড ইত্যাদি। মাদারবোর্ডের সাথেই কেসিং বা খাঁচার ভেতরেই থাকে হার্ডডিস্ক, সিডি বা ডিভিডি ড্রাইভ। অন্যদিকে মাদারবোর্ডের বাহিরে থাকেমনিটর, কিবোর্ড, মাউস, প্রিন্টার ইত্যাদির সংযোগ দেয়ার পোর্ট।
মাইক্রোপ্রসেসর বা কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরন ইউনিট বা সিপিইউ
কেন্দ্রীয়প্রক্রিয়াকরন ইউনিট বা সিপিইউ(CPU= Central Processing Unit)হচ্ছে কম্পিউটারে কাজ করার মূল একাকা। কেন্দ্রীয়প্রক্রিয়াকরন ইউনিটকে মাইক্রোপ্রসেসর হিসেবেও অভিহিত করা হয়। ব্যবহারকারীর নির্দেশ অনুযায়ী কম্পিউটারের কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ ইউনিটে সকল কাজের প্রক্রিয়াকরণ সম্পন্ন হয়।কম্পিউটারের কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ ইউনিটেব্যবহারকারীর নির্দেশ পৌঁছার পর ঐ নির্দেশ অনুযায়ী অস্থায়ী স্মৃতিতে অপেক্ষমান তথ্য/উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের কাজ সম্পন্ন হয়। এ ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর তথ্য/উপাত্তএবং নির্দেশ হচ্ছে ইনপুট।
প্রক্রিয়াকরণের কাজ চলার সময় কাজের পর্যায় বা অগ্রগতি কম্পিউটারের সাথে যুক্ত মনিটরে প্রদর্শিত হয়। মনিটরে কাজের হাল অবস্থা প্রদর্শন হচ্ছে আউটপুট। তাছাড়া ব্যবহারকারী নির্দেশ প্রধান করলে মনিটরের পর্দায় প্রদর্শিত ফল কম্পিউটারের সঙ্গে সংযুক্ত প্রিন্টারে মুদ্রনের জন্য প্রেরিত হয়। প্রিন্টারে মুদ্রন নেওয়ার কাজটি হচ্ছে আউটপুট।
কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরন ইউনিটের উল্লেখযোগ্য কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে- কম্পিউটারের মেমোরিতে সঞ্চিত প্রোগ্রাম নির্বাহ করা, গানিতিক যুক্তির কাজ করা, মেমোরি ও গানিতিক যুক্তি অংশের তথ্য প্রক্রিয়াকরণের কাজ করা এবং অন্যান্য অংশের সঙ্গে তথ্য আদান প্রদানের কাজ নিয়ন্ত্রন করা, ইনপুট ও আউটপুট অংশগুলোর সাথে কাজের সমন্বয় বিধান করা ইত্যাদি। বর্তমানে মাইক্রোপ্রসেসরই হচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট। এসব কাজের জন্য মাইক্রোপ্রসেসরের ভিতরে প্রয়োজনীয় সার্কিট থাকে। মাইক্রোপ্রসেসরের ভেতরের সংগঠনকে আবার তিন ভাগে বাগ করা যায়। যেমন- ক) নিয়ন্ত্রন ইউনিট(Control Unit), খ) গানিতিক যুক্তি ইউনিট(Arithmatic Logic Unit) এবং গ)স্মৃতি ইউনিট(Memory)।
ক. নিয়ন্ত্রন ইউনিট :
নিয়ন্ত্রন ইউনিট প্রথমে প্রাপ্ত নির্দেশ পরীক্ষা করে এবং নির্দেশ নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় নির্বাহ সংকেত তৈরী করে। এরপর প্রয়োজনীয় অংশে কার্য সম্পাদনের জন্য নির্বাহ সংকেত প্রদান করে।অনেক সূক্ষ্ম ইলেক্ট্রনিক সার্কিটের সাহায্যে নিয়ন্ত্রন ইউনিট গঠিত। ইনপুট হিসাবে পাওয়া তথ্যগুলো জমা হয় কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ ইউনিটের প্রধান স্মৃতিতে। এই প্রধান স্মৃতিকে বলা হয় র্যাম (RAM = Random Access Memory)। কম্পিউটারে লজিক বোর্ড বা মাদারবোর্ডের সকেটে এই স্মৃতি আলাদাভাবে বিদ্যমান থাকে। নিয়ন্ত্রন ইউনিট র্যাম থেকে তথ্যগুলো গানিতিক যুক্তি ইউনিটে প্রেরন করে।এখানে গানিতিক এবং যুক্তিমূলক কাজগুলো সম্পন্ন হওয়ার পর নিয়ন্ত্রন ইউনিটের নির্দেশে সেগুলো আবার র্যামে গিয়ে জমা হয়।নিয়ন্ত্রন ইউনিট প্রয়োজন হলে র্যামে ফিরে আসা তথ্য আবার গানিতিক যুক্তি ইউনিটে প্রেরন করে পরবর্তী
পর্যায়ের কাজের জন্য।একই সঙ্গে চলতে থাকে কম্পিউটারের সঙ্গে সংযুক্ত মনিটরে ফলাফল প্রদর্শনের কাজ। এটি হচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ ইউনিটের নিয়ন্ত্রন অংশের কাজের চলমান প্রক্রিয়া।
খ.গানিতিক যুক্তি ইউনিট :
যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ ইত্যাদি হচ্ছে গানিতিক কাজের উদাহরন। গানিতিক যুক্তি অংশের কাজকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন :
১. গানিতিক কাজঃ যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ ইত্যাদি এই অংশের কাজের অন্তর্ভুক্ত। দুইটি সংখ্যার মধ্যে কোনটি ছোট, কোনটি বড় বা দুইটি সমান কিনা, যাচাই করে দেখা ও গানিতিক কাজের অন্তর্ভুক্ত।
২. যুক্তিমূলক কাজঃ প্রাপ্ত নির্দেশ অনুযায়ী যুক্তির ভিত্তিতে দায়িত্ব সম্পাদন করা এবং সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়াই এ অংশের প্রধান কাজ। এবং, অথবা, না, নতুবা ইত্যাদি যুক্তিমূলক নির্দেশের ভিত্তিতে এ অংশের কাজ সম্পাদিত হয়।
৩. তথ্য পরিচালনা : তথ্য প্রক্রিয়াকরনের জন্য তথ্য স্থানান্তর করে কোনো রেজিস্টার শূন্য করেদেওয়াই এই অংশের প্রধান কাজ। রেজিস্টারে সংরক্ষিত বাইনারি সংখ্যাকে স্থানান্তর করে ডানে বা বামে শুধুমাত্র এক বিট স্থান পর্যন্ত সরানো যায়।
র্যামঃ
কম্পিউটারের মূল সার্কিট বোর্ড বা মাদার বোর্ডের সাথে যুক্ত একাধিক চিপ সমন্বয়ে র্যাম গঠিত। মাইক্রোপ্রসেসর প্রাথমিকভাবে র্যাম এলাকায় প্রয়োজনীয় তথ্য জমা করে। মাইক্রোপ্রসেসর সরাসরি র্যামের জানা অবস্থান/ঠিকানা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বা তথ্য প্রক্রিয়াজাত করে।
এখানে সরাসরি তথ্য সংগ্রহ করার জন্য যাওয়া যায় বলে একে Random Access Memory বলা হয়। কোন গানের ক্যাসেটের একটি নির্দিষ্ট গান বের করবার জন্য যেমন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে রিউইন্ড বা ফরোয়ার্ড করে যেতে হয়। এ ক্ষেত্রে তা করতে হয় না। সরাসরি নির্দিষ্ট ঠিকানা থেকে নির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
কি ধরনের এ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করা হবেএবং কি পরিমান কাজ করা যাবে তা নির্ভর করে র্যামের এককালীন ধারন ক্ষমতার ওপর। প্রয়োজন মনে করলে অতিরিক্ত এক বা একাধিক র্যাম চিপ যোগ করে র্যামের ধারন ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়। প্রায় সকল কম্পিউটারেই র্যামের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য স্লট বিদ্যমান থাকে।
রম : কম্পিউটারের স্থায়ী স্মৃতিতে বা রমে নতুন করে কোন তথ্য লেখা যায় না বা স্থায়ী স্মৃতিতে লেখা কোন তথ্য মুছে ফেলা যায় না। কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারগুলো সচল রাখার জন্য রমে কিছু অত্যাবশ্যকীয় ও জরুরী নির্দেশ থাকে। এ নির্দেশগুলো মুছে গেলে কম্পিউটার চলে না। এ ধরনের নির্দেশমালা সংরক্ষিত থাকে কম্পিউটারের স্থায়ী স্মৃতি বা রম এ। কাজেই ব্যবহারকারী ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে এসব নির্দেশমালা মুছে ফেলতে পারেন না। এই সব নির্দেশমালা শুধু পাঠ করা যায় বলে একে রিড অনলি মেমোরি (ROM-Read Only Memory) বলে। যেহেতু বিশেষ ব্যবস্থা ছাড়া এই স্মৃতির তথ্য মুছে ফেলা যায় না সেহেতু এই স্মৃতিকে স্থায়ী স্মৃতি ও বলা হয়। র্যামের নির্দেশমালাকে অনেক সময় Firmware হিসেবেও অভিহিত করা হয়।
ইপিরম : ইপিরম হচ্ছে Eraseable Programmable Read Only Memory- এর সংক্ষিপ্ত রুপ। অর্থাৎ যেসব স্থায়ী স্মৃতি প্রোগ্রাম করা যায় এবং প্রয়োজনে মুছে ফেলা যায় তাকেই ইপিরম বলে (EPROM)বলে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে একবার প্রোগ্রাম করার পর তা মোছা যায় না। সে ক্ষেত্রে ইপিরম থেকে প্রোগ্রাম মুছে ফেলার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহন করতে হয়।
র্যাম ক্যাশ: কম্পিউটারের কাজের গতি বাড়ানোর জন্য র্যাম ক্যাশ(RAM Cache)ব্যবহার করা হয়। র্যাম ক্যাশ হচ্ছে র্যামের অংশবিশেষ। কোনো এ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামে কাজ করার জন্য যে তথ্যগুলো বার বার ব্যবহৃতহয়, সে তথ্যগুলো র্যাম ক্যাশে জমা থাকে।ফলে, ঐ তথ্যগুলো খোঁজার জন্য এ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামকে বারবার ডিস্কে যেতে হয় না।কাজেই এ্যাপ্লিকেশনের কাজের গতি বৃদ্ধি পায়। র্যাম ক্যাশ কিছু জায়গা দখল করে রাখে । অতএব, যে এ্যাপ্লিকেশন চালানোর জন্য বেশি স্মৃতির প্রয়োজন। সে এ্যাপ্লিকেশনের ক্ষেত্রে র্যাম ক্যাশ ব্যবহার না করাই ভালো। নিয়ম অনুযায়ী মোট র্যামের এক-চতুর্থাংশের বেশি র্যাম ক্যাশের জন্য ব্যবহার করা ঠিক নয়।
র্যামে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে তথ্য জমা থাকে বলে র্যামের সব তথ্য অস্থায়ীভাবে বিদ্যমান থাকে। বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ হলে র্যামের আওব তথ্য মুছে যায়। এ জন্য কাজ করার সময় কিছুক্ষন পর পর সেভ (Save)বা সংরক্ষন করতে হয়। সংরক্ষন করা কাজ ডিস্কে চলে যায়। ডিস্কের তথ্য মুছে না ফেলা পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকে। ডিস্ককে বলা হয় সহায়ক স্মৃতি।
ফ্লপি ডিস্ক: ফ্লপি ডিস্ক সোয়া ৫ বা সাড়ে ৩ বর্গ ইঞ্চির একটি চাকতির মত। ধারন ক্ষমতা অনুযায়ী ফ্লপি ডিস্ক আবার কয়েক ধরনের হয়। সাধারন ফ্লপি ডিস্কের ধারন ক্ষমতা ৭২০/৮০০ কিলবাইট পর্যন্ত এবং হাই ডেনসিটি ফ্লপি ডিস্কের ধারন ক্ষমতা ১.২/১.৪ মেগাবাইট পর্যন্ত। বর্তমানে ফ্লপি ডিস্কের ব্যবহার বিলুপ্তির পথে।
হার্ডডিস্ক: কম্পিউটারের হার্ডডিস্ককে একসময় ফিক্সড ডিস্ক বলা হত। হার্ডডিস্ক হচ্ছে অসংখ্য ফ্লপি ডিস্কের ক্ষমতা সম্পন্ন একটি বড় আকারের ডিস্ক। হার্ডডিস্ক সাধারনত কম্পিউটারের কেসিং এর ভেতরে থাকে। কম্পিউটারের কেসিং এর ভেতর অবস্থিত হার্ডডিস্ক কে অভ্যন্তরীণ
হার্ডডিস্ক বা ইন্টারনাল হার্ডডিস্ক(Internal Hard Disk) বলে। কম্পিউটারের কেসিং এর ভেতরে একাধিক হার্ডডিস্ক থাকতে পারে। কম্পিউটারের কেসিং এর বাহিরেও একাধিক হার্ডডিস্ক থাকতে পারে। এ সব হার্ডডিস্ককে বলা এক্সটারনাল হার্ডডিস্ক(External Hard Disk)।
এক্সটারনাল হার্ডডিস্ক বহনযোগ্য। এক্সটারনাল হার্ডডিস্কে এক কম্পিউটারের তথ্য আরেক কম্পিউটারে নিয়ে কাজ করা যায়। বর্তমানে আড়াই শ/তিন শ গিগাবাইটের চেয়েও বেশি ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন হার্ডডিস্ক ব্যবহার করা হচ্ছে।
পেন ড্রাইভ: পেন ড্রাইভগুলো হার্ড ডিস্কের মত। তবে এ সবের ক্ষমতা হার্ড ডিস্কের চেয়ে বেশি নয়। আকারে ছোট ও কম ক্ষমতা সম্পন্ন পেন ড্রাইভ এখন তথ্য পারাপারের জন্য যথেষ্ট জনপ্রিয়।
প্রতিটি লেকচারে নতুন নতুন লিখা যুক্ত হচ্ছে, তাই কাঙ্খিত কোন লিখা না পেলে দয়া করে কিছুদিন পর আবার ভিজিট করে দেখবেন।
লিখাতে কিংবা লেকচারে কোন ভুলত্রুটি থাকলে অথবা আপনার কাঙ্খিত লিখা খুঁজে না পেলেইশিখন.কম এর ফ্যানপেইজ অথবা নিচে কমেন্ট কর