বিসিএস প্রিলিমিনারি ভূগোল: সাগর ও মহাসাগর

সাগর ও মহাসাগর:

 

বিশ্বের উপসাগর বা ‘বে ’(Bay):

> তিন দিক স্থলদ্বারা বেষ্টিত পানিরাশিকে বে (ইধু) বা উপসাগর বলে। স্থলভাগের মধ্যে প্রবিষ্ট জলভাগের দৈর্ঘ্য যদি উন্মুক্ত মুখের দৈর্ঘ্য অপেক্ষা কম হয়, তাহলে তাকে বে বলে। যেমন- বেঅব বেঙ্গল, হাডসন বে।

> গালফ (Gulf) : এর আভিধানিক অর্থও উপসাগর। তবে স’লভাগের মধ্যে প্রবিষ্ট জলভাগের দৈর্ঘ্য যদি উন্মুক্ত মুখের দৈর্ঘ্য অপেক্ষা বেশি হয়, তবে তাকে গালফ বলা হয়। যেমন :পার্সিয়ান গালফ, গালফ অব মেক্সিকো।

> হরমুজ প্রণালী অবস্থিত : ওমান উপসাগর ও পারস্য উপসাগরের মধ্যে।

> বিশ্বের বৃহত্তম উপসাগর : মেক্সিকো উপসাগর (গালফ হিসেবে) ও বঙ্গোসাগরে (বে হিসেবে)।

> কোন নদীর বয়ে আনা পানির প্রভাবে উপসাগরীয় স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে : মিসিসিপি।

> জেমস উপসাগর কোন দেশে অবস্থিত  : কানাডায়।

> পারস্য উপসাগরে কোন দ্বীপ অবস্থিত : বাহরাইন দ্বীপ।

> উপসাগরীয় স্রোতের বর্ণ : গাঢ় নীল।

> ব্যাফিন উপসাগর অবস্থিত : কানাডা ও গ্রিনল্যান্ড দ্বীপের মধ্যবর্তী স্থানে।

> হাডসন উপসাগর অবস্থিত : কানাডায়।

> আলাস্কা উপসাগর কোন মহাদেশে অবস্থিত : উত্তর আমেরিকা।

> বুথিয়া উপসাগর অবস্থিত : কানাডায়।

> কয়েকটি বিখ্যাত উপসাগর

–বঙ্গোপসাগর : > আয়তন ২২,০০,০০০ ব. কিমি

–মেক্সিকো উপসাগর : > আয়তন ১৫,৪২,৯৮৫ ব. কিমি

–হাডসন উপসাগর : > আয়তন ১২,৩২,৩০০ ব. কিমি

–পারস্য উপসাগর : > আয়তন ২,৩৭,৭৬০ ব. কিমি

বিশ্বের সাগর:

> মহাসাগরের চেয়ে আয়তনে ছোট nbsp;পানিরাশিকে বলে : সাগর (Sea)।

> লোহিত সাগরের প্রাচীন নাম : সাইনাস আরাবিকাস।

> UNCLOS  চুক্তি কার্যকর হয় : ১৬ বেশ্বর ১৯৯৪।

> আয়তনে বিশ্বের সর্ববৃহৎ সাগর : দক্ষিণ চীন সাগর (২৯,৭৪,৬০০ বর্গ কিমি)।

> এজিয়ান সাগর অবস্থিত : গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যবর্তী স্থানে।

> বিশ্বের সবচেয়ে গভীরতম সাগর : ক্যারিবিয়ান সাগর (৭২৩৯ মিটার)।

> যে দুই সাগরের মাঝে কোরিয়া উপদ্বীপ অবস্থিত : জাপান সাগর ও পীত সাগর।

> কোন সাগরের তীরে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক দেশ অবস্থিত : ভূমধ্যসাগরের তীরে।

> শৈবাল সাগর : উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের প্রান্ত দিয়ে বিভিন্ন স্রোত প্রবাহের ফলে মাঝামাঝি স্থান স্রোতবাহিত ডালপালা, ঘাস, শৈবাল প্রভৃতি প্রচুর পরিমাণে সঞ্চিত হয়ে যে স্রোতহীনসাগরের সৃষ্টি হয়েছে তা শৈবাল সাগর নামে পরিচিত।

> ইউনাইটেড ন্যাশন্স কনভেনশন অন দ্য ল’ অব দ্য সি (UNCLOS) স্বাক্ষরিত হয় : ১০ ডিসেম্বর ১৯৮২।

এক নজরে বিশ্বের উল্লেখযোগ্য সাগর :

নাম : ক্যারিবিয়ান সাগর

> আয়তন (ব. কিমি) : ২৫,১৫,৯০০

> গড় গভীরতা (মি) : ২,৫৬০

> সর্বোচ্চ গভীরতা (মি) : ৭,২৩৯

নাম : ওখোটস্ক সাগর

> আয়তন (ব. কিমি) : ১৩,৯২,১০০

> গড় গভীরতা (মি) : ৮৩৮

> সর্বোচ্চ গভীরতা (মি) : ৩,৬৫৮

নাম : ভূমধ্যসাগর

> আয়তন (ব. কিমি) : ২৫,১০,০০০

> গড় গভীরতা (মি) : ১,৪২৯

> সর্বোচ্চ গভীরতা (মি) : ৪,৬৩২

নাম : দক্ষিণ চীন সাগর

> আয়তন (ব. কিমি) : ২৯,৭৪,৬০০

> গড় গভীরতা (মি) : ১,৬২৫

> সর্বোচ্চ গভীরতা (মি) : ৫,০১৬

নাম : বেরিং সাগর

> আয়তন (ব. কিমি) : ২২,৬১,১০০

> গড় গভীরতা (মি) : ১,৫৪৭

> সর্বোচ্চ গভীরতা (মি) : ৪,৭৭৩

নাম : উত্তর সাগর

> আয়তন (ব. কিমি) : ৫,৭৫,৩০০

> গড় গভীরতা (মি) : ৯০

> সর্বোচ্চ গভীরতা (মি) : ৬৬০

নাম : কৃষ্ণ সাগর

> আয়তন (ব. কিমি) : ৫,০৭,৯০০

> গড় গভীরতা (মি) : ১১০০

> সর্বোচ্চ গভীরতা (মি) : ২,২৪৪

নাম : জাপান (পূর্ব) সাগর

> আয়তন (ব. কিমি) : ১০,১২,৯০০

> গড় গভীরতা (মি) : ১,৩৭০

> সর্বোচ্চ গভীরতা (মি) : ৩,৭৪২

নাম : লোহিত সাগর

> আয়তন (ব. কিমি) : ৪,৩৭,৭০০

> গড় গভীরতা (মি) : ৪৯০

> সর্বোচ্চ গভীরতা (মি) : ২,২১১

নাম : বাল্টিক সাগর

> আয়তন (ব. কিমি) : ৪,২২,১৬০

> গড় গভীরতা (মি) : ৫৫

> সর্বোচ্চ গভীরতা (মি) : ৪২১

নাম : পীত সাগর

> আয়তন (ব. কিমি) : ১২,৪৩,১৯৫

> গড় গভীরতা (মি) : ৪৯

> সর্বোচ্চ গভীরতা (মি) : ১০৬

এক নজরে বিশ্বের মহাসাগর

নাম : প্রশান্ত

 

 

> আয়তন : ১৫,৫৫,৫৭,০০০

> সর্বোচ্চ গভীরতা (মি.) : ১০,৯২৪

> গড় গভীরতা (মি.) : ৪,০৭৯

> গভীরতম স্থানের নাম : মারিয়ানা ট্রেঞ্চ

নাম : আটলান্টিক

> আয়তন : ৭,৬৭,৬২,০০০

> সর্বোচ্চ গভীরতা (মি.) : ৯,২১৯

> গড় গভীরতা (মি.) : ৩,৯২৬

> গভীরতম স্থানের নাম : ন্যায়ার্স

নাম : ভারত মহাসাগর

> আয়তন : ৬,৮৫,৫৬,০০০

> সর্বোচ্চ গভীরতা (মি.) : ৭,৪৫৫

> গড় গভীরতা (মি.) : ৩,৯৬৩

> গভীরতম স্থানের নাম : সুন্দা ট্রেঞ্চ

নাম : দক্ষিণ মহাসাগর

> আয়তন : ২,০৩,২৭,০০০

> সর্বোচ্চ গভীরতা (মি.) : ৫,৭৪৫

> গড় গভীরতা (মি.) : ১৪৯

> গভীরতম স্থানের নাম :

নাম : উত্তর বা আর্কটিক মহাসাগর

> আয়তন : ১,৪০,৫৬,০০০

> সর্বোচ্চ গভীরতা (মি.) : ৫,৬২৫

> গড় গভীরতা (মি.) : ১,২০৫

> গভীরতম স্থানের নাম : ইউরেশিয়ান বেসিন

ইংলিশ চ্যানেল:

> ইংলিশ চ্যানেলের দৈর্ঘ্য : ৫৬০ কিলোমিটার।

> ইংলিশ চ্যানেল কোন দুটি মহাসাগরকে যুক্ত করেছে : আটলান্টিক মহাসাগর ও উত্তর মহাসাগর।

> ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রমকারী প্রথম নারী : গার্টেড ইউরি লে, যুক্তরাষ্ট্র (১৯২৬)।

> ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রমকারী প্রথম ব্যক্তি : ক্যাপ্টেন ম্যাথু ওয়েব, ব্রিটেন (২৫ আগষ্ট ১৮৭৫)

> ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রমকারী প্রথম বাঙালি : ব্রজেন দাস, বাংলাদেশ।

> ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রমকারী প্রথম ভারতীয় : মিহির সেন, ১৯৫৮ সালে।

> ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রমকারী প্রথম বাঙালি ও এশীয় নারী : আরতি সেনগুপ্তা, ভারত।

বিশ্বের বিখ্যাত মহাসাগর:

> পৃথিবীতে মহাসাগর : পাঁচটি।

> প্যাসিফিক শব্দের অর্থ : শান্ত।

> আয়তনে বিশ্বের বৃহত্তম মহাসাগর : প্রশান- মহাসাগর।

> মহাসাগর, সাগর, উপসাগর, হ্রদ প্রভৃতি নিয়ে গঠিত : বারিমণ্ডল।

> উন্মুক্ত বিস্তীর্ণ পানিরাশিকে বলে : মহাসাগর (Ocean )।

> পৃথিবীর মহাসাগরগুলোর নাম : প্রশান- মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর, ভারত মহাসাগর, উত্তর মহাসাগর ও দক্ষিণ মহাসাগর।

> প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত উল্লেখযোগ্য দ্বীপরাষ্ট্রের নাম : ফিলিপাইন, পাপুয়া নিউগিনি, পালাউ, নাউরু, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ ইত্যাদি।

> আটলান্টিক মহাসাগরের উল্লেখযোগ্য দ্বীপরাষ্ট্রগুলো : যুক্তরাজ্য, বাহামা, বারমুডা, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, গ্রীনল্যান্ড, কিউবা ইত্যাদি।

> আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরতম স্থান : ন্যায়ার্স (পুয়ের্তোরিকা)।

> আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেয়া প্রথম নারী : জেনিফার ফিগে, যুক্তরাষ্ট্র (১২ জানুয়ারি-৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯)।

> প্রশান্ত মহাসাগরের নাম দেন ‘প্যাসিফিক’ : পর্তুগিজ অভিযাত্রী ফার্দিনান্দ ম্যাজেলান।

> প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরতম স্থানের নাম : মারিয়ানা ট্রেঞ্চ।

> ভারত মহাসাগরে অবস্থিত উল্লেখযোগ্য দ্বীপগুলো : সিসিলি, মরিশাস, দিয়াগো, গার্সিয়া, মালদ্বীপ ও মালাগাসি।

> পৃথিবীর গভীরতম মহাসাগর : প্রশান্ত মহাসাগর।

> ভূ-মধ্যসাগরের গভীরতম স্থানের নাম : মাতাপ্যান।

> দক্ষিণ মহাসাগরের অন্য নাম : কুমেরু মহাসাগর।

> দক্ষিণ মহাসাগর অবস্থিত : দক্ষিণ মেরুর নিকটস্থ এন্টার্কটিকা মহাদেশের চতুর্দিকে বিস্তৄত।

> আয়তনে সবচেয়ে ছোট মহাসাগর : এন্টার্কটিকা মহাসাগর (দক্ষিণ মহাসাগর)।

> আর্কটিক বা উত্তর মহাসাগরের অন্য নাম : সুমেরু মহাসাগর।

> পৃথিবীর বৃহত্তম প্রবাল প্রাচীর গ্রেট বেরিয়ার রীফ অবস্থিত : প্রশান- মহাসাগরে।

> ‘টাইটানিক জাহাজ’ নিমজ্জিত হয়েছিল কোন মহাসাগরে : আটলঅন্টিক মহাসাগরে (১৫ এপ্রিল ১৯১২ সালে)।

প্রতিটি লেকচারে নতুন নতুন লিখা যুক্ত হচ্ছে, তাই কাঙ্খিত কোন লিখা না পেলে দয়া করে কিছুদিন পর আবার ভিজিট করে দেখবেন।

লিখাতে কিংবা লেকচারে কোন ভুলত্রুটি থাকলে অথবা আপনার কাঙ্খিত লিখা খুঁজে না পেলেইশিখন.কম এর ফ্যানপেইজ অথবা নিচে কমেন্ট কর

মন্তব্য করুন

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline