বিসিএস ও ব্যাংক লিখিত প্রস্তুতি

বাংলাদেশের অর্থনীতি

:: চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) ২৪৯৫ কোটি ৫১ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি আর্ন হয়েছে। দেশি মুদ্রায় যেটি ১ লাখ ৯৯ হাজার ৬৪০ কোটি টাকার সমান। এই আর্ন গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৮.৯৫% বেশি।
উৎসঃ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, বাংলাদেশ (ইপিবি)।

::২০১৩ সালে বাংলাদেশ বিশ্ব অর্থনীতিতে ৫৮তম অবস্থানে ছিল। ২০১৫ সালে ২০৫.৩ বিলিয়ন ডলার জিডিপি অর্জনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব অর্থনীতির আঙিনায় ১৪ ধাপ ওপরে উঠে ৪৪তম স্থানে অবস্থান করছে।
উৎসঃ বিশ্বব্যাংকের ওয়ার্ল্ড ডেভেলপমেন্ট ইনডিকেটরস ডেটাবেসে এবং আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক প্রতিবেদন।

::১৯৭২ সালে দেশের রপ্তানি আর্ন ছিল ৩৩ কোটি ডলার। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১২০ কোটি ডলারে। একই সময়ে আমদানি ব্যয় ২৯ কোটি ডলার থেকে দাঁড়িয়েছে ৪১০০ কোটি ডলারে। রেমিটেন্স প্রবাহ ৪০ লাখ ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫৩০ কোটি ডলারে। এমনকি দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আর্ন বেড়ে যাওয়ায় রিজার্ভের পরিমাণ ২ কোটি ডলার থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭০০ কোটি ডলারে।
উৎসঃ বিশ্বব্যাংকের ওয়ার্ল্ড ডেভেলপমেন্ট ইনডিকেটরস ডেটাবেসে এবং আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক প্রতিবেদন, ২০১৬।

::সাধারণ অর্থনীতি বাংলাদেশের বর্তমান জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৬.৫৫% এবং মূদ্রাস্ফীতি ৬.০৭%। সাম্প্রতিক কিছু বছরের গতিপথ বিশ্লেষণ করে বলা যায়, আমাদের অর্থনীতির সামনের কিছু বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধির এই হার ৬% এর আশেপাশেই থাকবে।
উৎসঃআমাদের সময়.কম।
১১.০৩.২০১৬।

::২০১৬ সালে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধির দেশ। বছর শেষে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৬%।
উৎসঃ ব্লুমবার্গ, নিউইয়র্কভিত্তিক আর্থিক তথ্য প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান।

::গত অর্থবছরে (২০১৪-১৫) প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৬.৫%। এর আগের ৫ বছরেও বাংলাদেশের অর্থনীততে গড় প্রবৃদ্ধি ছিল ৬.২%।বিশ্ব অর্থনীতিতে অধিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিক থেকে পঞ্চম স্থানে বাংলাদেশ। বিশ্বের খুব কম দেশই একটানা এত দীর্ঘ সময় ধরে ৬% এর ওপর প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পেরেছে। অর্থমন্ত্রী আশা করছেন, অচিরেই এই প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।
উৎসঃ দৈনিক জনকন্ঠ।

::২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের অর্থনীতি পশ্চিমা দেশগুলোকেও ছাড়িয়ে যাবে। রেমিটেন্সই বাংলাদশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার টেকসই ও শক্তিশালী করতে সাহায্য করছে। বাংলাদেশের সম্ভাবনাও অফুরন্ত। ২০২১ সালে বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি হবে। সে সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হওয়া, ২০৩০ সালের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ছাড়িয়ে যাওয়া এবং ২০৫০ সালের মধ্যে পশ্চিমা বিশ্বকে ছাড়িয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে।
উৎসঃ দ্য গার্ডিয়ান’ পত্রিকার ‘নিউ ওয়েভ ইকোনমিজ গোয়িং ফর গ্রোথ’ শীর্ষক প্রতিবেদন, ২০১৩।

::মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হলে বাংলাদশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার ৭% থেকে ৮% এবং প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি ৪% উন্নীত করতে হবে।
উৎসঃ বিশ্বব্যাংক।

:: বিশ্বে যে গুটিকয়েক দেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও মানবসম্পদ উন্নয়ন উভয় ক্ষেত্রে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে, তাদের মধ্যে বাংলাদেশ অগ্রগণ্য।
উৎসঃ বিশ্বব্যাংকের বিশ্ব উন্নয়ন প্রতিবেদন, ২০১৩।

::বিগত ৫ বছরের অর্থনৈতিক বিবরণঃ
ক)
অর্থবছর—- জিডিপি — মাথাপিছু জিডিপি
(কোটি টাকা) (মার্কিন ডলার)
২০১০-১১ — ৯১৫৮২৯ ———- ৮৬০
২০১০-১২ —- ১০৫৫২০৪ ——— ৮৮০
২০১২-১৩ — ১১৯৮৯২৩ ——–৯৭৬
২০১৩-১৪ — ১৩৪৩৩৭৪ —— ১১১০
২০১৪-১৫ —- ১৫১৩৬০০ ——– ১২৩৫
উৎসঃ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৫।

খ)
অর্থবছর ———– বাজেটের আকার
(কোটি টাকা)
২০১০-১১

— ১৩০০১০
২০১১-১২

— ১৬১২১০
২০১২-১৩

– ১৮৯৩৩০
২০১৩-১৪

– ২১৬২২০
২০১৪-১৫

— ২৫০৫১০
উৎসঃ উৎসঃ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৫।

গ)
অর্থবছর —– মাথাপিছু আর্ন —- প্রবৃদ্ধি
(মার্কিন ডলার) (%)
২০১০-১১ ———— ৮৭০————– ৬.৪৬
২০১১-১২ ———— ৯৫০————— ৬.৫২
২০১২-১৩ ———– ১০১০————- ৬.০১
২০১৩-১৪ ———– ১১৯০————–৬.০৬
২০১৪-১৫ ———— ১৩১৬———— ৬.৫৫
উৎসঃ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৫।

::গত সাত বছরে বাজেটের আকার আড়াই গুণ বেড়ে চলতি ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা।৫ কোটি মানুষ নিম্ন-আয়ের স্তর থেকে মধ্যম আয়ের স্তরে উন্নীত হয়েছে। দারিদ্র্যের হার ৪১.৫% থেকে কমে ২২.৪% এ চলে এসেছে। ২০০৬ সালে অতিদারিদ্র্যের হার ছিল ২৪.২%। তা এখন ৭.৯% এ নেমে এসেছে। বেড়েছে মানুষের আর্ন ও কর্মসংস্থান। সরকারি ও বেসরকারীভাবে ১.৫ কোটি মানুষ চাকরি পেয়েছে। বিদ্যুত উৎপাদন সক্ষমতা এখন বৃদ্ধি পেয়ে ১৪০৭৭ মেগাওয়াটে দাঁড়িয়েছে। উৎপাদন হচ্ছে ১২০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত। ৪৪ লাখ সোলার প্যানেল দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোকে আলোকিত করছে। দেশের প্রায় ৭৫% মানুষ বিদ্যুত সুবিধা পাচ্ছে।
উৎসঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাষন, ১২.০১.২০১৬।

::পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম বলেন, ‘বর্তমানে দেশের মোট বাজেটের ৯১% অর্থই অভ্যন্তরীণ খাত থেকে যোগান দেয়া হচ্ছে। বাজেটে বৈদেশিক অর্থ সহায়তা মাত্র ৯%। এতেই প্রমাণিত হয়, দেশের অর্থনীতি নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছে।’
উৎসঃদৈনিক জনকন্ঠ।

::বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কৌশিক বসু সম্প্রতি ঢাকায় এসে বলেছেন, নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশ সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণ করে তাদের সক্ষমতা দেখিয়েছে। এটা বাংলাদেশের জন্য সুখবর। বাংলাদেশকে ‘নিউ এশিয়ান টাইগার অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। অর্থনীতির সূচকগুলো তাই বলছে।’
তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন বাজেটের ৬৫% এখন অভ্যন্তরীণ সম্পদ থেকে যোগান দেয়া হচ্ছে। আর ৩৫% অর্থ আসছে বিদেশী সাহায্য থেকে। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ তার উন্নয়ন বাজেটের পুরো অর্থই অভ্যন্তরীণ খাত থেকে যোগান দিতে পারবে। পরবর্তীতে বাংলাদেশও বরং স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে ঋণ দিতে পারবে।’
উৎসঃ দৈনিক জনকন্ঠ।

::২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশে ৩ কোটি ৮৪ লাখ ১৮ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয়েছে। মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে ৪৫ লাখ মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে।
উৎসঃ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৫।

:: মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে চতুর্থ। নিজের চাহিদা মিটিয়ে বাংলাদেশ এখন চাল রপ্তানি শুরু করেছে। অর্থনীতির সূচকগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায়, বাংলাদেশের রপ্তানি আর্ন ৩২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। আমদানি ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৭ বিলিয়ন ডলারে। মাত্র ৫ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য ঘাটতি সহজেই মেটাতে পারছে প্রবাসীদের রেমিটেন্সের সহায়তায় আর ঘাটতি মেটানোর পরও লেনদেনের ভারসাম্যে কয়েক বিলিয়ন ডলার উদ্বৃত্ত থাকছে, যার ফলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৭ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।
উৎসঃ দৈনিক জনকন্ঠ।

::নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন ও মানবসম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

::নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশ পুরোপুরি মুক্তবাজার অর্থনীতিতে প্রবেশের পর বাংলাদেশের মাথাপিছু আর্ন বাড়তে থাকে। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে তা খুব দ্রুতগতিতে বাড়তে পারেনি। স্বাধীনতা-পরবর্তী গত ৪১ বছর সময়ের মধ্যে ৩৪ বছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু আর্ন বেড়েছে ৫০০ ডলার। আর গত কয়েক বছরে তা দ্বিগুণ বেড়ে ১০০০ ডলার ছাড়িয়েছে। ১৯৭২-৭৩ সাল থেকে মাথাপিছু আর্ন বেড়ে ২০০৬-০৭ অর্থবছরে তা দাঁড়ায় মাত্র ৫২৩ ডলারে। আর ২০০৭-০৮ থেকে ২০১২-১৩ অর্থবছরে তা দ্বিগুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৪৪ ডলারে।
উৎসঃ অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক প্রতিবেদন সমীক্ষা।

::মার্কিন মন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বলেছিলেন, বাংলাদেশ হচ্ছে ‘ইন্টারন্যাশনাল বাস্কেট কেস’। অর্থাৎ তলাবিহীন ঝুড়ি, এখানে যত অর্থই ঢালা হবে, তলা না থাকায় কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। অবশেষে বর্তমান সরকারের আমলে সেই অপবাদ ঘুচেছে। বিশ্বের প্রভাবশালী ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে বাংলাদেশ নিয়ে প্রকাশিত রিপোর্টটির শিরোনাম ছিল, ‘বাংলাদেশ, ‘বাস্কেট কেস’ নো মোর।’
উৎসঃদৈনিক জনকন্ঠ।
০৬/০২/২০১৬।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব তথ্যই সাক্ষ্য দিচ্ছে : বাংলাদেশ ফকির নয় এবং নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম। বিশ্বের বিখ্যাত অর্থনীতিবিদরা বাংলাদেশকে আখ্যায়িত করেছেন ‘উন্নয়নের বিস্ময়’ বলে। মানব ও সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদের অগ্রগতি ও গৃহীত পদক্ষেপ উদাহরণ হিসেব অনুসৃত হচ্ছে বিশ্বের বহু দেশে।

আরো পড়ুন:

চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ধাওয়া করে স্কুলছাত্র খুন করা হয়েছে

দেশজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশে বই উৎসব উ‌দ্বোধন কর‌লেন শিক্ষামন্ত্রী

মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট প্রতিযোগিতায় ৩৫ শিক্ষক পেলেন সেরা কনটেন্ট নির্মাতার সম্মাননা

মন্তব্য করুন

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline