জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮ সালের স্নাতকোত্তর (প্রফেশনাল) কোর্সের বিএড, বিপিএড, বিএমএড, বিএসএড, এমএড, এমএসএড, এমপিএড, এমএসসি ইন কম্পিউটার সায়েন্স ও এলএলবি শেষ বর্ষ অনলাইন ভর্তি কার্যক্রমের প্রাথমিক কার্যক্রম ১৫ অক্টোবর ২০১৭ তারিখ বিকাল ৪ টা থেকে শুরু হয়েছে যেটি বর্ধিত সময়সীমা অনুসারে ০৬ নভেম্বর ২০১৭ তারিখ রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে আগ্রহী প্রার্থীদের উক্ত আবেদন ফরম পূরণ করে প্রাথমিক আবেদন ফি বাবদ ৩০০/- (তিনশত)টাকা সংশ্লিষ্ট কলেজে ০৭ নভেম্বর ২০১৭ তারিখের মধ্যে অবশ্যই জমা দিতে হবে।
এই ভর্তি কার্যক্রমে আবেদনকারী প্রার্থীদের কোন ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে না৷ আবেদনকারীদের স্নাতক পর্যায়ে উত্তীর্ণ পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতিটি কলেজের জন্য আলাদাভাবে মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হবে৷ আপনাদের সুবিধার্থে ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য নিচে তুলে দেওয়া হলোঃ
আবেদনের সাধারণ যোগ্যতা
ক) ব্যাচেলর অব এডুকেশন [বি এড], ব্যাচেলর অব ফিজিক্যাল এডুকেশন [বিপিএড], ব্যাচেলর অব মাদ্রাসা এডুকেশন [বিএমএড] ও ব্যাচেলর অব স্পেশাল এডুকেশন [বিএসএড] :
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিন বছর মেয়াদী স্নাতক (পাস) অথবা চার বছর মেয়াদী স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে৷ এই ক্যাটাগরীর প্রার্থীকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইটের Master’s Tab এ গিয়ে Apply Now (Masters Professional) অপশন থেকে প্রাথমিক আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে ২ বছর মেয়াদী স্নাতক (পাস) অথবা ৩ বছর মেয়াদী স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীগন কর্মরত শিক্ষক হয়ে থাকলে বিএড/বিএমএড/বিএসএড/বিপিএড কোর্সে ২০১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য প্রাথমিক আবেদন করতে পারবেন। তাছাড়া স্বীকৃত অন্যান্য যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪ বছর মেয়াদী স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীগন উক্ত শিক্ষাকার্যক্রম সমূহে ভর্তির জন্য প্রাথমিক আবেদন করতে পারবেন। এই ক্যাটাগরির প্রার্থীকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইটের Master’s Tab এ গিয়ে blank data entry form (Masters Professional) অপশন থেকে নির্ধারিত সময়েই প্রাথমিক আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
- BPEd কোর্সে ভর্তির জন্য প্রার্থীর বয়স ৩৫ বছরের অধিক হবে না (৩১/১২/২০১৮ তারিখ পর্যন্ত) তবে শিক্ষকদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৪০ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য। এক্ষেত্রে প্রার্থীর বিষয়ভিত্তিক যোগ্যতার এটি সংশ্লিস্ট কলেজ কর্তৃপক্ষযাচাই করবেন।
খ) মাস্টার অব এডুকেশন [এম এড]: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে BEd/BMEd পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে৷
গ) মাস্টার অব স্পেশাল এডুকেশন [এমএসএড]: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেক BSEd / BEd / BMEd উত্তীর্ণ হতে হবে৷
ঘ) মাস্টার অব ফিজিক্যাল এডুকেশন [এমপিএড]: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে BPEd পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
ঙ) ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ব্যাচেলর অব ল’ [এল এল বি] শেষ বর্ষ: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল এল বি ১ম বর্ষ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে৷
চ) ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষে এমএসসি ইন কম্পিউটার সায়েন্স: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে ২০১৫ বা তৎপূর্বে বিএসসি ইন কম্পিউটার সায়েন্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
ভর্তি পদ্ধতি, নম্বর বন্টন ও ফলাফল
ক) প্রতিটি কলেজের জন্য আলাদাভাবে মেধা তালিকা তৈরী করে প্রার্থীদের স্নাতকোত্তর (প্রফেশনাল) কোর্স বরাদ্দ দেয়া হবে৷
খ) একই প্রতিষ্ঠান/কলেজে একই বিষয়ে দুই বা ততোধিক আবেদনকারীর মেধা স্কোর সমান হলে সেক্ষেত্রে এ সকল আবেদনকারীর স্নাতক পর্যায়ে পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর এবং বয়সের নিম্নক্রম অনুসারে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে৷
গ) ভর্তির ফলাফল পর্যায়ক্রমে প্রথম মেধা তালিকা, শূন্য আসন সাপেক্ষে দ্বিতীয় মেধা তালিকা, কোটা এবং রিলিজ স্লিপের মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে৷
ঘ) সংশিস্নষ্ট কলেজ User ID, Password ও OTP ব্যবহার করে ভর্তির বিষয়ওয়ারী ফলাফল দেখতে পারবে৷ শিক্ষার্থীরা ভর্তি সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটের এই লিঙ্কে এবং SMS (nu<space>atpm<space>roll no টাইপ করে 16222 নম্বরে send হবে) এর মাধ্যমে অথবা সংশ্লিষ্ট কলেজ থেকে ফলাফল জানতে পারবে৷
আবেদনকারীর প্রাথমিক আবেদন ফরম পূরণ সম্পর্কিত করণীয়
ক) আবেদনকারীকে এই লিঙ্কে অথবা এই লিংকে গিয়ে ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত তথ্য ছকে সংশ্লিষ্ট স্নাতক (সম্মান)/স্নাতক (পাস)/বিপিএড/বিএড/বিএড (সম্মান)/বিএসএড/বিএমএড/এলএলবি পার্ট-১/বিএসসি ইন কম্পিউটার সায়েন্স পরীক্ষার রোল নম্বর, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, পাসের সন, স্নাতক পর্যায়ে উত্তীর্ণ পরীক্ষার নম্বর/সিজিপিএ, মোট নম্বর/সিজিপিএ, পঠিত বিষয়/কোর্স, ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর ও ই-মেইল এড্রেস সঠিকভাবে এন্ট্রি দিতে হবে৷
খ) Blank Data Entry Form (Masters Professional) এর মাধ্যমে প্রাথমিক আবেদন ফরম পূরণেরক্ষেত্রে প্রার্থীকে সতর্কতার সংগে নিজের নাম, পিতা/মাতার নাম, শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল তথ্য ও শিক্ষক নির্ভুলভাবে এন্ট্রি দিতে হবে। এই ফরমে প্রার্থীর কোন তথ্য ভুল/অসত্য বলে প্রমাণিত হলে তার ভর্তি বাতিল করার অধিকার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসংরক্ষণ করে।
গ) এ পর্যায়ে আবেদনকারী তার ভর্তি যোগ্য (Eligible) কোর্সের তালিকা দেখতে পাবে৷ আবেদনকারী তার পছন্দ অনুযায়ী বিভাগ ও জেলাওয়ারী যে কোন কলেজের নাম Select করলে সংশ্লিষ্ট কলেজে মাস্টার্স প্রফেশনাল কোর্সের নাম ও আসন সংখ্যা দেখতে পাবে৷ এই তালিকা থেকে প্রার্থীকে সতর্কতার সংগে তার প্রার্থিত কোর্সের পছন্দ নির্ধারণ করতে হবে৷
ঘ) মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/ আদিবাসি/ প্রতিবন্ধী/পোষ্য (Ward) কোটায় ভর্তি হতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীকে তথ্য ছকের নির্দিষ্ট স্থানে তার জন্য প্রযোজ্য কোটা Select করতে হবে৷ কোটায় আবেদনের ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের ইস্যুকৃত মূল সনদপত্র থাকতে হবে৷ একজন প্রার্থীর এক বা একাধিক কোটায় যোগ্য হলে কোটার পছন্দক্রম নির্ধারণ করে দিতে হবে৷
ঙ) ফরম পূরণের সময় আবেদনকারীর পাসপোর্ট আকারে সম্প্রতি তোলা রঙ্গিন ছবি Scan করে আপলোড করতে হবে৷ ছবির মাপ হবে ১২০x১৫০ pixels, Image Type: jpg এবং maximum file size:50Kb.
চ) সঠিক তথ্য ও ছবিসহ ছক পূরণ করে Submit Application অপশনে ক্লিক করতে হবে৷ এ পর্যায়ে আবেদনকারীর রোল নম্বর ও পিন কোড প্রদর্শিত হবে এবং আবেদনকারীকে ফরমটি ডাউনলোড করে [A4(8.5”×11”) অফসেট সাদা কাগজে ] প্রিন্ট নিতে হবে৷
ছ) আবেদন ফরম সংশ্লিষ্ট কলেজে জমাদানের পূর্বে কোন প্রার্থী তার প্রাথমিক আবেদন ফরমটি বাতিল/ত্রুটিপূর্ণ ছবি পরিবর্তন করতে ইচ্ছুক হলে তাকে এই লিঙ্কে গিয়ে আবেদন ফরমের রোল নম্বর ও পিন কোড এন্ট্রি দিতে হবে৷ এ পর্যায়ে আবেদনকারীকে Form Cancel/Photo Change Option এ গিয়ে Click to Generate the OTP অপশনটি ক্লিক করতে হবে৷ এ সময়ে প্রার্থী তার আবেদন ফরমে উল্লিখিত ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে SMS এর মাধ্যমে One Time Password (OTP) পাবে৷ এই O TPএন্ট্রি দিয়ে শিক্ষার্থী তার আবেদন ফরমটি বাতিলপূর্বক নতুন করে আবেদন ফরম পূরণ ও ছবি আপলোড করতে পারবে৷
জ) এই আবেদন ফরমের সংগে প্রার্থীর স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতার সত্যায়িত নম্বরপত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ডের সত্যায়িত কপি ও Online এ ভর্তির প্রাথমিক আবেদন ফি বাবদ ৩০০/- (তিনশত) টাকা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান/কলেজে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দিতে হবে৷
আরো পড়ুন:
0 responses on "২০১৮ সালের স্নাতকোত্তর (প্রফেশনাল) কোর্সে ভর্তির বিস্তারিত তথ্য"