রাত বাড়লেই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় ককটেল আতঙ্ক

রাত বাড়লেই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় ককটেল আতঙ্ক

রাত বাড়লেই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের মধ্যে শুরু হয় ককটেল আতঙ্ক। গত দুই দিন ধরেই গভীররাতে ককটেলের বিকট শব্দে প্রকম্পিত হচ্ছে ক্যাম্পাসসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা।

মঙ্গলবারের মতো গতকাল বুধবারও (২৪ জানুয়ারি) গভীররাতে আবাসিক হল ও শিক্ষকদের আবাসিক এলাকায় হাফ ডজন ককটেলের বিষ্ফোরণ ঘটেছে বলে জানা গেছে। এর আগেও গত ১৯ ডিসেম্বর গভীররাতে লালন শাহ হল এলাকায় হাফ ডজন ককটেলের বিষ্ফোরণ ঘটে।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভাষ্যমতে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে সোয়া ১টার মধ্যে ক্যাম্পাসের বিভিন্নস্থানে প্রায় দুই ডজন ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। বুধবারও রাত সাড়ে ১২টা থেকে ২টার মধ্যে শিক্ষকদের আবাসিক এলাকা, লালন শাহ হল এলাকা ও বঙ্গবন্ধু হলের পাশে হাফ ডজন ককটেলের বিষ্ফোরণ ঘটে।

এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। মঙ্গলবারের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান প্রকৃত ঘটনা জানতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেও বুধবারের ঘটনা সম্পর্কে তিনি অবহিত নন বলে জানান। তবে প্রকৃত ঘটনা ও দোষীদের চিহ্নিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।

এদিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ দুই দিনের ঘটনাই অস্বীকার করেন। প্রথম দিন প্রায় দুই ডজন ককটেলের শব্দকে রাস্তায় টায়ার ব্লাস্ট বলে চালানোর চেষ্টা করেন। আর দ্বিতীয় দিনের কোনো ঘটনাই তিনি অবহিত নন বলে জানান। অথচ গত দুই দিনের ককটেল বিষ্ফোরণের স্থান লালন শাহ হল থেকে মাত্র দুইশ মিটার সামনেই ক্যাম্পাস অভ্যন্তরে অবস্থিত থানা। তবে এ দুই দিনই ককটেল বিষ্ফোরণের শব্দ শুরু হলেই ক্যাম্পাসে পুলিশি টহল শুরু হয়। আর এ পুলিশি টহলের মধ্যেই দুর্বৃত্তরা এমন ঘটনা ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে চলছে।

পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবহেলায় বারবার এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে বলে মনে করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ ও জিয়াউর রহমান হলের একাধিক আবাসিক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রাত বাড়লেই মনের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। বিশেষ করে সাড়ে ১২টার আগেই রুম লক করে ভেতরে অবস্থান করি। প্রশাসন চাইলেই এসব কুচক্রিদের শানক্ত করতে পারে। অথচ পুলিশ, হল ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এদের ব্যাপারে নিশ্চুপ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় অবস্থান করেন এমন তিনজন শিক্ষক বলেন, গভীর রাতে বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। পরে আরও একটি শব্দ হয়। মনে হলো বাসার খুব কাছেই এ শব্দ।

 

 

আরো পড়ুন:

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এফ’ ইউনিটের বাতিলকৃত শিক্ষার্থীদের পুনরায় ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে ৭০৬টি আসন শূন্য

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline