• বৈসাদৃশ্য:-
[i] একই মৌলের বিভিন্ন সমস্থানিকগুলির পরমাণুর নিউক্লিয়াসে নিউট্রন সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন ।
[ii] একই মৌলের সমস্থানিকগুলির ভরসংখ্যা আলাদা হয় ।
[iii] একই মৌলের বিভিন্ন সমস্থানিকের ভর বিভিন্ন হওয়ার জন্য তাদের ঘনত্ব, স্ফুটনাঙ্ক, গলনাঙ্ক প্রভৃতি ভৌত ধর্ম ভিন্ন ভিন্ন হয় ।
♦ কয়েকটি সমস্থানিকের পরিচয়:-
• হাইড্রোজেনের সমস্থানিক [1H1, 1H2 বা D, 1H3 বা T]:- হাইড্রোজেনের তিনটি সমস্থানিক আছে । যথা —সাধারণ হাইড্রোজেন বা প্রোটিয়াম (Protium) [1H1], ভারী হাইড্রোজেন বা ডয়টেরিয়াম (Deuterium) [1H2 বা D] এবং ট্রাইটিয়াম (Tritium) [1H3 বা T] ।
এদের ভরসংখ্যা যথাক্রমে 1, 2 এবং 3 ।সাধারণ হাইড্রোজেনের নিউক্লিয়াসে মাত্র 1টি প্রোটন থাকে, ডয়টেরিয়ামের নিউক্লিয়াসে 1টি প্রোটন এবং 1টি নিউট্রন আছে, কাজেই ভর সংখ্যা = 2, ট্রাইটিয়ামে 1টি প্রোটন এবং 2টি নিউট্রন থাকায় ভর সংখ্যা = 3 হয় ।
• অক্সিজেনের তিনটি সমস্থানিক হল — 8O16 , 8O17 এবং 8O17
• কার্বনের তিনটি সমস্থানিক হল — 6C12 , 6C13 এবং 6C14
• ক্লোরিনের দুটি সমস্থানিক হল —17Cl35 এবং 17C37
♦ আইসোটোপের ব্যবহার:-
[i] আয়োডিনের আইসোটোপকে গলার ক্যানসার রোগের চিকিত্সায় ব্যবহার করা হয় ।
[ii] কৃষি, চিকিত্সা এবং পৃথিবীর বয়স, মৃত প্রাণীদেহের হাড় ও জীবাশ্ম ইত্যাদির প্রাচীনতা সংক্রান্ত নানা তথ্য জানার জন্য C-14 আইসোটোপ (carbon dating পদ্ধতি) ব্যবহার করা হয় ।
[iii] জৈব যৌগের প্রকৃতি নির্ণয়ে হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, কার্বনের আইসোটোপ ব্যবহার করা হয় ।
♦ আইসোবার [Isobar]:- ভরসংখ্যা একই কিন্তু বিভিন্ন পারমাণবিক সংখ্যাবিশিষ্ট পরমাণুগুলিকে আইসোবার বলে । যেমন —19K40 ,20Ca40 ইত্যাদি ।
♦ আইসোটোন [Isotone]:- যেসব পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা বিভিন্ন কিন্তু নিউট্রন সংখ্যা একই তাদের আইসোটোন বলে । যেমন —15P31,16S32 এদের প্রোটন সংখ্যা ভিন্ন কিন্তু উভয়ের নিউট্রন সংখ্যা 16 ।
Cl- আয়নে উপস্থিত ধনাত্বক তড়িৎ আধানযুক্ত কণার সংখ্যা = 17 এবং ঋণাত্বক তড়িৎ আধানযুক্ত কণার সংখ্যা = 18 ।
প্রোটন পরমাণুর নিউক্লিয়াসে থাকে ।
পরমাণুর মৌলিক কণাগুলির নাম হল ইলেকট্রন, প্রোটন এবং নিউট্রন ।
যেহেতু Na পরমাণুর M কক্ষে 1টি ইলেকট্রন আছে , এতএব এক্ষেত্রে সোডিয়াম পরমাণুর M কক্ষ থেকে ইলেকট্রনটি বর্জিত হয় ।
ম্যাগনেসিয়ামের পারমাণবিক সংখ্যা = 12 ; Mg++ আয়নে ইলেকট্রন সংখ্যা = 12 – 2 = 10 ।
92X235 পরমাণুর মধ্যে 92 -টি প্রোটন, ও 92 -টি ইলেকট্রন রয়েছে । সুতরাং, মোট তড়িতাহিত কণার সংখ্যা = (92 + 92) = 184 ।পরমাণুটির ভর সংখ্যা = 235 ।সুতরাং পরমাণুটির নিউট্রন সংখ্যা = ভর সংখ্যা – প্রোটন সংখ্যা = (235 – 92) = 143 ।
প্রোটন হল ধনাত্বক বা পজিটিভ তড়িৎগ্রস্ত কণা ।
এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।