বিভিন্ন পদাশ্রিত নির্দেশকের ব্যবহার :
১. টি,টা : ক) ‘এক’-র সঙ্গে ‘টি/টা’ যুক্ত হলে তা অনির্দিষ্টতা বোঝায়।
কিন্তু অন্য সংখ্যাবাচক শব্দের সঙ্গে ‘টি/টা’ যুক্ত হলে নির্দিষ্টতা বোঝায়।
যেমন- একটি দেশ, সে যেমনেই হোক দেখতে।(যে কোন একটি দেশ, অনির্দিষ্ট)
তিনটি টাকা, দশটি বছর।(নির্দিষ্ট সংখ্যক টাকা ও বছর, নির্দিষ্ট)
খ) নির্দেশক সর্বনামের সঙ্গে ‘টি/টা’ যুক্ত হলে সেগুলো সুনির্দিষ্ট হয়ে যায়। যেমন- এটা নয়, ওটা আনো। ওইটেই আমার প্রিয় গান।
গ) নিরর্থকভাবেও টি/টা ব্যবহৃত হতে পারে। যেমন- সারাটি সকাল তোমার আশায় বসে আছি। ন্যাকামিটা এখন রাখ।
২. গোটা : বচনবাচক/সংখ্যাত্মক শব্দের আগে বসে। নির্দিষ্টতা কিংবা অনির্দিষ্টতা, দুই-ই বোঝাতে পারে।
যেমন- গোটা দেশটাই ছারখার হয়ে গেছে। (নির্দিষ্ট)
গোটা তিনেক আম দাও। (অনির্দিষ্ট)
৩. খানা, খানি : বচনবাচক/সংখ্যাত্মক শব্দের পরে বসে। নির্দিষ্টতা কিংবা অনির্দিষ্টতা, দুই-ই বোঝাতে পারে।
যেমন- দু’খানা কম্বল চেয়েছিলাম। (নির্দিষ্ট)
একখানা বই কিনে নিও। (অনির্দিষ্ট)
৪. টাক, টুকু, টুক, টো : নির্দিষ্টতা ও অনির্দিষ্টতা উভয় অর্থেই ব্যবহৃত হয়।
যেমন- পোয়াটাক দুধ দাও। (অনির্দিষ্ট)
সবটুকু ওষুধই খেয়ে ফেলো। (নির্দিষ্ট)
৫. বিশেষ অর্থে ব্যবহৃত নির্দেশক ; কেতা, তা, পাটি : এগুলো বিশেষ অর্থে নির্দিষ্টতা জ্ঞাপনে ব্যবহৃত হয়। যেমন-
কেতা : এ তিন কেতা জমির দাম দশ হাজার টাকা মাত্র। দশ টাকার পাঁচ কেতা নোট।
তা : দশ তা কাগজ দাও।
পাটি : আমার এক পাটি জুতো ছিঁড়ে গেছে।
প্রতিটি লেকচারে নতুন নতুন লিখা যুক্ত হচ্ছে, তাই কাঙ্খিত কোন লিখা না পেলে দয়া করে কিছুদিন পর আবার ভিজিট করে দেখবেন।
লিখাতে কিংবা লেকচারে কোন ভুলত্রুটি থাকলে অথবা আপনার কাঙ্খিত লিখা খুঁজে না পেলেইশিখন.কম এর ফ্যানপেইজ অথবা নিচে কমেন্ট কর