প্রাথমিক শিক্ষকরা অনশন সাময়িক স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন

প্রাথমিক শিক্ষকরা অনশন সাময়িক স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন

দাবী বিবেচনার আশ্বাসে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা অনশন কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর ) বিকেলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে শিক্ষক প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে আন্দোলন সাময়িক স্থগিত ঘোষণা করা হয়। বৈঠক থেকে বেরিয়ে প্রতিনিধি দলের সদস্য তপন কুমার মণ্ডল অনশন স্থগিতের খবরটি দৈনিকশিক্ষাকে নিশ্চিত করেন।

টানা তিন দিন অনশনের পর আজ সোমবার সন্ধ্যায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান শিক্ষকদের পানি খাইয়ে শিক্ষকদের অনশন ভাঙান। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব এবং প্রাথমিক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

মন্ত্রী মিন্টু রোডের সরকারি বাসায় বৈঠকে যোগ দেন শিক্ষক প্রতিনিধির ১২ জন সদস্য। বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, না খেয়ে আন্দোলন হয় না।

শিক্ষক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, না খেয়ে দাবি আদায় করা সম্ভব না। দাবি-দাওয়া পূরণ করতে হলে আলাপ-আলোচনা করতে হয়। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দাবি আদায় করা যায়।

জানা যায়, দুই ভাগ হয়ে শিক্ষক প্রতিনিধির সদস্যরা মন্ত্রীর বাসায় যান। প্রথম ধাপে ৬ জন, পরের ধাপে আরও ৬ জন যান।

মন্ত্রী গত ২৩ ডিসেম্বর (শনিবার) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের উদ্যাগে এ অনশন কর্মসূচি চলছে। মহাজোটের অধীনে সহকারী শিক্ষকদের ১০টি সংগঠনের হাজার হাজার শিক্ষকরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে যোগ দিয়েছেন অনশন কর্মসূচিতে।

তাদের দাবি, আগের বেতন স্কেলগুলোতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে সহকারী শিক্ষকরা বেতন পেতেন। কিন্তু ২০১৫ সালের বেতন কাঠামোতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের ব্যবধান তিন ধাপ। এখন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম গ্রেডে (মূল বেতন ১০ হাজার ২০০) বেতন পাচ্ছেন। আর প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন ১০তম গ্রেডে (মূল বেতন ১৬ হাজার টাকা)। সহকারী শিক্ষকরা এই বৈষম্য নিরসনে প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিতে ১১তম গ্রেডে (১২ হাজার ৫০০) বেতন চান।

 

আরো পড়ুন:

প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে বেতনের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের অনশন কর্মসূচি চলছে প্রাথমিক শিক্ষকদের

প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবি না মানলে ২৩ ডিসেম্বর থেকে আমরণ অনশন

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ শিগগিরই

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline