
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের একধাপ পরের গ্রেডে সহকারি শিক্ষকদের বেতনস্কেল নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক মহাজোট। আর এ দাবি না মানলে আগামী ২৩শে ডিসেম্বর থেকে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি ।
শুক্রবার (০৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলার কনফারেন্স লাউঞ্জে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সহকারি শিক্ষকদের এক দফা বাস্তবায়নের দাবিতে আগামী ১৫ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় দেশব্যপী সকল জেলায় সংবাদ সম্মেলন। ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়া না হলে ২৩ ডিসেম্বর থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু হবে বলে নেতৃবৃন্দ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রাথমিক সরকারি শিক্ষক সমাজের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক উজ্জ্বল রায় বলেন, ১৯৭৩ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বেতন ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারি শিক্ষকের বেতন একই ছিল। ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকের পরের ধাপে সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ছিল। ২০০৬ সালে এই ব্যবধান ২ ধাপ হলেও ২০১৪ সালে ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় তিন ধাপে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৫ সালে ঘোষিত ৮ম জাতীয় পে স্কেল অনুযায়ী প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন এবং প্রশিক্ষণ ছাড়া প্রধান শিক্ষকরা ১২তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। কিন্তু প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারি শিক্ষকরা ১৪তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন আর প্রশিক্ষণছাড়া সহকারি শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১৫তম।
নেতৃবৃন্দ বলেন, একজন প্রধান শিক্ষক যে স্কেলে চাকরি শুরু করেন, একজন সহকারি শিক্ষক সেখানে শেষ করেন। এই বৈষম্য চরম দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক। এই বৈষম্যের নিরসন করে প্রধান শিক্ষকদের পরের ধাপে সহকারি শিক্ষকদের বেতন স্কেল নির্ধারণ করা সাড়ে তিন লাখ শিক্ষকের প্রাণের দাবি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ, বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি তপন কুমার মন্ডল প্রমুখ।
আরো পড়ুন: