সাস্টে ভর্তি হতে চাও যারা : জিজ্ঞাসায় SUST
(এইটা ফরমাইসি লেখা, কারো উপকার হলে থ্যাংস জানাবেন। কিন্তু প্লিজ অপ্রাসংগিক বা অনর্থক কিছু লিখবেন না কমেন্টে।)
২০১৪-১৫ সেশনের স্নাতক ১ম বর্ষ ১ম সেমিষ্টারের ভর্তিপরীক্ষার আপডেট শেষের দিকে আছে।)
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট (শাবিপ্রবি /সাস্ট),বাংলাদেশের সর্বপ্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের পাশে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টি বয়সে অন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম হলেও (একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৯১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি) খুব অল্প সময়ের মাঝে নিজের নামটা সবার পছন্দের তালিকায় নিয়ে নিয়েছে। ছবির মত সুন্দর ছোট্ট সিলেট শহরের শেষ প্রান্তে সবুজের ক্যানোপি দিয়ে ঢাকা বাংলাদেশের সবচেয়ে সবুজ ক্যাম্পাস সাস্ট ক্যাম্পাস।
ভার্সিটিতে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক ভাইয়া-আপুদের কমন কিছু প্রশ্নের জবাব দিচ্ছি এইখানে। লেখার ধাঁচ সব সময়ই একটু ইনফরমাল, তবু কারো কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে চট করে প্রশ্ন করতে পারো । যদি জবাব দিতে না পারি রিকম্যান্ড করে দিবো। আর এই লেখাটা পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত হতে থাকবে ভর্তিচ্ছুদের চাহিদা অনুযায়ী।
—
“জানার আছে অনেক কিছু, দিচ্ছে না তার জবাব কেউ” —
☺ শাবিপ্রবি তো বেশিদিন আগের না, অন্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কি সাস্টের আগে রাখা উচিত না?
☻ কয়েক বছর ধরেই অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সাস্টের ভর্তি পরীক্ষার সময় ওভার ল্যাপ করায় ছেলেমেয়েরা সাস্টে আসে না। অন্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আগে রাখতে চায়। বিভিন্ন কনটেস্টে সাস্টের ছেলেপেলেরা কেমন করছে সেটা পত্রিকা পড়ে হয়ত কিছুটা জেনেছ। স্কলারশিপ নিয়ে বাইরে উচ্চশিক্ষার্থে যেতে সাস্টের এক্সগন অনেক বেশি হেল্পফুল আর প্রায় সব ডিপার্টমেন্টের কারিকুলাম অনেক বেশি আপগ্রেড থাকে। বয়সে তরুণ হলেও অনেক ব্যাপারে সাস্ট পাইওনিয়ার। যেমনঃ
:: বাংলাদেশের প্রথম Wi-Fi Covered ক্যাম্পাস
:: বাংলাদেশের প্রথম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যেখান থেকে সেমিস্টার পদ্ধতিতে পাঠদান শুরু হয়
:: বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় যেখান থেকেই SMS এর মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সর্ব প্রথম শুরু হয় যার উদ্ভাবক সাস্টেরই শিক্ষক শিক্ষার্থীরা
:: বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় যাদের উদ্যোগে এই বছর ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে SUST এবং JSTU এর পরিক্ষা অভিন্ন প্রশ্নপত্রে অনুষ্ঠিত হবে
:: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সেকেন্ড মেজর কোর্স নেবার সুবিধা
:: বাংলাদেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সর্ব প্রথম প্রথম অনলাইনে লেনদেনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন এবং কোর্স ফি জমা দেবার সুযোগ
:: বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে ম্যাথ অলিম্পিয়াড/ ইনফরমেট্রিক্স অলিম্পিয়াডে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পুরষ্কৃত মেধাবীদের ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত পরীক্ষা ব্যতীত ভর্তির সুযোগ পাবে।
:: বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের নিজেদের ভার্সিটির বাসের অবস্থান GPS প্রযুক্তির নিজেদের মোবাইল থেকেই জানতে পারবে ।
:: দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য বাংলা ভাষার প্রথম সফটওয়্যার ‘মঙ্গল দীপ’ উদ্ভাবন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি থেকেই
:: বাংলাদেশের প্রথম সার্চ ইঞ্জিন “পিপিলিকা” সম্পূর্ণভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলিত প্রচেষ্টা।
সাস্ট বয়সে কচি হোক, সিলেট দূরে হোক, যেমন হোক-তেমন হোক; সাস্ট স্বমহিমায় আলাদা।
☺ সাস্টের সবচেয়ে ভালো সাবজেক্ট কোনটা?
☻ সাস্টের সবচেয়ে ভালো সাবজেক্ট কোনটা এই নিয়ে খন্ড প্রলয় লাগে! আসলে চাকরির বাজার আর পড়াশুনার মান দুইটাই সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। এর চেয়েও বড় কথা তুমি নিজে কি চাও।
লেখক স্থাপত্য বিভাগে খেটে মরা ৫ম বর্ষের শিক্ষার্থী। আমার চারপাশে অনেকেই ভালো সাবজেক্টে পড়েও বছর ঘুরতে আফসোসে পুড়ে মরছে আবার তুলনামূলক কম ‘গ্ল্যামার’এর সাবজেক্টে পড়েও পড়াশুনা করা অবস্থাতেই শক্ত ক্যারিয়ার নিশ্চিত করে ফেলেছে এমন অনেক অনেককে দেখেছি। লেখক তাই বিতর্কে জড়াতে চাচ্ছে না।
ভালো হয় অনেকজন বড় ভাইয়ার সাথে কথা বলো। এই ব্যাপারটাতে একটু বয়স্ক মুরব্বি শ্রেণীর মানুষের কথায় কান না দেওয়াই ভালো। কারন সময় পাল্টাচ্ছে। চাহিদা কয়েক দশক পর পর পালটায় সুতরাং তোমাকেও চলতে হবে, ভাবতে হবে তাল মিলিয়ে
☺ শাবিপ্রবি তে সব সাবজেক্ট কি সাইন্স রিলেটেড (ভার্সিটির নামই তো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) ? সাস্টে কি কি সাবজেক্ট আছে?
☻ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ,সিলেট বিশেষাইত বিশ্ববিদ্যালয় হলেও এখানে আর্টস ও কমার্স রিলেটেড সাবজেক্টগুলোও আছে। এখানে ৭টা অনুষদের অধীনে মোট ২৫ টা ডিপার্টমেন্ট। গত বছরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ভর্তিচ্ছুদের জন্য ভর্তি পরীক্ষার জন্য আলাদা করা ইউনিট অনুযায়ী ডিপার্টমেন্টগুলো আলাদাভাবে দেওয়া হলো-
A Unit (Arts & Commerce):
School of management & business administration : 1. Business Administration-BBA (BAN).
2. English (ENG). 3. Economics (ECO). 4. Bangla (BNG). 5. Political Studies (PSS). 6. Public Administration (PAD). 7. Sociology (SOC). 8. Social Work (SCW). 9. Anthropology (ANP).
B Unit (Science) : School of Applied Sciences & Technology :
1. Architecture (ARC). 2. Electrical & Electronic Engineering (EEE). 3. Computer Science & Engineering (CSE). 4. Chemical Engineering & Polymer Science (CEP). 5. Petroleum & Mining Engineering (PME). 6. Industrial & Production Engineering (IPE). 7. Civil & Environmental Engineering (CEE). 8. Food Engineering & Tea technology (FET).
School of Life Sciences :
9. Genetic Engineering & Biotechnology (GEB). 10. Biochemistry & Mollecular Biology (BMB).
School of Agricultural &Mineral Sciences :
11. Forestry & Environmental Science (FES).
School of Physical Sciences :
12. Physics (PHY). 13. Chemistry (CHE). 14. Mathematics (MAT). 15. Statistics (STA). 16. Geography & Environment (GEE).
এখানে জেনে রাখা ভালোঃ
Unit A >> Social Science Unit B >>Science Applied Science with Architecture Unit B1 >>Science Applied Science without Architecture
A unit আর B/B1 ইউনিটের পরীক্ষা সকাল আর বিকেলে আলাদাভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
☺ সাস্টে ভর্তি হতে হলে কত পয়েন্ট লাগবে? কোন কোন বিষয়ে A+ থাকা লাগবে? কয় সাবজেক্টের উপর পরীক্ষা দিতে হয়? পাস মার্কস কত? কি নিয়ে প্রশ্ন হয়?
☻ >ভর্তি পরিক্ষা দেয়ার নুন্যতম যোগ্যতা হল চতুর্থ বিষয় সহ SSC + HSC এর জিপি এ যেন 6.5 থাকে । তার মানে মোটামুটি ভাবে পাশ করতে পারলেই সাস্টে পরীক্ষা দেয়া যায় । লেখকের এইচএসসি(HSC) বা উচ্চ মাধ্যমিকতে জিপিএ ছিলো 4.5।
>সাস্টের ভর্তি পরীক্ষা হবে ৭০ মার্কের
>GPA – এর ভিত্তিতে মার্কিং হবে ৩০ । SSC এর জি পি এ কে 3 দিয়ে, এবং HSC এর জি পি এ কে 3 দিয়ে গুন করে দুটোকে যোগ করতে হবে । উল্লেখ্য, চতুর্থ বিষয় সহই জি পি এ ধরা হবে । চতুর্থ বিষয় সহ এক জনের যে জি পি এ সেই জি পি এ কেই ৩ দিয়ে গুন করা হবে ।
>কেউ যদি সেকেন্ড টাইমার থাকে তাহলে তার জি পি এ কে ২.৭ দিয়ে গুন করা হবে ৩ দিয়ে নয় ।
>সাস্টে কোন পাস মার্ক নেই ।
>কোন বিশেষ subject এ পড়তে হলে HSC তে বিশেষ কোন বিষয়ে এ প্লাস পাবার দরকার হয় না ।
> সাস্টের ভর্তি পরীক্ষায় জি পি এ কে কখনোই বড় করে দেখা হয় না । এটা ভর্তি পরিক্ষার উপর তেমন কোন প্রভাব ফেলে না । দেখা হয় একজন ছাত্রের মেধাকে । তোমার যদি মেধা থাকে তাহলে তার মূল্যায়ন অবশ্যই সাস্টে হবে ।
>সাস্টে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নগুলো অনেক বেশি বেসিক নির্ভর। মনে রেখ- “সহজ বিষয় যায় না ভাবা সহজে।“
☺ পাস করতে কত বছর লাগে? সাস্টে ছাত্ররাজনীতি কেমন? ভর্তি হবার পর কই থাকব?
☻ একসময় সাস্টে ছাত্ররাজনীতির মারপ্যাচে সেমিস্টার হাওয়া হয়ে যেত ঘরে বসে। সেটা অস্মীকার করছি না। কিন্তু সবচেয়ে মজার বিষয় হল- গত ৫-৬ বছর যাবত বাংলাদেশে মেডিকেল বাদে অন্যান্য সরকারি ভার্সিটিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিয়মিতভাবে সেমিস্টার শেষ হয় সাস্টে! বড় ভাইয়াদের এই ব্যাপারটা নিয়ে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারো।
সাস্টে ছাত্ররাজনীতি নিয়ে কোন মন্তব্য করবো না। শুধু তোমাদের এইটা জানিয়ে রাখি কখনো কোন ঝামেলা হলে সবাই নিজেরা নিজেরা ঝামেলা করে, ক্লাস বন্ধ হয় না। আমাদের ভার্সিটির সম্মানিত শিক্ষকমন্ডলি এই ব্যাপারটায় যথেষ্ট কড়া এবং ছাত্রসংগঠনগুলোও সহানুভূতিশীল। রাজনীতিতে কারো যদি নিজেকে যুক্ত করার ইচ্ছা থাকে, তাহলে এখানে সুযোগের অভাব নেই, না করলেও কেউ জোর করবে না। তবে যদি আগ্রহ না থাকে তবে অবশ্যই হলে উঠবে না। আর মেসে উঠলেও খুব ভালোভাবে সেই মেস সম্পর্কে জেনে উঠবে। যে সিনিয়র ভাই তোমাকে জায়গা দিয়েছে তার সম্পর্কেও সাবধান থাকবে।
ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসার সময় এবং ভর্তি হবার পরে কোথায় থাকবে সেইটার সিনিয়রদের থেকে নিও। সিনিয়র যত জুটাবে অপশন তত মিলবে। মেসেই থাকতে হবে এই মানসিকতা নিয়ে এসো। সিলেটে অবশ্য মেস হিসেবে ব্যবহার হয় এমন ফ্ল্যাটবাড়ি অনেক।
☺ সিলেটে খরচ কেমন? থাকার পরিবেশ কেমন? টিউশনির বাজার কেমন?
☻ সিলেটে থাকা খাওয়ার খরচ একটু বেশি সেটা ঠিক। কিন্তু শহর হিসেবে সিলেট খুব নিরাপদ একটা জায়গা। ছিনতাই-ডাকাতি টাইপ ব্যাপারগুলো হয় না বললেই চলে। সারা রাত রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে আড্ডা দেওয়া, চন্দ্রাহত হবার জন্য সিলেটের মত জায়গা হয় না। তবে টিউশনির ব্যাপারটাতে মিথ্যে বলে লাভ নেই, সিলেটে চাকচিক্য আর জাকজমক দেখে এত্ত খুশি হবার কিছু নাই। টিউশনি অনেক পাবে, কিন্তু তোমার দুহাতে খরচ করার মত যথেষ্ট “ইয়ে” পাবা না ধরে নাও। হাত খরচ চলে যাবে। তবে ভাগ্য খুবই ভালো হলে অন্য কথা।
ফ্রিল্যান্সিং -আউটসোর্সিং ব্যাপারগুলোতে আগ্রহ থাকলে গাইডেন্স পাবে অনেক। আর টুক টাক ব্যবসা করতে চাইলে তো পারবেই।
☺ সারাদিন পড়াশুনাই করে নাকি সবাই? Co-curricular activities এর সুযোগ আছে?
☻ সাস্টে পরীক্ষার আগ দিয়ে সবচেয়ে ফাকিবাজ ছেলেমেয়েটাও দিব্বি পড়ুয়া বনে যায়। কিন্তু বাজি ধরে বলতে পারি, ঢাকার বাইরে বাংলাদেশে এই ব্যাপারে সবচেয়ে রমরমা হচ্ছে সাস্ট ক্যাম্পাস! গান-কবিতা-নাটক-সাহিত্য-আঁকাআঁকি কি নেই? সারা বছরই কোন না কোন সংগঠনের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের উৎসব লেগে থেকে। এইখানে তাই ‘আঁতেল ভাইয়া’ একটু কম। চল্লিশটার উপর রেজিস্টার করা সংগঠন আছে সাস্টে। আর ‘সম্মিলীত সাংস্কৃতিক জোট’ এর প্ল্যাটফর্মে ১৪টা সাংস্কৃতিক সংগঠন সবচেয়ে একটিভ। প্রতি বছর জাতীয় চার দিবসে নিয়ম করে উৎসব হয়। পহেলা বৈশাখে স্থাপত্য বিভাগ থেকে ঢাবির চারুকলার মতই আয়োজন করে। পুরো সিলেট তখন ভেঙ্গে পরে। ঈদে তো সবাই বাসায় চলে যায়, পুজার সময় হাফ ডজন মন্ডপ হয়। সাস্টিয়ানরা বেশ ভালই পড়ালেখা করে, তবে এর পাশাপাশি মজাটাও করতে পারে ভালো!
সাস্ট ক্যাম্পাসে সৃজনশীলতার চর্চাটা বেশ ভালো ভাবেই হয়। ভার্সিটি নিজেই খুব ভালো এনকারেজ করে ব্যাপারগুলো।
( লেখক নিজে Cartoon factory (https://www.facebook.com/groups/cartoonfactory/), সাস্ট সাহিত্য সংসদ (https://www.facebook.com/groups/sust.ss/), Sylhet Debate Federation(SDF)(https://www.facebook.com/groups/sylhetdf/) সংগঠনগুলোর সাথে আছে!!! )
☺ … এবং ডক্টর মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার!
☻ ক্যান্ডিডেটরা যতই ডিসটার্ব করুক স্যার বিরক্ত হন না। লেখকের দুইবার স্যারের ধমক খাওয়ার দূর্ভাগ্য হয়েছিলো। স্যারের ভাষাতেই বলি, ধমক খেলে “পেটের ভিতরে হাত পা ঢুকে যায়!”
☺ সাস্টে র্যাগিং কি খুব খারাপ?
☻ সাস্টে তোমাদের সিনিয়র ভাইয়া-আপু সবাইই তোমার মতই সাধারন ফ্যামিলি থেকে এসেছে। র্যাগিং নিয়ে গুলবাজদের অনেক রূপকথা শুনে অনেকেই এই ব্যাপারটা নিয়ে আতংকে থাকে। সাস্টে এখন র্যাগ প্রায় উঠে গেছে। ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসে কেউ র্যাগ খায় না। তুমি যখন আমাদের একজন হয়ে যাবে তখন তোমাদের সিনিয়ররা তোমাদের সাথে মজা করার জন্য অবশ্যই একটা মাত্রা রেখে চলবেন। সেটা নিয়ে ভয় পাবার কিছু নাই, স্বাভাবিকভাবে নিলে তোমার জন্যই ভালো।
তোমাদের কিছু ডেডিকেটেড ভাইয়া SUST Admission & Information Aid ( https://www.facebook.com/SustInformationAid?ref=ts&fref=ts ) নামের একটা পেইজ চালায়। এই ভাইয়াদের কাছে প্রশ্ন করলে মনে হয় সব প্রশ্নেরই জবাব পাবে। আর সাস্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে http://www.sust.edu/ সবসময় ভর্তি সংক্রান্ত খবর আপডেট হয়। কেউ এই লেখা থেকে উপকৃত হলে অবশ্যই অবশ্যই স্পেশাল থ্যাংস দিও ধ্রুবকে ।( https://www.facebook.com/dhrubo.arafat )।
শুভকামনা সবার জন্য।
২০১৪-১৫ সেশনের স্নাতক ১ম বর্ষ ১ম সেমিষ্টারের ভর্তিপরীক্ষার আপডেটঃ
(তথ্য সূত্রঃ বিভিন্ন অনলাইন নিউজ সাইট)
২০১৪-১৫ সেশনের স্নাতক ১ম বর্ষ ১ম সেমিষ্টারের ভর্তি পরীক্ষা দুটি ইউনিটের মাধ্যমে ১৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১৫ নভেম্বর একই দিনেসকাল সাড়ে ৯ টায় ‘এ’ ইউনিটের ওবেলা আড়াইটায় ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।পরীক্ষা বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার হলে মোবাইল-ফোন” target=”_blank”>মোবাইল ফোন আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মুঠোফোনে আবেদন প্রক্রিয়া ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।
ভর্তিসংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ে জানতে ০১৫৫৫৫৫৫০০১-৫ হটলাইনে এবং বিস্তারিত www.sust.edu এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
যদি কোন শিক্ষার্থী A ও B উভয় ইউনিটের পরীক্ষা পরীক্ষা দিতে চায় তাহলে উভয়ইউনিটে জন্য পৃথক পৃথকভাবে আবেদন করতে হবে। এবার শিক্ষার্থীদেরকে পছন্দের বিষয়গুলোতে রেজিস্ট্রেশনের সুবিধার্থে A ও B ইউনিটের বিভাগসমূহকে কয়েকটি সাব-ইউনিটে (A1,B1, B2, B3, B4) ভাগ করা হয়েছে। এসব সাব ইউনিট গুলো এমনভাবেসাজানো হয়েছে যে কোন একটি সাব-ইউনিটে আবেদন করলে ঐ ইউনিটের অন্য সাব-ইউনিটে আবেদনকরা যাবে না।
‘এ’ ও ‘বি’ ইউনিট দুটিতে যথাক্রমে ৬০০টি ও ৮০০টি আসন রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারসন্তান (২৫), আদিবাসী (২৫) ও প্রতিবন্ধীদের (১৩) জন্য মোট ৬৩ টি আসন এবং পোষ্য কোটার জন্য ১৪ টি আসন সংরক্ষিত রয়েছে।
আবেদন প্রক্রিয়া:
টেলিটক মোবাইল থেকে SMS অপশনে গিয়েবিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, এইচএসসি(HSC) বা উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান বোর্ডের নাম, পরীক্ষার রোল নম্বর, পাশের সন, এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকি/সমমান পরীক্ষার বোর্ডেরনাম, রোল নম্বর, পাশের সন এবং সাব ইউনিটের কি ওয়ার্ড লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
উদাহরণস্বরূপ: SUST<space>SYL<space >123456<space >2014<space>SYL<space >654321<space >2012<space >A1
তবে কেউ যদি কোটায় আবেদন করতে চায় তাহলে সাব ইউনিটের পরে কোটা কোড
উল্লেখ্য করতে হবে।
উদাহরণস্বরূপ: SUST<space>SYL<space >123456<space >2014<space >SYL<space >654321<space >2012<space >A1<space >FFQ.
২০১৩/২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত এইচ.এস,সি(সাধারন/কারিগরি)/আলিম/ডিপ্লোমা ইন কমার্স/ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং/সমমান এবং২০১১/২০১২ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকি (সাধারন ও কারিগরি)/ দাখিল বা সমমান পরীক্ষায়উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে পারবে।
ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিংপরীক্ষাতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ২০০৯/২০১০ সনে অনুষ্ঠিত এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকি বা সমমানপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
যে সকল শিক্ষার্থী বিজ্ঞান শাখা থেকে এইচ.এস.সি সমমান পরীক্ষায় পাশ করেছে তারা A ও B ইউনিটেএবং অন্যেরা শুধু A ইউনিটে আবেদন করতে পারবে। A ইউনিটে আবেদন করার জন্য এইচএসসি(HSC) বা উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান ও এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকি/সমমান উভয় পরীক্ষাতেন্যূনতম GPA 3 সহ মোট ৬.৫ থাকতে হবে। B ইউনিটে আবেদন করার জন্য এইচএসসি(HSC) বা উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান ও এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকি/সমমান উভয় পরীক্ষাতেনূন্যতম GPA 3 সহ মোট GPA 7 থাকতে হবে।
তোমাদের আরেক বড় ভাইয়া Shahrukh Rigan (https://www.facebook.com/shahrukhrigan?fref=ufi) ২০১৪-১৫ সেশনের স্নাতক ১ম বর্ষ ১ম সেমিষ্টারের ভাইয়া আপুদের জন্য আরো সুন্দর করে কিছু তথ্য দিয়েছেঃ
সাস্টের অ্যাপ্লাইড সাইন্স ডিপার্টমেন্টের অবস্থান সারা বিশ্বের মধ্যে ৩১২ তম। উল্লেখ্য, অ্যাপ্লাইড সাইন্স ডিপার্টমেন্টের র্যাং কিংএ সাস্টের আগে শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েট ছাড়া বাংলাদেশের অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয় নেই।
সায়েন্সের শিক্ষার্থীদের সাধারণত ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার প্রতি আলাদা দুর্বলতা থাকে, তাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে সাস্ট থেকে পড়ে ইঞ্জিনিয়ার হওয়া যাবে কিনা?জাফর স্যারের একটি বক্তব্য তাদের এই প্রশ্নের সদুত্তর , “সাস্টে বি এস সি ইঞ্জিনিয়ারিং সার্টিফিকেট পাবে যারা এপ্লায়েড সায়েন্স ভুক্ত ৮ টি বিভাগের স্টুডেন্ট।আমরা আমাদের এপ্লায়েড সায়েন্স ফ্যকাল্টির নাম চেইঞ্জ করে ‘ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি’ রাখতে চেয়েছিলাম।কিন্তু তা অযথা ঝামেলা, ইউ জি সি পারমিশন সহ আরো অনেক সময় সাপেক্ষ জটিলতা থাকায় নাম পরিবর্তন করা হয় নি”
-
সাস্টের কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য
:: সাস্ট বাংলাদেশের প্রথম Wi-Fi Covered বিশ্ববিদ্যালয়
:: বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় যেখান থেকেই SMS এর মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সর্বপ্রথম শুরু হয়, এবন এ প্রক্রিয়ার উদ্ভাবক ও সাস্টেরই শিক্ষক শিক্ষার্থীরা
:: বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় যেখান থেকে সেমিস্টার পদ্ধতিতে পাঠদান শুরু হয়
:: বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের নিজেদের ভার্সিটির বাসের অবস্থান GPS প্রযুক্তির নিজেদের মোবাইল থেকেই জানতে পারবে ।
:: বাংলাদেশের প্রথম সার্চ ইঞ্জিন “পিপিলিকা” এই শাবিপ্রবির সৃষ্টি
:: বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে ম্যাথ অলিম্পিয়াড/ ইনফরমেট্রিক্স অলিম্পিয়াডে জাতীয় পর্যায়ে পুরষ্কৃত মেধাবীদের ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত পরীক্ষা ব্যতীত ভর্তির সুযোগ পাবে।
::বাংলাদেশের একমাত্র সাস্ট এ ২য় মেজর কোর্স চালু রয়েছে, অর্থাৎ একজন শিক্ষার্থী একই সঙ্গে দুটি বিষয়ের উপর অনার্স করতে পারবে। এ পদ্ধতি বিশ্বের উন্নত দেশ গুলো যেমন উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে চালু থাকলেও বাংলাদেশে চালু করেছে সাস্ট।
:: দেশের প্রথম পুর ও পরিবেশ কৌশল এক সাথে পড়ানো হয় সাস্টের পুর ও পরিবেশ প্রকৌশল(CEE) বিভাগে।::সাস্টের প্রায় সকল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট বিশেষ করে আই পি ই , পি এম ই ,সি এস ই, সি ই পি থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীরা চাকুরী ক্ষেত্রে দেশের শীর্ষস্থান দখল করে আছে।
-
::সাস্টের আই পি ই এবং সি ই পি এর আলাদা বিশাল আকৃতির এবং সুসজ্জিত ওয়ার্কশপ আছে।
::দেশে প্রথমবারের মত জিওলোজি ভিত্তিক পেট্রলিয়াম ও মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের জন্য সাস্টের পি এম ই বিখ্যাত।
::দেশের একমাত্র পলিমার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি ল্যাব সাস্ট সি ই পি ডিপার্টমেন্ট এর রয়েছে, যেটি BCIC এবং BSCIR ও স্পেশালাইজড ভাবে নেই।
::সাস্টের এফ ই টি ডিপার্টমেন্ট দেশে একমাত্র “টি টেকনোলজি” পড়ায়। বাংলাদেশের চা ইন্ডাস্ট্রি গুলোর আকর্ষণীয় চাকুরী গুলো সব সাস্ট এফ ই টি ডিপার্টমেন্ট থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীদের দখলে।
::সাস্টের সি এস ই এর লক্ষ্য ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করা নয়, পৃথিবী সেরা ওয়েব ডেভলাপার ও প্রোগ্রামার তৈরি করা। যার প্রমাণ এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রোগ্রমিং প্রতিযোগিতায় শীর্ষস্থান ধরে রেখে দিয়ে আসছে।
::সাস্টের বি বি এ একমাত্র বি বি এ যেখানে নরমাল বি বি এ এর আদলে আই বি এ এর সিলেবাস পড়ানো হয়।
::সাস্টের ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বুয়েট থেকে বি এস সি কমপ্লিট করার পড় কানাডা এর অনেক ইউনিভার্সিটিতে(যেমনঃ University of Alberta) পড়াশোনা করতে কোন IELTS/TOEFL কোর্স করার প্রয়োজন হয় না।
তাছাড়া সাস্টের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট গুলোতে দেশে প্রথম বারের মত ড্রোন উত্তোলন সহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা চালানো হয়েছে ও হচ্ছে।সাস্টের বিভাগ সমূহ
-
A ইউনটের বিষয়সমূহ : ব্যবসা প্রশাসন (৭০), অর্থনীতি (৬৫), ইংরেজী (৭০), সমাজবিজ্ঞান (৬৫), নৃবিজ্ঞান (৬৫), সমাজকর্ম (৬৫), পলিটিক্যাল স্টাডিজ (৬৫), লোকপ্রশাসন (৬৫) ও বাংলা (৭০)।
Bউনিটের বিষয়সমূহ :
বি ১>
বিজ্ঞান অনুষ : পদার্থবিজ্ঞান (৬৫), রসায়ন (৬৫), গনিত (৮০),ভূগোল ও পরিবেশ(৪০),পরিসংখ্যান (৮০)
অ্যাপ্লায়েড সায়েন্স গ্রুপ : কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (৬০), কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড পলিমার সায়েন্স (৫০), ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (৫০), সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং (৫০), পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (৩৫), তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক্স প্রকৌশল(৩৫),খাদ্য প্রকৌশল ও চা প্রযুক্তি(FET)(৪০)
বি ২>
কৃষি ও খনিজ বিজ্ঞান অনুষদঃ ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভয়রনমেন্টাল সায়েন্স (৫৫),
লাইফ সায়েন্স গ্রুপ :জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি (৩৫), জৈব রসায়ন ও আনবিক জীববিদ্যা (৩০)
বি ৩>
আর্কিটেকচার (৩০)সাস্টে ১০০ নম্বরের উপর ভিত্তি করে মেধাতালিকা প্রকাশিত করা হয়। ৮০% নম্বর এম সি কিউ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর থেকে এবং ২০% নম্বর এস এস সি এবং এইচ এস সি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জি পি এ এর যোগফল কে ২ দ্বারা গুণ করে (দ্বিতীয়বারের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ১.৮ দ্বারা )
একটি বিষয় লক্ষণীয়, কোন বিশেষ subject এ পড়তে হলে HSC তে বিশেষ কোন বিষয়ে এ প্লাস পাবার দরকার হয় না ।সাস্টের ভর্তি পরীক্ষায় জি পি এ কে কখনোই বড় করে দেখা হয় না । এটি ভর্তি পরিক্ষার উপর তেমন কোন প্রভাব ফেলে না । দেখা হয় একজন ছাত্রের মেধাকে । তোমার যদি মেধা থাকে তাহলে তার মূল্যায়ন অবশ্যই সাস্টে হবে ।সাস্টে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নগুলো অনেক বেশি বেসিক নির্ভর।অনেকেরই প্রশ্ন থাকে কত পেলে সাস্টে চান্স পাওয়া যাবে, তাদের প্রতি আসলে সাস্টে ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর প্রকাশ করা হয় না।তাছাড়া প্রতিযোগিতা এবং প্রশ্নপত্রের উপর ভিত্তি করে প্রতিবছরই চান্স পাবার জন্য নুন্নতম নম্বরের তারতম্য ঘটে। আরেকটি কথা সাধারণত যারা ইঞ্জিনিয়ারিং কোচিং করে তাদের অনেকেরই দুর্ভাগ্য বশত ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ হয় না।তাদের এবং দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেয়া শিক্ষার্থীদের খুব ভাল মানের ইঞ্জিনিয়ারিং সাব্জেক্টে পড়ার সুবর্ণ সুযোগ করে দেয় সাস্ট।সাস্টে আগামী ১৫ ই নভেম্বর ২০১৪ তারিখে অনার্স প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ১৬ ই সেপ্টেম্বর ২০১৪ থেকে ১০ অক্টোবর ২০১৪ পর্যন্ত আবেদন করতে হবে। ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যের জন্য চোখ রাখ> http://www.sust.edu/admission/
—-
২০১৪-১৫ সেশনের স্নাতক ১ম বর্ষ ১ম সেমিষ্টারের ভর্তিপরীক্ষার আপডেটঃ
(তথ্য সূত্রঃ https://www.facebook.com/SustInformationAid)
সাস্টের সম্ভাব্য ভর্তি পরীক্ষার তারিখ – ১৪ নভেম্বর
ভর্তি বিজ্ঞপি এখনো প্রকাশিত না হওয়ায় সম্ভাব্য ভর্তি পরীক্ষা দিবার যোগ্যতা তুলে ধরা হলো ।
২০১৪/১৫ সনে অনুষ্ঠিত এইচ,এস,সি (সাধারণ/কারিগরি/আলিম/ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স/সমমান এবং ২০১২/১৩ সনে অনুষ্ঠিত এস,এস,সি ( সাধারণ ও কারিগরি ?/দাখিল বা সমমান পরীক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে ।
ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্র/ছাত্রীদের ২০১০/১১ সনে অনুষ্ঠিত এস,এস,সি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে ।
বিজ্ঞান বিভাগের শীক্ষার্থীরা A ও B উভয় ইউনিটেই পরীক্ষা দিতে পারবে অন্যরা শুধু A ইউনিটে ।
A ইউনিটে আবেদনের জন্য – এইচ,এস,সি ও এস,এস,সি তে নুন্যতম GPA 3.0 করে সর্বমোট GPA 6.5 থাকতে হবে ।
B ইউনিটের আবেদনের জন্য – এইচ,এস,সি ও এস,এস,সি তে নুন্যতম GPA 3.0 করে সর্বমোট GPA 7.0 থাকতে হবে ।
O level ধারীদের কমপক্ষে ৩ টি বিষয়ে B গ্রেড সহ ৫ টি বিষয়ে পাশ এবং A level এ কমপক্ষে ২ টি বিষয়ে B গ্রেড সহ ৩ টি বিষয়ে পাশ থাকতে হবে ।
‘এ’ ও ‘বি’ ইউনিট দুটিতে যথাক্রমে ৬০০টি ও ৮০০টি আসন রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারসন্তান (২৫), আদিবাসী (২৫) ও প্রতিবন্ধীদের (১৩) জন্য মোট ৬৩ টি আসন এবং পোষ্য কোটার জন্য ১৪ টি আসন সংরক্ষিত রয়েছে ।
দৃষ্টি আকর্ষনঃ
সাস্টের নতুন অবদানের তালকায় ড্রোন প্রোগ্রাম সহ আরো অনেক কিছু যোগ হয়েছে। নতুন করে “সাস্ট কেনো ভালো” এই গীত নিশ্চয়ই আর গাওয়া লাগবে না। আমরা নিজেদের যোগ্যতায় সেরা।
এবং … দুইটা চাওয়া-
(১)
শাবিপ্রবির নতুন করে কলংকের কালিমা মাখানো পোষ্য কোটার সংখ্যা এবার ১৪।!
এই আজগুবি পোষ্য কোটার বিলোপ চাই।
(২)
দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ভাইয়া আপুদের কষ্ট লাঘবের জন্য বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের; বিশেষ করে সকল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা চাই।
0 responses on "জিজ্ঞাসায় SUST (শাবিপ্রবি): সাস্টে ভর্তি হতে চাও যারা"