
ঘুষ নেওয়ার সময় গ্রেফতার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের ডিডি সিরাজুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার।
সোমবার (১৬ এপ্রিল) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বরখাস্তের এ আদেশ জারি করা হয়।
গত ১০ এপ্রিল রাতে সিরাজুল ইসলামকে ঘুষের টাকা নিজ কার্যালয়ে দুদকের কাছে গ্রেফতার হন। এ ব্যাপারে দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে ওই রাতেই রংপুর কোতয়ালী থানায় একটি মামলা করেন। সিরাজুল ইসলামের বাড়ি বগুড়া শহরের মালতি নগরে। পরের দিন ১১ এপ্রিল সিরাজুল ইসলামকে রংপুরের চীফ জুডিশিয়াল মেজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়।
জানা গেছে, দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নুরে আলমের স্ত্রী ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার বালিহারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শারমিন আক্তার গত কয়েক মাস ধরে রংপুরে বদলী হয়ে আসার জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় উপ পরিচালক সিরাজুল ইসলামের নিকট ধর্না দিচ্ছিলেন। এ ব্যাপারে তাঁর স্বামীও নিজের পরিচয় দিয়ে কয়েক দফা যোগাযোগ করেন।
এক পর্যায়ে ডিডি সিরাজুল ইসলাম এক লাখ টাকার বিনিময়ে শারমিন আক্তারকে রংপুরে বদলী করে আনার ব্যাপারে সম্মতি প্রকাশ করেন। তবে দুদক কর্মকর্তার স্ত্রী হিসেবে তাঁকে ২০ হাজার টাকা ডিসকাউন্ট দিয়ে প্রথমে ২০ হাজার টাকা অগ্রিম নেন। ঘুষের অবশিষ্ট টাকা ১০ এপ্রিল দেয়ার কথা ঠিক হলে শারমিন আক্তারের স্বামী দুদকের সহকারী পরিচালক নুরে আলমকে বিষয়টি অবহিত করেন। এরপর দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বে বিশেষ দল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় উপ-পরিচালক কার্যালয়ের সামনে থেকে ডিডি সিরাজুল ইসলাম শারমিন আক্তারের কাছ থেকে ঘুষের অবশিষ্ট টাকা নেয়ার সময় নিজ কার্যালয় থেকে তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে।
আরো পড়ুন: