এক চাকরিপ্রার্থী উপাচার্যকে ঘুষ দিতে গিয়ে আটক

এক চাকরিপ্রার্থী উপাচার্যকে ঘুষ দিতে গিয়ে আটক হয়েছেন

এক চাকরিপ্রার্থী উপাচার্যকে ঘুষ দিতে গিয়ে আটক হয়েছেন।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষকে ঘুষ দিতে গিয়ে আটক হয়েছেন এক চাকরিপ্রার্থী। রোববার (১৫ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে তার দপ্তরে এ ঘটনা ঘটে। আটক ওই ব্যক্তির নাম ইলিয়াস হোসেন।

প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত চাকরিপ্রার্থীর নাম ইলিয়াস হোসেনের গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলার সুজানগর থানার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামে। ইলিয়াস হোসেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা করেছেন। ফেব্রুয়ারিতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য সার্কুলার দেয়া হলে ইলিয়াস অফিসার পদে আবেদন করেন। সেখানে তার নিয়োগ নিশ্চিত করতে এ ঘুষ দেয়ার চেষ্টা করেন।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর মো গোলাম সারোয়ার বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ পান গত জুনে। বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য সার্কুলার দেয়া হয় এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে। ইলিয়াস অফিসার পদে আবেদন করেন। তারপর থেকেই তিনি বিভিন্ন সময়ে অধ্যাপক বিশ্বজিতের কাছে চাকরির জন্য ধর্না দিতে থাকেন। এর আগেও একবার ইলিয়াস অধ্যাপককে ১৪ লাখ টাকা ঘুষ দিতে চান এবং নানা সময়ে চাকরি চেয়ে মোবাইলে নানা ধরণের এসএমএস দেন। যেগুলোর প্রমাণও উপাচার্য অধ্যাপক বিশ্বজিতের কাছে আছে বলে জানান সারোয়ার।

তিনি বলেন, এরপরও কোনো ধরনের সাড়া না পেয়ে ইলিয়াস সর্বশেষ ভিসি স্যারের অফিশিয়াল গাড়ির ড্রাইভারকে ম্যানেজ করেন। ড্রাইভারের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে তিনি ভিসি স্যারের গতিবিধি লক্ষ্য করতেন।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রওশন আলম বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অবকাঠামো না থাকায় আমরা ধানমন্ডিতে অবস্থিত একটি লিয়াজো অফিসে কাজ করছি। ভিসি স্যার সেজন্য ঢাকাতেই আছেন। চাকরির জন্য বেপরোয়া এই যুবক স্যারকে ফলো করার জন্য ঢাকার কাঁটাবনে অবস্থিত আল-বারাকা টাওয়ারের ১২/বি২ ফ্ল্যাটে থাকা শুরু করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, রোববার সকাল ১১টার দিকে আমি আমার অফিসে ছিলাম। এসময় ছেলেটি আসে। সে আমার টেবিলে একটি ব্যাগ রাখে। এতে কি আছে জানতে চাইলে, সে কিছু না বললে আমি ব্যাগ খুলে দেখি। আমি তাকে ধরে ফেলতে চাইলে সে দৌড় দেয়। এসময় কলাভবনের কয়েকজন ছাত্র তাকে ধরে ফেলে আমার অফিসে নিয়ে আসে। পরে আমি তাকে ডিন অফিসে নিয়ে যাই। সেখান থেকে তাকে শাহবাগ থানার পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ঘুষ দিতে চাইলে তারা একজনকে ধরে ফেলেন। পরে আমরা গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে এসেছি।

মন্তব্য করুন

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline