কে হচ্ছেন মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের?

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের চলতি দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামানের শেষ কর্মদিবস আসছে বছরের ৬ জানুয়ারি। শিক্ষা প্রশাসনের এ পদটি নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা ও লবিং শুরু হয়েছে। কে, কীভাবে তদবির করছেন তা নিয়ে দৈনিকশিক্ষার কাছে এসেছে নানা তথ্য।

বর্তমান মহাপরিচালক এস এম ওয়াহিদুজ্জামান নিজে চাচ্ছেন একবছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ। কিন্তু দেড় সপ্তাহ আগেই তিনি নিশ্চিত হয়েছেন যে তার মেয়াদ যথাসময়ে শেষ হচ্ছে। সরকার নিজ উদ্যোগে ওয়াহিদুজ্জামানের পিআরএল মঞ্জুর করেছে গত সপ্তাহে। তবু, শেষ চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। ২৫ ডিসেম্বর তিনি সর্বশেষ চেষ্টা করবেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

মন্ত্রীর সাবেক পিএস-এপিএস খুঁজছেন: সবার অগোচরে নতুন মহাপরিচালক খুঁজছেন শিক্ষামন্ত্রীর সাবেক দুইজন পিএস ও এপিএস। একজন সাবেক পিএস বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পদে রয়েছেন। সাবেক এপিএস ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে কর্মরত। তাদের আজ্ঞাবহ একজনকে বেছে নিতে ইতিমধ্যেই তারা সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করেছেন। তালিকাভুক্তদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করে সবাইকেই বলছেন ‘আপনার সব ভালো দিকগুলো আমরা মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে তুলে ধরবো। আপনার পরিবারের কেউ যদি ক্ষমতাসীন দলের কোনো পদ-পদবিতে থাকেন তাহলে তার কাছ থেকে ডিও লেটার জোগাড় কর।’

প্রার্থীদের আরো বলা হচ্ছে, ‘আপনার পক্ষে আমাদেও লবিংয়ের কথা যেন ঢাকা, চিটাগং, সিলেট ও রাজশাহী বোর্ডের চেয়ারম্যানগণরা জানতে না পারেন। বেসরকারি কোনো শিক্ষক সংগঠনের নেতা কিংবা জাতীয়করণের তালিকাভুক্ত শিক্ষক সংগঠনের নেতারাও যাতে জানতে না পারেন।’

সাবেক পিএস-এসপিএসরা সম্প্রতি পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালকের সঙ্গেও একদফা বৈঠক করেছেন বলে জানা যায়। পরিচালককে খুব পছন্দ করেন জাতীয়করণ নিয়ে হট্টগোল সৃষ্টির অন্যতম হোতা হিসেবে পরিচিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কলেজ শাখার অতিরিক্ত সচিব।

ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান: শিক্ষামন্ত্রীর সাবেক একজন এপিএস ও তার বাহিনীর অব্যাহত বিরোধীতা সত্ত্বেও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান সুনাম কুড়িয়েছেন। তিনি মহাপরিচালক হওয়ার চেষ্টা করছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। তার অনেকদিন চাকরি আছে। তাই মহাপরিচালকের চলতি দায়িত্ব দেয়া হলে তিনি অনেকদিন পদে থাকবেন। মাহবুবুর রহমানকে ঠেকাতে মাঠে নেমেছে শিক্ষামন্ত্রীর সাবেক এপিএস ও তার বাহিনী। এতে বোর্ডের একজন নারী কর্মকর্তাও চেয়ারম্যানের মহাপরিচালক হওয়া ঠেকাতে তৎপর বলে জানা গেছে। মাহবুবুর রহমানের সম্ভাবনা বেশি বলে অনেকে অংক কষছেন। সেক্ষেত্রে ঢাকা কলেজ থেকে একজন অধ্যাপক বখসিবাজারে এবং একই কলেজের অন্য এক অধ্যাপক আরেক ধাপ উপরে উঠতে পারেন! আবার রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ রেকি করছেন ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার!

চট্টগ্রাম, সিলেট ও রাজশাহী বোর্ডের চেয়ারম্যানদের নামও শোনা যায়। অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামছুল হুদার কথাও বলছেন কেউ কেউ।

তবে, সবাইকে অবাক করে দিয়ে নতুন মুখ দেখা যেতে পারে। যার রক্তে-মাংশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-প্রগতির চিন্তা।

 

আরো পড়ুন:

৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে সব মাধ্যমিক সরকারি স্কুলে ভর্তি শেষ করার সিদ্ধান্ত

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডট বিডি ও ডট বাংলা নিবন্ধন বাধ্যতামূলক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে

এসএসসিএইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে আদায় করা অতিরিক্ত ফি ১৫ দিনের মধ্যে ফেরতের নির্দেশ

এবছর জিপিএ-৫ ছাড়াই ভর্তি হওয়া যাবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে

Leave a Reply

Need Help? Send a WhatsApp message now

Click one of our representatives below