
প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব দলে ভেড়ানোর মতো ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে ক্যাম্পাসে ঢাকা ও কুমিল্লা আঞ্চলিক গ্রুপের মধ্যে দুই ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়াধাওয়ি ও সংঘর্ষের ঘটনায় ৯ জন আহত হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের দুটি কক্ষ।
ঢাকা গ্রুপের নেতা তারিক নাজির সৈকত গতকাল সকালে সাংবাদিকদের জানান, কুমিল্লা গ্রুপের সদস্যরা সংঘর্ষকালে নবাব সিরাজউদ্দৌলা হলের তিনটি কক্ষে তাঁদের পক্ষের আট শিক্ষার্থীকে মারধর করে আটকে রাখে।
ওই হলের ২০৩ নম্বর কক্ষে চারজন, ৩০৮ নম্বর কক্ষে তিনজন ও ৫০৭ নম্বর কক্ষে একজন শিক্ষার্থীকে তালাবদ্ধ করে রাখার চিত্র দেখা যায়। পরে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্বরত সাংবাদিকদের মাধ্যমে খবর পেয়ে শিক্ষার্থী পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক ড. মিজানুর রহমান, ওই হলের প্রভোস্ট মোহাম্মদ ইছাক ও সহকারী প্রক্টর মহব্বত আলী ঘটনাস্থলে যান। পরে তাঁদের উপস্থিতিতে তালা ভেঙে আট শিক্ষার্থীকে মুক্ত করা হয়। এ সময় ঘটনার তথ্য নিতে গেলে উপস্থিত কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের কাজে বাধা দেয়।
কুমিল্লা গ্রুপের নেতা ও শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুদ্র নাথ টুটন বলেন, ‘ওরা নিজেরাই নিজেদের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে আমাদের দোষারোপ করছে।’
ঢাকা গ্রুপের শিক্ষার্থীদের দাবি, কুমিল্লা গ্রুপ সোমবার রাত ২টার দিকে টিএসসিতে তাদের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এরপর তাদের কয়েকজনকে কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে ওই গ্রুপ।
প্রক্টর ড. ফরহাদ হোসাইন বলেন, ঘটনার নেপথ্য কারণ উদ্ঘাটনে ৯ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: