ওয়ার্ডপ্রেস কি?

সহজ কথায়, ওয়ার্ডপ্রেস হল একটি সিএমএস (CMS) বা কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। আরেকটু বিশদ বলতে গেলে, ওয়ার্ডপ্রেস হল পিএইচপি ও মাইএসকিউএল ভিত্তিক একটি বিশেষ অনলাইন টুল যার মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। আর উইকিপিডিয়ার ভাষ্য অনুসারে – ওয়ার্ডপ্রেস হল ফ্রী ও ওপেনসোর্স ব্লগিং টুল এবং একটি শক্তিশালী কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম যা পিএইচপি এবং মাইএসকিউএল এর উপর ভিত্তি করে তৈরিকৃত।

আরো দেখুন:ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভলপমেন্টের বর্তমান চাহিদা

দিন পাল্টাইছে, পাল্টাইছে ওয়ার্ডপ্রেস; পালটাইতে পালটাইতে ওয়ার্ডপ্রেস এখন মহিরুহ। টাইমস এর হিসাব মতে এখন সারা দুনিয়ায় প্রায় ৫৩ ভাগ ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে বানানো। কারন এইটা দিয়ে সাইট বানাইতে কোন কোডিং জানা লাগে না, মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে যেভাবে লেখা যায়, ওয়ার্ডপ্রেসেও একইভাবে লেখা যায়, এর উপর আছে হাজার ধরনের প্লাগিন্স; যেইটা দিয়ে আপনি আপনার ওয়েবসাইট সাজাইতে পারবেন মনের মত। আর ওয়ার্ডপ্রেস এর সবচেয়ে অসাধারণ দিক হইল এইটা পুরা ফ্রী। এক টাকাও কেউ চাইব না আপনের কাছে কোন দিন।

ওয়ার্ডপ্রেসের জনক-

গল্পটা ২০০২ সালের। ছবিভিত্তিক একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন ম্যাট। এ জন্য একটি ব্লগসাইট তৈরি করা প্রয়োজন। এটি করতে তিনি ব্যবহার করে বি-টু ক্যাফেলগ ব্লগিং সফটওয়্যার। সমস্যা হলো সফটওয়্যারটিতে প্রয়োজনীয় সব ফিচার খুঁজে পেলেন না। তখন ভাবলেন এটি নিয়ে কাজ করা জরুরী। সেজন্য কয়েক মাস এ সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করতে থাকলেন। তখনই নিজস্ব কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম তৈরির কথা তার মাথায় আসে। বি-টু কোড থেকেই তিনি তৈরি করলেন নতুন ব্লগিং সিএমএস ‘ওয়ার্ডপ্রেস’। কাজ করার সময় তিনি সঙ্গে পেলেন বি-টু এর মূল ডেভেলপার মাইকেল ভাদরিঘিকে।কিন্তু ম্যাট মুলেনওয়েগের হাত ধরে ওয়ার্ডপ্রেস উঠে এসেছে সবার প্রয়োজনের তালিকায়। তার মূল পরিচয় হলো, ওপেনসোর্স সিএমএস ওয়ার্ডপ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা। বিশ্বের বাঘা বাঘা অনেক ওয়েবসাইটও চলে তার প্রতিষ্ঠিত সিএমএসটিতে। ওয়েব প্রযুক্তিতে তার অবদানের জন্য ইন্টারনেটে তাকে শীর্ষ ২৫ প্রভাবশালী ব্যক্তির একজন মনে করা হয়।

আরো দেখুন:ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট শেখার আগে আপনাকে জানতে হবে-

 

ওয়ার্ডপ্রেস এর প্রকারভেদ –

. wordpress.com

wordpress.com এ সাবডোমেইন আপনি ফ্রী পাবেন, ২ জিবির মত হোস্টিং পাবেন, আর পাবেন ওয়ার্ডপ্রেস এর নির্দিষ্ট করে দেয়া কয়েকটা ডিজাইন, যেগুলার নাম ‘ওয়ার্ডপ্রেস থিম’; আপনি যেভাবে নরমাল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলছেন ঠিক সেইভাবে নরমালি আপনি wordpress.com এ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন আর ধুমায় ব্লগিং করতে পারেন। তবে এর সমস্যাও আছে, wordpress.com এ খোলা সাইট বা ব্লগে আপনি কোন ধরনের চেঞ্জ করতে পারবেন না, প্লাস আপনাকে যেই ওয়েবসাইট ঠিকানা দেওয়া হবে সেইটা হবে এইরকম – rifat.wordpress.com

. wordpress.org

আরো দেখুন:ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভলপমেন্ট- পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন

 এখন ধরা যাক আপনের উপরের অ্যাড্রেস টা (rifat.wordpress.com) পছন্দ হয়নি। আপনি বানাতে চান www.rifat.com সেই ক্ষেত্রে আপনার ইউজ করতে হবে wordpress.org; এইটা করার জন্য রেজিস্ট্রেশন এর কোন বালা মুসিবত নাই; জাস্ট একটা ডোমেইন আর একটা হোস্টিং লাগবে। আমাদের এই কোর্সে wordpress.org দিয়ে কিভাবে ওয়েবসাইট বানানো যায় সেইটাই শিখব। আমরা এই পুরা টিউটোরিয়ালে একটা পেইড ডোমেইন এবং হোস্টিং ইউজ করব। আপনারা চাইলে বা আপনাদের থাকলে আপনারাও পেইড ডোমেইন হোস্টিং প্র্যাকটিসের জন্য ইউজ করতে পারেন, বা অনেক ফ্রী হোস্টিং এবং ডোমেইন কোম্পানি আছে যারা ফ্রী তে আপনাদের ডোমেইন হোস্টিং দিবে, সেইটাও ইউজ করতে পারেন।

ওয়ার্ডপ্রেসের সাফল্যের চাবি-

ওয়ার্ডপ্রেস এর সাফল্যের মুল চাবি হল এর আধুনিকায়ন। যুগের সাথে তাল মিলাতে ওয়ার্ডপ্রেস পায় প্রতি বছরই ওয়ার্ডপ্রেসের বড় ধরনের আপডেট নিয়ে আসে। তাছাড়া প্রতিনিয়তই ছোট ছোট আপডেট নিয়ে আসে ওয়ার্ডপ্রেস। যা এর ব্যবহারকারীদেরকে দেয় নতুনত্তের ছোঁয়া।

আরো দেখুন:ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে টাকা আয় করার পদ্ধতিসমুহ

ওয়ার্ডপ্রেসের সুবিধা-

ওপেন সোর্স হওয়ার কারণে নিজের মতো করে পুরো সিস্টেমটিকে কাস্টোমাইজ করে নেওয়ার সুযোগও আছে এতে।পছন্দমত হোস্টিংয়ে যুক্ত করে ওয়েবসাইট তৈরির জন্য ওয়ার্ডপ্রেস উন্মুক্ত। বিপুল সংখ্যক ফ্রি ও প্রিমিয়াম থিম এবং প্লাগিন থাকায় অল্প সময়ে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠে ওয়ার্ডপ্রেস। ওয়ার্ডপ্রেসের রয়েছে সহজ এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস, যা অদক্ষ ব্যবহারকারীও খুব সহজেই এটা ব্যবহার করতে পারে।ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার ওয়েবসাইটটিকে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ সাইটের সাথে যুক্ত করতে পারবেন। এতে বিশ্বের সাথে আপনার ওয়েবসাইটটি পরিচিত হবে।

প্রতি চারটি ওয়েবসাইটের একটিই তৈরি ওয়ার্ডপ্রেসে-

কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ওয়ার্ডপ্রেসের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে অনলাইন দুনিয়ার ২৫ শতাংশ ওয়েবসাইটই তৈরি ওয়ার্ডপ্রেসে। অর্থাৎ প্রতি চারটি ওয়েবসাইটের একটিই ওয়ার্ডপ্রেসে তৈরি। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ডব্লিউথ্রিটেকস। বিশ্বের প্রথম সারির ১০,০০,০০০টি ওয়েবসাইটের ১২% ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি।ডব্লিউথ্রিটেকসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে ওয়ার্ডপ্রেসের পাশাপাশি জুমলায় চলছে ২.৮ শতাংশ এবং দ্রুপালে তৈরি ওয়েবসাইট আছে ২.১ শতাংশ। এছাড়া ম্যাজেন্টো ও ব্লগারে তৈরি ওয়েবসাইট আছে ১.২ শতাংশ করে। সে হিসেবে প্রায় ৫৭ শতাংশ ওয়েবসাইট কোন সিএমএস ছাড়াই বানানো। আর এই বিপুল সংখ্যক ওয়েবসাইট নিয়েই আশাবাদি ওয়ার্ডপ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা ম্যাট মুলেনওয়েগ।

ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার হতে হলে কি জানতে হবে-

ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট শুরু করা বা শেখার আগে থেকেই কিছু কাজ আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে।

আরো দেখুন:ওয়ার্ডপ্রেস এর ভবিষ্যৎ কি?

  •  এইচটিএমএল।
  •  সিএসএস।
  • জাভাস্ক্রিপ্ট।
  • জেকুয়েরি।
  • বুটস্ট্র্যাপ।
  • পিএসডি টু এইচটিএমএল।
  • বেসিক পিএইচপি।
  • ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটলেশন।

কোথায় শিখবেন ওয়ার্ডপ্রেস-

বর্তমানে ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভলপমেন্ট শেখায় এরকম অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেখান থেকে আপনি থিম ডেভলপমেন্ট কোর্সটি করতে পারেন। তবে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সব ট্রেইনিং সেন্টার সঠিকভাবে টিকে থাকতে পারছে না। এক্ষেত্রে আপনি ইশিখন থেকে ঘরে বসে অনলাইনে লাইভ ক্লাসের মাধ্যমে থিম ডেভলপমেন্ট কোর্সটি করলে উপকৃত হবেন। কারণ- ইশিখনে রয়েছে দীর্ঘদিন বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস অথবা কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে এমন কিছু প্রফেশনাল ট্রেইনার। ইশিখন থেকে কোর্স করলে যারা হবে আপনার ট্রেইনার। এছাড়াও ইশিখন থেকে কোর্স করলে আপনি কোর্স সম্পর্কিত অন্যান্য সকল সুবিধাসমূহ পাবেন।

আরো দেখুন:ওয়ার্ডপ্রেস পরিচিতি

ইশিখনে ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট এর বিশেষ সুবিধা-

  • লাইভ ক্লাস মিস করলে পরের দিন কোর্সের ভেতর উক্ত ক্লাসের ভিডিও রেকর্ডিং ও আলোচিত ফাইল সমুহ পাবেন।
  • লাইভ ক্লাসের সম্পূর্ণ ফ্রি ভিডিও কোর্স, ( শুধুমাত্র এই ভিডিও কোর্সই অনেক প্রতিষ্ঠান হাজার হাজার টাকায় বিক্রি করে।)
  • প্রতিটি ক্লাস শেষে এসাইনমেন্ট জমা দেওয়া। (প্রতিটি এসাইনমেন্ট এর জন্য ১০ মার্ক)
  • প্রতিটি ক্লাসের লাইভ ক্লাসের পাশাপাশি প্রাকটিজ ফাইল পাবেন এবং কনটেন্ট পাবেন।
  • প্রতিটি ক্লাসের প্রথম ১৫ মিনিট আগের ক্লাসের সমস্যাগুলো সমাধান হবে, পরের ১ ঘন্টা মুল ক্লাস শেষ ১৫ মিনিট প্রশ্নোত্তর পর্ব প্রতিটি
  • ক্লাসের শেষে ১০ নাম্বারের মডেল টেস্ট। এই মডেল টেস্ট মার্ক এবং এসাইমেন্ট মার্ক ও নিয়মিত উপস্থিতির উপর ভিত্তি করেই পরবর্তীতে আপনার সার্টিফিকেট এর মান নির্ধারণ হবে।
  • কোর্স শেষে সার্টিফিকেট
  • লাইভ ক্লাস সমুহের ডিভিডি

আরো দেখুন:ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন কি?

কারা শিখতে পারবেন ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট-

  • যারা ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চান।
  • অনলাইন উদ্যোক্তা বা আইটি স্পেশালিস্ট হতে চান।
  • যাদের কোডিং এ আগ্রহ রয়েছে।
  • যারা পড়াশুনার পাশাপাশি পার্টটাইম কিছু করে পড়াশুনা চালিয়ে নিতে চান।

আরো দেখুন:ওয়ার্ডপ্রেস থিম কি?

আরো দেখুন:ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন

আরো দেখুন:কোথা থেকে শিখবেন ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভলপমেন্ট

আরো দেখুন:ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভলপমেন্টের বর্তমান চাহিদা

আরো দেখুন:ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট শেখার আগে আপনাকে জানতে হবে-

আরো দেখুন:ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভলপমেন্ট- পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন

আরো দেখুন:ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে টাকা আয় করার পদ্ধতিসমুহ

আরো দেখুন:ওয়ার্ডপ্রেস এর ভবিষ্যৎ কি?

আরো দেখুন:ওয়ার্ডপ্রেস পরিচিতি

আরো দেখুন:ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন কি?

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline