
জিপিএ থেকে নাম্বার/মার্কস গণনা : বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা
একটি সুন্দর সফল শিক্ষা জীবনের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ও কঠিন ধাপটি হল বিশ্ববিদ্যালয় জীবন । আপনার বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে ঠিক করে দেবে আপনি পরবর্তী জীবনে কোন পথে এগুবেন । আর তাই ভাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে লাগে ভর্তির জন্য মোটামুটি এক যুদ্ধ । আর এই যুদ্ধে যাতে আপনি সঠিক ভাবে উত্তীর্ণ হতে পারেন তার জন্যই ইশিখন.কম আপনাদের সাথে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্ষেত্রে একজন ভর্তিছুকে মোট ২০০ মার্কসের পরীক্ষার ভিতর দিয়ে যেতে হয় যার মধ্যে ১২০ নাম্বার থাকে ভর্তি পরীক্ষার আর বাকি ৮০ নাম্বার থাকে তার এস এস সি ও এইচ এস সি পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে । চতুর্থ বিষয় বাদে প্রাপ্ত এইচ এস সির নাম্বার কে ১০ দ্বারা গুন করে আর এস এস সি পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় বাদে প্রাপ্ত নাম্বার কে ৬ দ্বারা গুন করে এই নম্বর আপনি হিসাব করতে পারেন । ধরুন আপনি এইচ এস সি পরীক্ষায় পেয়েছেন ( চতুর্থ বিষয় বাদে ) জিপিএ ৪.৬০ আর এস এস সি তে ৪.৭৫ । তাহলে আপনার এই ৮০ নাম্বার এর ভিতর স্কোর দাঁড়াবে –
এইচ এস সি —- ৪.৬০ *১০ = ৪৬ এস এস সি —– ৪.৭৫ *০৬ =২৮.৫
– মোট স্কোর = ৭৪.৫
উপরোক্ত পদ্ধতিতে হিসাব করে বের কর আপনার স্কোর
এই ৮০ নম্বরে প্রাপ্ত নাম্বার আপনার অবজেক্টিভ পরীক্ষায় ১২০ এ প্রাপ্ত নাম্বারের সাথে যোগ করে নির্ধারণ করা হবে আপনার মেধাক্রম । অতএব এই বিষয় স্পষ্ট যে এইচ এস সি এবং এস এস সি পরীক্ষায় ভাল নম্বর আপনাকে মুল পরীক্ষায় যাওয়ার আগে ভাল অবস্থান করে দিতে পারে।
অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ বিষয় ব্যতিত এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকি জিপিএকে ৮ দিয়ে এবং এইচএসসি(HSC) বা উচ্চ মাধ্যমিক এর জিপিএ কে ১২ দিয়ে গুণ করে মোট হিসেব করা হয়, যেমন: কেউ যদি এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকিতে ৪.৫ এবং এইচএসসি(HSC) বা উচ্চ মাধ্যমিকতে ৪.৮ পায় তবে তার এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকি থেকে 4.5×8=36 এবং 4.5×12=54, হিসেব করো মোট 36+54=90 নাম্বার যুক্ত হবে।
অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে টোটাল জিপিএ হিসেব না করে বিষয়ভিত্তিক জিপিএ হিসেব করা হয়, এক্ষেত্রে এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকি এর চতুর্থ বিষয় ব্যতিত ৮ সাবজেক্ট এর জিপিএ কে ৫ দিয়ে এবং এইচ.এস.সি এর ৫ সাবজেক্ট এর জিপিএ কে ৮ দিয়ে গুণ করা হয়। এইভাবে নিয়ম অনুসরণ করে জিপিএ থেকে মার্কস দেওয়া হয়।
শাহজালালে ৭০ নাম্বারের লিখিত এবং ৩০ নাম্বার এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকির জিপিএকে ৩ ও এইচএসসি(HSC) বা উচ্চ মাধ্যমিক এর জিপিএকে ৩ দ্বারা গুণ করে ৩০ নাম্বার যুক্ত করা হয়।