শর্ত উপেক্ষা করে ভর্তি নিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আল-ফিক্হ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ভর্তি সাক্ষাৎকার স্থগিত করে দিয়েছে প্রশাসন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ বিভাগে মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ভর্তি হলেও এবছর আরবীতে দক্ষতা শর্ত দিয়ে যে কোন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি। এনিয়ে এ বিভাগের ভর্তি কার্যক্রমে ব্যাপক জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
বুধাবার (১৭ জানুয়ারি) ২য় অপেক্ষমান মেধা তালিকায় স্থান প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তি সাক্ষাৎকার ডাকা হয়। বেলা ১১টায় আইন ও শরীয়াহ অনুষদের ডিন অফিসে ভর্তি সাক্ষাৎকার হওয়ার কথা ছিল। শিক্ষার্থীরা সাক্ষাৎকারের জন্য উপস্থিত ছিল থাকলেও বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তাদের অনিবার্য কারণবশত সাক্ষাৎকার স্থগিত করা হয়েছে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
এরফলে চরম বিপাকে পড়ে দেশের দূর দুরন্ত থেকে সাক্ষাৎকার দিতে আসা শিক্ষার্থীরা। ভর্তি সাক্ষাৎকার দিতে এসে এধরনের বিড়ম্বনায় পড়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও শরীয়াহ অনুষদের অন্তর্ভূক্ত আইন বিভাগ, আল-ফিক্হ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগ ও আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের মেধা তালিকায় ভর্তি সাক্ষাৎকার গত বছরের ১২ ডিসেম্বর শুরু হয়। সেসময় শর্ত অনুযায়ী আইন এবং আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। এবছর প্রশাসন আল-ফিক্হ বিভাগে ভর্তি হতে আরবীতে দক্ষতা থাকার শর্ত দেয়। তবে শর্ত উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সাক্ষাৎকার বন্ধ করে দেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরবীতে দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য একটি কমিটি গঠন করে দেয়। তারা মেধা তালিকা থেকে আরবীতে দক্ষতা যাচাই করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি অনুমতি দেয়। এরপর ১ম অপেক্ষমান মেধা তালিকা থেকে শর্ত অনুযায়ী ভর্তি করে।
আল-ফিক্হ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি ড.এ.কে.মুহাঃ নুরুল ইসলাম বলেন,“ কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারীর মৌখিকভাবে ভর্তি সাক্ষাৎকার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলে আমরা শিক্ষার্থীদের তা জানিয়ে দিই।
ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন,‘আরবী জ্ঞান কিভাবে নিরূপন হচ্ছে তা নিয়ে আমার কাছে অনেকে অনেক কথা বলছিল। ঠিকমত হচ্ছে না বা কেউ উপরে মেধা তালিকায় থাকা সত্বেও বিভাগ পাচ্ছে না এমন হচ্ছিল বলে শুনেছি। এজন্য কমিটির সাথে কথা বলার জন্য আপাতত ভর্তি সাক্ষাৎকার বন্ধ করে দিয়েছি। সেখানে আরবীতে লিখতে পারা বলতে পারা নাকি শুধু মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হচ্ছে? যেখানে লিগ্যাল স্টাডিজের কথা বলা হচ্ছে সেখানে একমুখী শিক্ষার্থী ভর্তি হতে না পরে।
আরো পড়ুন:
0 responses on "ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-ফিক্হ বিভাগের ভর্তি সাক্ষাৎকার স্থগিত"