আমার পরিচয় – শব্দার্থ ও টীকা

এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকির সকল অধ্যায় দেখতে এখানে যাও

শব্দার্থ ও

টীকা : আলপথ – জমির সীমানার পথ। এখানে হাজার বছর ধরে বাঙালি জাতির পথ চলার কথা বলা হয়েছে; চর্যাপদ – বাংলা ভাষা ও সাহিত্য-ঐতিহে্যর প্রথম নিদর্শন। হরপ্রসাদ শা স্ত্রী নেপাল থেকে চর্যাপদের পা-ুলিপি উদ্ধার করেন। ছয়শত শতাব্দী থেকে এগারশ শতকের মধ্যে পদগুলো রচিত হয়েছে। এই পদগুলোর মধ্যে প্রাচীন বাংলার অতি সাধারণ মানুষের প্রাণময় জীবন চিত্র ফুটে উঠেছে; সওদাগরের ডিঙার বহর – মঙ্গলকাবে্য চাঁদ সওদাগরের বাণিজে্যর কথা আছে। কবি আমাদের ব্যবসা-বাণিজে্যর ঐতিহ্য বোঝাতে এই লোককাহিনীর আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। কৈবর্ত বিদ্রোহ – আনুমানিক ১০০-৭৫ খ্রিষ্টাব্দে মহীপালের বিরুদ্ধে অনন্ত-সামন্ত-চক্ষ মিলিত হয়ে যে বিদ্রোহ করেন তা-ই আমাদের ইতিহাসে কৈবর্ত বিদ্রোহ নামে খ্যাত। এই বিদ্রোহের নেতা ছিলেন কৈবর্ত সম্পধদায়ের লোক। তাঁর নাম দিব্য বা দিবে¦াক। বাঙালি জাতির বিদ্রোহের ঐতিহ্য বোঝাতে এই বিদ্রোহের উল্লেখ করা হয়েছে। পালযুগ – ৭৫০ খ্রিষ্টাব্দে গোপালের রাজ্য শাসনের মধ্য দিয়ে বঙ্গে পালযুগের সচনা হয়। তারপর চারশত বছর পাল বংশের রাজত্ব টিকে ছিল। এ সময় শিল্প-সাহিতে্যর অসামান্য বিকাশ সাধিত হয়। চিত্রকলায়ও এই সময়ের সমৃদ্ধি লক্ষযোগ্য। কবি আমাদের শিল্পের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য বোঝাতে পালযুগের চিত্রকলার উল্লেখ করেছেন। পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহার – বর্তমান নওগাঁ জেলার বদলগাছি থানায় পাহাড়পুর গ্রামে এই প্রাচীন বিহার অবস্থিত। ১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন। দ্বিতীয় পাল রাজা শ্রী ধর্মপালদেব (রাজত্বকাল ৭৭৭-৮১০ খ্রি.) এই বিশাল বিহার তৈরি করেছিলেন। একে সোমপুর বিহারও বলা হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিহারগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। কবি আমাদের প্রতœতাত্ত্বিক ঐতিহে্যর পরিচয় দিতে পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহারের উল্লেখ করেছেন। বরেন্দ্রভমে সোনামসজিদ – বরেন্দ্রভমে সোনামসজিদ বলতে চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলায় অবস্থিত ছোট সোনামসজিদকে বোঝানো হয়েছে। বড় সোনামসজিদ ভারতের গৌড়ে অবস্থিত। হোসেন শাহের (রাজত্বকাল ১৪৯ক্ত-১৫১৯ খ্রি.) আমলে এই মসজিদটি নির্মিত হয়। অসাধারণ শিল্পসৌন্দর্যমন্ডিত স্থাপত্যকর্ম হিসেবে সোনামসজিদ অন্যতম। কবি আমাদের মুসলিম ঐতিহে্যর সুমহান নিদর্শন দিয়ে এটি উল্লেখ করেছেন; দেউল – দেবালয়; সার্বভৌম বারোভঁইয়া – বাংলায় পাঠান র্ক্রানী বংশের রাজত্ব দুর্বল হয়ে পড়লে খুলনা, বরিশাল, সোনারগাঁও, ময়মনসিংহ ও শধীহট্টে স্বাধীন জমিদারদের উত্থান ঘটে। ১৫৭৫ সালে মোগল স¤ধাট আকবর বাংলা জয় করার পর এই স্বাধীন জমিদারগণ ঈসা খাঁর নেত…ত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোগল শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। ইতিহাসে এঁরাই বারোভঁইয়া নামে পরিচিত। এঁরা হলেন ঈশা খাঁ, চাঁদ রায়, কেদার রায়, প্রতাপাদিত্য, ল২ণ মাণিক্য প্রমুখ; কমলার দীঘি – মৈমনসিংহ গীতিকার একটি পালা; মহুয়ার পালা – মৈমনসিংহ গীতিকার একটি পালা; তিতুমীর – চব্বিশ পরগনা জেলার হায়দরপুর গ্রামে ১৭৮২ সালে মীর নিসার আলী ওরফে তিতুমীর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি অত্যাচারী ইংরেজী ও হিন্দু জমিদারদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছেন। ১৮ক্ত১ সালের ১৯শে নভেম্বর ইংরেজ বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে তিনি শহিদ হন। হাজী শরীয়ত – হাজী শরীয়তউল্লাহ (১৭৮১-১৮৪০ খ্রি.) মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার সামাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দীর্ঘকাল মক্কায় অবস্থান করে ইসলাম ধর্ম বিষয়ে অগাধ পান্ডিত্য অর্জন করেন। তিনি ধর্মকে আশ্রয় করে সকল কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। তাঁর এই আন্দোলনকে ফরায়েজি আন্দোলন বলে। এরপর তিনি আবদুল ওহাব নামক এক ধর্মসংস্কারকের মতাদর্শে বিশ্বাসী হয়ে ওহাবী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি সাধারণ মানুষকে ধর্মের প্রকৃত রপ ও তাদের অধিকার সম্র্পূকে সচেতন করার চেষ্টা করেছেন। তাছাড়া বিদেশি শাসন-শোষণ; জমিদার, জোতদার ও মহাজনদের অত্যাচার থেকে মানুষকে মুক্ত করার জন্য আন্দোলন করেন। ক্ষুদিরাম – ক্ষুদিরাম বসু (১৮৮৯-১৯০৮ খ্রি.) মেদিনীপুর জেলার মৌবনি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই বিধটিশ বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অত্যাচারী ম্যাজিস্টেধট কিংসফোর্ডকে হত্যা করতে গিয়ে ভুলবশত দুইজন ইংরেজ মহিলাকে হত্যা করেন। ১৯০৮ সালের ১১ই আগস্ট এই মহান বিপ−বীর ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয়। সর্য সেন- মাস্টার দা সর্য সেন (১৮৯ক্ত-১৯ক্ত৪ খ্রি.) চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানার নোয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। আজীবন
২ক্ত৮ মাধ্যমিক বাংলা সাহিত্য
তিনি বিধটিশদের বিরুদ্ধে সশ ̄¿ যুদ্ধে নিয়োজিত ছিলেন। ১৯ক্ত০ সালে তিনি চট্টগ্রামকে ইংরেজমুক্ত করে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। কিন্তু বেশিদিন তা রক্ষা করতে পারেন নি। ১৯ক্ত৪ সালের ১২ই জানুয়ারি তাঁর ফাঁসি হয়। জয়নুল- জয়নুল আবেদিন (১৯১৪-১৯৭৬ খ্রি.) কিশোরগঞ্জের কেন্দুয়া থানায় জন্মগ্রহণ করেন। ‘শিল্পাচার্য’ হিসেবে তিনি খ্যাত। দেশজ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পটভমিতে তাঁর বিপুল শিল্পকর্ম রচিত। দুর্ভিক্ষ তাড়িত জীবন ও জগতের ছবি এঁকে তিনি অসামান্য এক জীবন-ত…ষ্ণার পরিচয় দিয়েছেন। বাংলাদেশে শিল্পকলা আন্দোলনের তিনি পথিকৃত। অবন্্ঠাকুর – অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৭১-১৯৫১ খ্রি.) কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিখ্যাত চিত্রশিল্পী। তবে শিশুসাহিতি্যক হিসেবেও তিনি অসাধারণ প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন। রাষ্টধভাষার লাল রাজপথ – ১৯৫২ সালে রাষ্টধভাষা বাংলার অধিকারের জন্য এদেশের মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে ঢাকার রাজপথ। আর সেই রাষ্টধভাষা আন্দোলনের সাফলে্যর পথ ধরেই সচিত হয় স্বাধীনতা আন্দোলন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (১৯২০-১৯৭৫ খ্রি.) ফরিদপুর জেলার (বর্তমান গোপালগঞ্জ) টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাঙালি জাতির তিনি অবিসংবাদিত নেতা, জাতির পিতা। তাঁর বিস্ময়কর প্রতিভাদীপ্ত নেত…ত্বে দীর্ঘ সংগ্রামের পথ অতিক্ষম করে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতাযুদ্ধে জয়লাভ করে। তিনি আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক, মুক্তির প্রতীক, সমৃদ্ধির প্রতীক। জয়বাংলা – মুক্তিযুদ্ধের সময়ে জাতীয় ে ̄−াগান হিসেবে অসাধারণ এক প্রেরণা সঞ্চারী শব্দমালা। এই ে ̄−াগান ঐক্য ও সংহতির প্রতীক।

এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকির সকল মডেল টেস্ট কুইজ দেখতে এখানে যাও

এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকির অধ্যায়ভিত্তিক অনুশীলন করতে এখানে যাও

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline