অগ্রণী ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) পদে নিয়োগের পরীক্ষায় ডিজিটাল ডিভাইসসহ পাঁচ পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। শনিবার (২০শে জানুয়ারি) বিকেলে এই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন কেন্দ্রে অগ্রণী ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) পদে মোট ৬ হাজার ১২৮ জন প্রার্থী অংশ নেন। এ সময় তিতুমীর কলেজ কেন্দ্র থেকে ২ জন ও তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্র থেকে ৩ জনসহ মোট ৫ জনকে ডিজিটাল ডিভাইসসহ হাতেনাতে ধরা হয়।
পরে ওই পাঁচজনকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যসচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মোশাররফ হোসেন খান জানান।
তিনি বলেন, ‘অনেক কড়াকড়ি করে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল। তারপরও কৌশলে তিতুমীর কলেজ কেন্দ্র থেকে দুইজন এবং তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্র থেকে তিনজনকে ডিজিটাল ডিভাইসসহ ধরা হয়েছে।’ এই পাঁচজন পরীক্ষা কেন্দ্রে নিজেদের আসনে বসে ওই ডিভাইসের মাধ্যমে বাইরের কারও কাছে প্রশ্ন পাঠিয়ে তার কাছ থেকে উত্তর জেনে নিয়ে পরীক্ষার খাতায় লিখছিল বলে তিনি জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ এই নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজনে ছিল বলে জানান মোশাররফ হোসেন খান। অগ্রণী ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) পদে রাজধানীর বিভিন্ন কেন্দ্রে মোট ছয় হাজার ১২৮ জন প্রার্থী অংশ নেয়।
ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষায় জালিয়াতির ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। গত ২০ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে এ ধরনের ডিভাইসসহ ছাত্রলীগের এক কেন্দ্রীয় নেতাসহ দুজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই জালিয়াত চক্রের বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।তাদের থেকে ‘ডিজিটাল’ জালিয়াতির সুবিধা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া ১২ জনের ছাত্রত্ব বাতিলের সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদ।
আরো পড়ুন: