হাইড্রোজেনের দুটি সমস্থানিক হল-[i] 1H2 (ডয়টেরিয়াম), [ii] 1H3 ( ট্রাইটিয়াম ) ।
পরমাণুটির ইলেকট্রন সংখ্যা = 6 -টি অর্থাৎ প্রোটন সংখ্যা = 6 -টি নিউট্রন সংখ্যা = 8 -টি সুতরাং, পরমাণুর ভর সংখ্যা = প্রোটন সংখ্যা + নিউট্রন সংখ্যা = (6 + 8) = 14 ।
পরমাণুতে সবচেয়ে ভারী কণা নিউট্রন এবং সবচেয়ে হালকা কণা ইলেকট্রন ।
কোনো পরমাণুতে উপস্থিত নিউট্রন ও প্রোটনের মোট সংখ্যাকে ভর সংখ্যা বলে ।
মৌলটির পারমাণবিক সংখ্যা 11 হলে ইলেকট্রন সংখ্যা হবে = 11 ।মৌলটির পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস হবে K2L8M1 । সুতরাং মৌলটির পরমাণুর M কক্ষপথে 1 -টি ইলেকট্রন থাকবে ।
কোনো পরমাণুতে কেন্দ্রকীয় কণাগুলিকে একত্রে ধরে রেখেছে নিউক্লিয় বল ।
S.I.এককে ইলেক্ট্রনের আধান = -1.602 x 10-19 কুলম্ব ।
পরমাণুর মৌলিক কণাগুলির মধ্যে নিউট্রন হল আধান-বিহীন কণা ।
পরমাণুর নিউক্লিয়াসের প্রোটিন ও নিউট্রন কণাগুলিকে এক সঙ্গে কেন্দ্রীয় কণা বা নিউক্লিয়ন বলে ।
M -কক্ষের জন্য মুখ্য কোয়ান্টাম সংখ্যা (n) = 3 । 2n2 সূত্রানুযায়ী M কক্ষে সর্বাধিক ইলেকট্রন সংখ্যা = 2.32 = 18 -টি থাকতে পারলেও এই পরমাণুর ক্ষেত্রে M কক্ষ সর্ববহিস্থ কক্ষ হওয়ার জন্য ওই কক্ষপথে সর্বোচ্চ 8 টি ইলেকট্রন থাকতে পারে ।
সাধারণ হাইড্রোজেন বা প্রোটিয়ামের (1H1) পরমাণু হল নিউট্রনবিহীন ।
সাধারণ হাইড্রোজেন ছাড়া অন্য সব মৌলের পরমাণু কেন্দ্রকে প্রোটিন ও নিউট্রন কণা থাকে । সাধারণ হাইড্রোজেনের পরমাণু কেন্দ্রক একটি মাত্র প্রোটিন কণা দ্বারা গঠিত – এর কেন্দ্রকে কোনো নিউট্রন কণা নেই ।
C.G.S.এককে ইলেক্ট্রনের তড়িতাধান = -4.8 x 10-10 esu ।
ক্যাটায়ান হল আয়ন (NH+4) এবং অ্যানায়ন হল নাইট্রেট আয়ন (NO-3) ।
পরমাণুর মধ্যে কোনটি সবচেয়ে ভারী কণা হল নিউট্রন ।
নিউট্রন নিস্তড়িৎ কণা । অতএব, নিউট্রনের আধানের পরিমাণ শূন্য ।
পারমাণবিক সংখ্যা ও ভর সংখ্যা সমান এমন একটি মৌল হল সাধারণ হাইড্রোজেন (1H1) ।
Na+, Cl-, Ca, 6C12 -এর মধ্যে 6C12 হল কার্বনের একটি নিউক্লিয়াইড ।
প্রত্যেক পরমাণুর নিউক্লিয়াসে যতগুলি প্রোটন থাকে, ঠিক ততগুলি ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসের বাইরে পরমাণুর বাকি অংশে সজ্জিত থাকে । পরমাণুর এই অংশকে ইলেকট্রন মহল বলে ।
প্রকৃতিতে যে সব মৌলের একটি মাত্র আইসোটন 100% বর্তমান থাকে সেইসব মৌলের ভর সংখ্যা ও পারমাণবিক গুরুত্ব একই হয় । যেমন : সোডিয়াম (11Na23), ফ্লুওরিন (9F19) ।
পরমাণু নিস্তড়িৎ । প্রত্যেক পরমাণুর কেন্দ্রকে মোট যতগুলি পজিটিভ তড়িত্গ্রস্থ প্রোটন থাকে , ঠিক ততগুলি নেগেটিভ তড়িত্গ্রস্থ ইলেকট্রন পরমাণু-কেন্দ্রকের বাইরে পরমাণুর বাকি অংশে সজ্জিত থাকে । এই ইলেকট্রনগুলিকে কেন্দ্রবহির্ভূত ইলেকট্রন বলে ।
K -এর পারমাণবিক সংখ্যা 19, সুতরাং K+ -এর ইলেকট্রন সংখ্যা = (19 – 1) = 18 ।
Cl -এর পারমাণবিক সংখ্যা 17, সুতরাং Cl -এর ইলেকট্রন সংখ্যা = 17 ।
Ar -এর পারমাণবিক সংখ্যা 18, সুতরাং Ar -এর ইলেকট্রন সংখ্যা = 18 ।
F -এর পারমাণবিক সংখ্যা 9, সুতরাং F- -এর ইলেকট্রন সংখ্যা = (9 + 1) = 10 ।
অতএব K+, Cl, Ar, F- -এর মধ্যে K+ ও Ar সম ইলেকট্রন যুক্ত ।
যখন কোনো পরমাণু ওর নিউক্লিয়াসের সবচেয়ে বাইরের কক্ষপথ থেকে এক বা একাধিক ইলেকট্রন বর্জন করে অথবা সবচেয়ে বাইরের কক্ষে এক বা একাধিক ইলেকট্রন গ্রহন করে তখন ওই পরমাণুটি আয়নে পরিনত হয় । যেমন : Na – e = Na+ (সোডিয়াম আয়ন) ; Cl + e = Cl- (ক্লোরাইড আয়ন ) ইত্যাদি ।
F-, O2- এবং Na+ আয়নগুলিতে প্রত্যেক ক্ষেত্রে 10 -টি করে ইলেকট্রন রয়েছে । সুতরাং এরা আইসোইলেক্ট্রনিক ।
পরমাণুর সবচেয়ে বাইরের কক্ষের যেসব ইলেকট্রন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশ নেয়, তাদের যোজ্যতা ইলেকট্রন বলে ।
পরমাণুর মৌলিকত্ব মৌলটির পারমাণবিক সংখ্যা বা পরমাণুক্রমাঙ্কের ওপর নির্ভর করে ।
কোনো মৌলের একটি পরমাণুর প্রকৃত ভরকে যে এককে প্রকাশ করা হয়, তাকে পারমাণবিক ভর একক (amu) বলে । 1 amu = 1.66 x 10-24 গ্রাম ।
নিউক্লিয়নগুলির মধ্যে যে আকর্ষণ বল ক্রিয়া করে পরমাণু কেন্দ্রকের মধ্যে ওদের দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ রাখে সেই বলকে নিউক্লিয় বল বলে ।
যে জলে ডয়টেরিয়াম সাধারণ হাইড্রোজেনকে প্রতিস্থাপিত করে, তাকে ভারী জল (D2O) বলে ।
এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।