(২২/০১/১৬) প্রথম আলোর সম্পাদকীয় পাতা থেকে

জঙ্গিবাদের উদ্বেগজনক বাস্তবতা।
The Agitating reality of militancy.
মোকাবিলার নতুন পথ ও চিন্তাভাবনা জরুরি।
Need new way and planning to combat.
রাষ্ট্রীয় সীমানার ঊর্ধ্বে ওঠা জঙ্গিবাদের বৈশ্বিক বিপদ বাংলাদেশে যথেষ্ট জোরেশোরেই নিশ্বাস ফেলছে।
The global panic of militancy is rearing its ugly head in Bangladesh too.
সাম্প্রতিক কিছু ধারাবাহিক ঘটনা ও তথ্য আমাদের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগজনক।
Some recent incidents and information are a matter of Serious concern.
সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের জঙ্গিদের যে তৎপরতার কথা সে দেশের সরকারের সূত্রে আনুষ্ঠানিকভাবে জানা গেল, তাতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় নতুন পথ খোঁজা ও চিন্তাভাবনা জরুরি হয়ে পড়েছে।
The Singapore government has revealed the activities of Bangladeshi militant there,thus it is essential to calls for new method and planning to confront militancy.
জঙ্গিবাদের সমস্যা শুধু আমাদের নয়।
Militancy is not just our problem.
সব দেশই এখন জঙ্গিদের যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে এবং যেকোনো দেশের জঙ্গিরা যেকোনো ভূখণ্ডে গিয়ে সহিংসতা ঘটাতে পারে।
All countries are now the battlefield for militants and the militant of any country can generate violence anywhere.
সম্প্রতি আমরা জেনেছি যে সিরিয়ায় মার্কিন বিমান হামলায় নিহত আইএসের প্রধান তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সাইফুল হক বাংলাদেশের নাগরিক।
We have known that Saiful Huq, the main IT expert of IS who was killed in an US airstrike in Syria, was a Bangladeshi.
২০১৪ সালেও তিনি বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন।
He visited Bangladesh in 2014.
স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে আইএসে যোগ দেওয়া সাইফুল তাঁর পরিবারের লোকজনকেও উদ্বুদ্ধ করেছেন আইএসে যোগ দিতে।
He joined IS along with his wife and children and also motivated his family to join IS.
বাংলাদেশ হয়ে লেনদেন হয়েছে আইএসের অর্থ।
IS funds were transacted through Bangladesh.
সিঙ্গাপুরের ঘটনায় প্রমাণিত হলো যে শুধু দেশের জঙ্গি তৎপরতার দিকে নজর দিলেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে, এটি এমন নয়।
The Singapore incident proved that it is not a matter of focusing activities of militancy at home only.
বাংলাদেশে সশস্ত্র জিহাদের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা বিদেশে বসেও হতে পারে।
Planing and preparation for armed jihad in Bangladesh can be decided at abroad.
সিঙ্গাপুর সরকার জানিয়েছে, গত বছরের শেষের দিকে তারা ২৭ জন বাংলাদেশিকে আটক করেছে।
The Singapore government said they detained 27 Bangladeshis last year.
এই বাংলাদেশিরা সংঘবদ্ধভাবে সশস্ত্র জিহাদ নিয়ে আলোচনা ও বাংলাদেশে তা কার্যকর করার কথা ভাবতেন।
These Bangladeshis would discuss organized armed jihad to be executed in Bangladesh.
এই অভিযুক্তদের ২৬ জনকেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ১৪ জন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আটক ও ১২ জন নজরদারির মধ্যে রয়েছেন।
Twenty-six of the accused have been sent back to Bangladesh, of whom 14 have been arrested under the anti-terrorism act and the other 12 are being kept under Surveillance.
জঙ্গিবাদের মতো বিপদ এককভাবে মোকাবিলা করা কোনো দেশের পক্ষেই অসম্ভব
It is impossible to tackle the danger of militancy for a single country alone.
আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহযোগিতা, গোয়েন্দা তৎপরতা, গোয়েন্দা তথ্য লেনদেনের বিষয়গুলোতে জোর দিতে হবে।
Stress must be placed on regional and international cooperation, intelligence activities and sharing of intelligence.
যুক্তরাজ্য থেকে ঢাকা হয়ে আইএসের অর্থ লেনদেনের ঘটনা প্রমাণ করে এই দিকটিতেও নজরদারি জোরালো করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
The transaction of funds from the UK through Dhaka indicates that this angle needs serious attention.
জঙ্গিবাদ নিয়ে রাখঢাক বা লুকোচুরির চেষ্টাও কাম্য নয়।
It is not expected to hush up the issue of militancy.
সিঙ্গাপুর থেকে মাস খানেক আগে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের পাঠানো হলেও সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি।
Though the Singapore government sent the suspected militants back to Bangladesh about a month ago,the Bangladesh government has been silent of the issue.
আমরা মনে করি, জনগণকে আস্থায় নিয়েই সরকারকে জঙ্গিবাদ মোকাবিলা করতে হবে।
We think the government should take the people into their confidence to confront the militancy.
এ ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টির এটিও জরুরি।
It is also important to create public awareness.