
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, শিক্ষাখাতের অনিয়মসহ দেশের ২৫টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি বন্ধে কাজ করবে দুদক।
সোমবার (৮ই জানুয়ারি) দুপুরে দুদক কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ বছরের পরিকল্পনার বিষয়ে দুদক বলেন, পাঁচ বছরের পরিকল্পনার দ্বিতীয় বছর চলছে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। ২০৩০ সালের মধ্যে জাপান, চীনসহ বিভিন্ন দেশে প্রায় ২৭ কোটি মানুষের জন্য শ্রমবাজার সৃষ্টি হবে। যার ১৮ শতাংশ শ্রমিক থাকবে বাংলাদেশে। সেই শ্রমিক দক্ষ হবে না, শিক্ষিত হবে তা বিবেচনা করে আমরা শিক্ষাখাতের অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধে কাজ করবো।
বড় বড় প্রজেক্টে দুর্নীতি বন্ধে সরকারের সহযোগিতা চেয়েও পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেন দুদক চেয়ারম্যান।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, বড় প্রজেক্টগুলোর দুর্নীতি বন্ধে আমরা সরকারের সহযোগিতা চেয়েছিলাম,কিন্তু পাইনি। কেবিনেটেও (মন্ত্রিসভা) এটি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু আমরা সহযোগিতা পাইনি। তবে আমি আশাহত নই। কেবল আলোচনা হয়েছে, আমরা সহযোগিতা পাবো।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের সিংহভাগ অর্থ ব্যয় হয় প্রকৌশল খাত হয়ে। এই খাতের টেন্ডার, ক্রয়-বিক্রয় যাতে না হয়,সরকারি অর্থের অপচয় যেন না হয় সেই বিষয় নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে সভা করবো।
ব্যাংকিং খাতের অনিয়ম ও কেলেঙ্কারির বিষয়ে প্রশ্ন করলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমার ধারণা ব্যাংকিং খাতের কেলেঙ্কারি কমছে। সুশাসন শুরু হয়েছে। কারণ গ্রোথ (প্রবৃদ্ধি) হয়েছে। ক্রেডিট ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যাংকের বোর্ডগুলো ভালো ভালো উদ্যোগ নিচ্ছে। তারা কাজ করছেন।
বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে অনিয়মের বিষয়ে তিনি বলেন, নিয়ম থাকলে অনিয়ম বের হবেই। যেখানে নিয়ম থাকে সেখানে কিছু অনিয়ম থাকেই।
বেসিক ব্যাংকের মামলা তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই বেসিক ব্যাংকের বিষয়ে মামলা হয়েছে। তবে চার্জশিট দেওয়ার ক্ষেত্রে এই রিপোর্টটি যথেষ্ট না। তবে এই রিপোর্টটি আমরা আমলে নিয়েছি। চার্জশিট কবে, কখন হবে তা তদন্ত কর্মকর্তারা বলতে পারবেন।
আরো পড়ুন: