পরীক্ষায় লিখতে গেলে হয়তো প্রচুর লেখা যায়। কিন্তু লিখলেই কী নম্বর আসে? কাক সারাদিন চিৎকার করলেই কিছু হয়না,কিন্তু কোকিল একটু ডাকলেই বসন্ত চলে আসে। অথচ দুটোই প্রাণি,আর দুটোই ডাকছে। কারো ডাকে বসন্ত আসে, আর কারো ডাকে মধুর ঘুম ভাঙ্গে বিরক্ত স্বরে।
আমরা কথায় কথায় বলি, “”যার কেউ নেই তার আল্লাহ আছে “”। আর আমি পরীক্ষার ক্ষেত্রে বলি, যেখানে লেখার কিছুই নেই সেখানে সংবিধান আছে। আপনি যে বিষয়েই লিখতে যান না কেন, ঐ বিষয় সম্পর্কে অবশ্যই সংবিধানে কোন না কোন অনুচ্ছেদে একটা লেখা আছেই। আর পরীক্ষায় সংবিধানের বিধান (অনুচ্ছেদের কথা বলছি) দিতে পারলেই নাম্বার কিন্তু উঁকি দিবে। তবে সাধু সাবধান! আমরা অনেকেই একটা ভুল করে ফেলি। অনেক ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্টস ও একটা জায়াগায় ভুল করে ফেলেন। সেটা হল আমরা লিখি সংবিধানের এত “”ধারায়”” বলা হয়েছে …..। একটু খেয়াল কর, সংবিধানে কিন্তু কোন ধারা নেই,যা আছে তা হল অনুচ্ছেদ। অতএব, কখনো লেখা যাবে না সংবিধানের ধারা, লিখতে হবে অনুচ্ছেদ। তবে আরো একটু সাবধান হওয়া চাই। মনেকর আপনি পরীক্ষায় লিখবেন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি নিয়ে। আপনি লেখা শুরু করলেন, “”সংবিধানের ৪(ক) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে……….।
এভাবে লেখাটাও শুদ্ধ নিয়মে পড়েনা। আপনাকে অবশ্যই লিখতে হবে এভাবে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৪(ক) অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে,……..।
যখনই সংবিধানের অনুচ্ছেদ উল্লেখ করবেন, মাথায় রাখবেন যেন সেটা ১০০% শুদ্ধ অনুচ্ছেদ হয়। সব ভুলের কিন্তু ক্ষমা নেই। সবচেয়ে ভালো হয় যদি ভাগ সহ উল্লেখ করতে পারেন। যেমন ধরুন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি নিয়ে লিখবেন। তাহলে এভাবে লিখুন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের প্রথম ভাগ (প্রজাতন্ত্র) এর ৪(ক) অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে…….। এভাবে লিখলে লেখাটা সর্বোচ্চ মানসম্মত হয়।
আগেই বলেছি যেখানে লেখার কিছু নেই সেখানে সেখানেই সংবিধান আছে। কিন্তু প্রমাণ তো লাগবে। আপনার হাতের কাছের সংবিধানটি হাতে নিন। তারপর দেখুন প্রায় অনেক বিষয় লেখার মত অনুচ্ছেদ সেখানে পাবেন। ইংরেজী রচনা, বাংলা রচনা, বাংলাদেশ বিষয়াবলী এসব জায়গায় সংবিধানের অনুচ্ছেদ তো সোনায় সোহাগা।
বাংলা,বাংলাদেশ বিষয়াবলী, ইংরেজী, গণিত ও বিজ্ঞানের সৃজনশীল অংশ এবং মোটিভেশনাল ২টি পোস্ট “”সফলতার পদচুম্বন “” ও “”চ্যালেঞ্জ! আপনিই সফল হবেন “” আমার এই লেখাগুলো নিয়ে আপনাদের একটা গঠনমুলক মুল্যায়ন আশা করছি। নিচে আমার একটা কমেন্ট দেয়া আছে,সে কমেন্টে আপনারা আপনাদের মতামত জানাবেন। সেখানে মতামত দিলে আমি পড়ার সুযোগ পাব।
শুভেচ্ছান্তেঃ সত্যজিৎ চক্রবর্ত্তী