মানুষের নেতিবাচক আবেগের প্রকাশ হচ্ছে রাগ। অনেক মানুষ এই রাগের কারণেই অনেক ভয়ংকর ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে। রাগের কারণে মানুষের হার্টের সমস্যা ,ইমিউন সিস্টেমে সমস্যা, বিপাক ক্রিয়ায় সমস্যা এবং হরমোন নিঃসরণ বাধাপ্রাপ্ত হয়। যার ফলে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ছন্দ পতন হয়।
রাগের কারণ

  •     যখন কেউ আপনার সাথে অন্যায় আচরণ করে যেটি আপনি আশা করেননি তখন আপনার রাগ হতে পারে।
  •     -যখন আপনার কোন কিছু হারিয়ে যায়, যেমন-টাকা,গাড়ি,প্রয়োজনীয় কোন কাগজ ইত্যাদি তখন রাগ হয়।
  •      -যখন সম্পর্ক ভেঙ্গে যায় বা গৌরব নষ্ট হয়, তখন রাগ হয়।
  •      -নিজের কোন জিনিষ না পাওয়ার জন্য যখন অন্যকে দোষারূপ করি তখন আমরা স্বার্থপর হয়ে যাই এবং রাগ প্রকাশ করি।
  •     -আমরা যখন মানসিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাই এবং উদ্বিগ্ন থাকি তখন কিছু শারীরিক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় যার ফলে আমাদের সহজাত এনার্জি ফ্লো বাঁধা প্রাপ্ত হয়।এর ফলে সামান্য কারণেও রেগে যাই।

আজ আসুন ক্ষতিকর রাগকে নিয়ন্ত্রণে রাখার কিছু কৌশল জেনে নিই
১। রাগের সময় শারিরিক অঙ্গভঙ্গির পরিবর্তনে রাগ কমে। সবচেয়ে সহজ হচ্ছে চোখের অবস্থার পরিবর্তন করা। রেগে গেলে সাধারণত মানুষ নিচের দিকে তাকিয়ে থাকে। তখন হঠাৎ করে উপরে তাকালে রাগ কমতে পারে। জীববিজ্ঞানের অনুসারে, রাগের সাথে শারীরিক অন্যান্য উত্তেজনার সম্পর্ক আছে। তাই রাগ আসলে নাচানাচি করলে,লাফালাফি করলে বা দৌড়ালে রাগ কমে যায়।
২। যখন অনেক বেশি হতাশা থেকে রাগ আসবে তখন অনেক জোড়ে হাসলে বা অনেক কাঁদলেও রাগ প্রশমিত হয়।
৩। যার সাথে আপনার সমস্যা হয়েছে, তাঁর সাথে কথা বলে সমস্যার সমাধান করে নিন।
৪। সেবামূলক কাজ করএর মাধ্যমে যে প্রশান্তি পাবেন তাতে রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে।
৫। সব সময় ইতিবাচক ভাবে চিন্তা কররাগ আসলে কোন হাসির ঘটনা মনে করার চেষ্টা কর, পুরোনো এ্যালবাম বের করে দেখুন, বন্ধুকে টেক্সট কর বা ফোনে কথা বলুন।
৬। বাহিরে কোথাও ঘুরে আসুন।এতে আপনার প্রতিদিনের টেনশন থেকে মুক্তি পাবেন  ও রিচার্জ হতে পারবেন।
৭। আপনার খুব প্রিয় কোন ছবি দেখতে দেখতে পছন্দের খাবার খান।
৮। ভবিষ্যতের সম্ভাবনার কথা ভাবুন তাহলে বর্তমানের সমস্যাকে মোকাবেলা করতে পারবেন।
৯। আপনার রাগের কারণ লিখে ফেলুন দেখবেন রাগ অনেকটা কমে যাবে।
১০। আপনার রাগের জন্য অন্য যে মানুষটি জড়িত তার ভূমিকা এবং আপনার ভুমিকা নিয়ে যার সাথে সমস্যা হয়েছে তাকে একটি চিঠি লিখুন।চিঠিটি তাকে দিতেও পারেন বা পুড়িয়েও ফেলতে পারেন।এতে সেই মানুষটি সম্পর্কে আপনার ধারণা পরিস্কার হবে।
১১। ক্ষমা করতে শিখুন, তাহলে রাগ অনেক কমে যাবে।
১২। দমের চর্চা করতে পারেন যেটি আপনাকে শান্ত হতে সাহায্য করবে।
সর্বোপরি আপনার রাগের কারণ চিহ্নিত করে তা সমাধানের চেষ্টা করবিশ্বাস করা যায় এবং ভালো পরামর্শ দিতে পারেন এমন কারো সাথে কথা বলে রাগ উপশমের উপায় বের কর

মন্তব্য করুন

Need Help? Send a WhatsApp message now

Click one of our representatives below

Jannatul Ferdous
Jannatul Ferdous

Course Counsellor

I am online

I am offline

Md. Shamim Sweet
Md. Shamim Sweet

Course Counsellor

I am online

I am offline

Mehedi Hasan
Mehedi Hasan

Technical Support

I am online

I am offline

Rezaul Hasan Sarker
Rezaul Hasan Sarker

Course Counsellor

I am online

I am offline

Ariful Islam Aquib
Ariful Islam Aquib

Course Counsellor

I am online

I am offline