বৈষ্ণব পদাবলী (মধ্যযুগের গীতিকবিতা)-

রাধা-কৃষ্ণের প্রেমলীলা অবলম্বনে এই অমর কবিতাবলির  সৃষ্টি।অর্থাৎ বৈষ্ণব পদাবলীতেও ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে’র মত বৈষব তত্ত্বের গুঢ় রহস্য কথা  আলোচিত হয়েছে। তবে ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্য  রাধা- কৃষ্ণকে নিয়ে বড়ু চণ্ডীদাস রচিত ১৩ খণ্ডে

বিভক্ত ৪১৮টি পদ সংবলিত বিশাল এক কাহিনি কাব্য। কিন্তু  বৈষ্ণব  পদাবলী(পদ=কবিতা,পদাবলী =কবিতাবলি) রাধা-কৃষ্ণকে নিয়ে রচিত বিভিন্ন  কবির কিছু খণ্ড কবিতা(স্বল্প দৈর্ঘের কবিতা)।

বৈষ্ণব পদাবলীতে রাধা- কৃষ্ণের মানবিক আবেদন ফুটে উঠেছে।

বৈষ্ণব পদাবলীর আদি কবি চণ্ডীদাস। তাঁর কয়েকটি বিখ্যাত উক্তি  – “সবার  উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।“ “সই, কেবা শুনাইল শ্যাম নাম?” “সই,  কেমনে ধরিব হিয়া,আমার বঁধুয়া আন বাড়ি যায়, আমার আঙিনা দিয়া।“

পদাবলীর আরেকজন বিখ্যাত কবি হলেন বিদ্যাপতি। তিনি মিথিলার রাজসভার  কবি ছিলেন।তিনি ব্রজবুলি(বাংলা+মৈথিলি) নামক এক কৃত্রিম  সাহিত্যিক ভাষায়  পদ রচনা করতেন। বাংলা ভাষায় না লিখেও তিনি বাংলা সাহিত্যের আলোচিত  কবি।

তাই  বিদ্যাপতিকে বৈষ্ণব পদাবলীর অবাঙালি কবি বলা হয়।

ব্রজভাষা মথুরার ভাষা।

বিদ্যাপতির উপাধি হল – মিথিলার কোকিল,কবি কণ্ঠহার, অভিনব জয়দেব।

বিদ্যাপতির উক্তি –   এ ভরা বাদর  মাহ ভাদর শূন্য মন্দির মোর।

পদাবলীর কবি জ্ঞানদাস ছিলেন চণ্ডীদাসের ভাবশিষ্য। তাঁর বিখ্যাত উক্তি –  “সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু অনলে পুড়িয়া গেল।“ “রূপ লাগি আঁখি ঝুরে গুণে মন  প্রতি অঙ্গ লাগি কান্দে প্রতি অঙ্গ মোর।”

বৈষ্ণব পদাবলীর একজন সংগ্রাহক হলেন – বাবা আউল মনোহর দাস।

এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline