কম্পিউটার সফটওয়্যারঃ

কম্পিউটার সফটওয়্যার হচ্ছে প্রোগ্রাম বা প্রোগ্রামের সমষ্টি যেটি কম্পিউটারের যন্ত্র বা যন্তাংশকে ব্যবহার উপযোগী করে তোলে।

কম্পিউটার সফটওয়্যার ২ প্রকার। যেমনঃ ১-সিস্টেম সফটওয়্যার (System Software) ২-এপ্লিকেশন সফটওয়্যার (Application Software).

১। সিস্টেম সফটওয়্যার (System Software): সিস্টেম সফটওয়্যার একটি কম্পিউটার সফটওয়্যার যেটার নকশা করা হয়েছে, কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার কে পরিচালনা করার জন্য

এবং এপ্লিকেশন সফটওয়্যারগুলোকে কাজ করার উপযোগী পরিবেশ প্রদানের জন্য।

সাধারন সিস্টেম সফটওয়্যারের প্রকারগুলো হল:

কম্পিউটারের বাইওস (BIOS) এবং ডিভাইস ফার্মওয়্যার ( firmware) যেটা হার্ডওয়্যার (আগে থেকে অর্ন্তভুক্ত বা পরে লাগানো) পরিচালনার এবং নিয়ন্ত্রনের সাধারণ কাজ করে থাকে।

অপারেটিং সিস্টেম যা কম্পিউটারের সকল অংশকে একত্রে কাজ করায়। যেমন ডেটা আদান প্রদান, আউটপুট তৈরী এবং প্রদর্শন। এটা উচ্চ-স্তরের সিস্টেম সফটওয়্যার চালানোর এবং এপ্লিকেশন সফটওয়্যার চালানোর একটি প্লাটফর্ম ও বটে। যেমনঃ Windows 98, Windows XP, Unix, Mac OS ইত্যাদি।
ইউটিলিটি সফটওয়্যার এটা কোন কিছু বিশ্লেষণ, বাছাই বা পছন্দ নির্ধারণ, তরান্বিতকরণ এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতা দেয়। যেমনঃ Anti-Virus, Disk Defragmentation ইত্যাদি।কিছু কিছু প্রকাশনায়, সিস্টেম সফটওয়্যারের ব্যাখ্যায় সফটওয়্যার উন্নয়নের টুলস যেমন কম্পাইলার, লিঙ্কার অথবা ডিভাগার ইত্যাদিকেও এর আওতায় ফেলা হয়েছে।

২।এপ্লিকেশন সফটওয়্যার (Application Software): এপ্লিকেশন সফটওয়্যার বা কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন বলতে বিশেষ ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রামকে বোঝায় যেটি মানুষকে কোন বিশেষ ধরনের কাজ সম্পাদনে সহায়তা করে। একটি কম্পিউটার সফটওয়্যার যেটা ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী এবং নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদনা (এক বা একাধিক) করতে ব্যবহারকারীকে সহায়তা করে থাকে। একে শুধু এপ্লিকেশন বা এপ (app) ডাকা হয়। কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন তাই অপারেটিং সিস্টেম, সিস্টেম ইউটিলিটি, প্রোগ্রামিং ভাষা, ইত্যাদির চেয়ে আলাদা।

অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম সাধারণত ব্যবহারকারীকে টেক্স্‌ট, সংখ্যা কিংবা ছবি নিয়ে বিভিন্ন কাজ করার সুযোগ দেয়। উদাহরণ হতে পারে একাউন্টিং সফটওয়্যার, অফিস সফটওয়্যার, গ্রাফিক্স সফটওয়্যার, বিভিন্ন মিডিয়া প্লেয়ার (ভিডিও এবং অডিও)-অনেকসময় অনেকগুলি অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার একত্র করে প্যাকেজ বা বান্ড্‌ল আকারে বিতরণ করা হয়। এগুলিকে সাধারণত অ্যাপ্লিকেশন সুইট (application suite) নামে ডাকা হয়। মাইক্রোসফট অফিস, ওপেনফিস.অর্গ, ইত্যাদি অ্যাপ্লিকেশন সুইটের উদাহরণ। একটি সুইটের বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনগুলির ব্যবহারকারী ইন্টারফেস বা দৃশ্যমান রূপ সাধারণত একই রকম হয়ে থাকে যাতে ব্যবহারকারী একই পরিবেশে কাজ করার অনুভূতি পান এবং প্রোগ্রামগুলির একটির তথ্য অপরটিতে সহজে স্থানান্তর ও ব্যবহারেরও ব্যবস্থা থাকে। যেমন কোন স্প্রেডশিট অ্যাপ্লিকেশনে প্রস্তুত করা একটি স্প্রেডশিট সহজেই একই অ্যাপ্লিকেশন সুইটের ওয়ার্ড প্রসেসর অ্যাপ্লিকেশনের ডকুমেন্টে “এমবেড” বা গ্রথিত করে দেয়া সম্ভব।

এপ্লিকেশন সফটওয়্যার যে কম্পিউটার প্লাটফর্মে ব্যবহার করে তার উপযোগী করে বানানো হয় যাতে সেটা প্লাটফর্মের সাথে সহজে কাজ করতে পারে। এর অন্য উদ্দেশ্য হল প্লাটফর্মের কাজ করার ক্ষমতা ব্যবহার করে অথবা ঐ প্লাটফর্মের সিস্টেম সফটওয়্যারের ক্ষমতা ব্যবহার করে একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সাধন করা। কিছু কিছু সফটওয়্যার বিভিন্ন প্লাটফর্মে ব্যবহার উপযোগী করে বানানো হয় যেমন মাইক্রোসফটের মাইক্রোসফট অফিস।

এপ্লিকেশন সফটওয়্যার ২ প্রকারঃ ১-প্যাকেজ প্রোগ্রাম ২-কাস্টমাইজ প্রোগ্রাম।

১-প্যাকেজ প্রোগ্রামঃ MS Word, MS Excel, Photoshop ইত্যাদি।

২-কাস্টমাইজ প্রোগ্রামঃ এটি ব্যবহারকারীর প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী তৈরি করা হয়।

প্রতিটি লেকচারে নতুন নতুন লিখা যুক্ত হচ্ছে, তাই কাঙ্খিত কোন লিখা না পেলে দয়া করে কিছুদিন পর আবার ভিজিট করে দেখবেন।

লিখাতে কিংবা লেকচারে কোন ভুলত্রুটি থাকলে অথবা আপনার কাঙ্খিত লিখা খুঁজে না পেলেইশিখন.কম এর ফ্যানপেইজ অথবা নিচে কমেন্ট কর

মন্তব্য করুন

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline