এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকির প্রশ্নপত্রে ভুল
Mistakes in SSC question papers
চলমান মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকি) পরীক্ষায় ঢাকা, যশোর, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বোর্ডের বিভিন্ন বিষয়ের প্রশ্নপত্রে ভুলের ছড়াছড়ির খবরে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার।
The concern of the students and guardians alike must be taken into cognizance, considering the profusion of mistakes appearing in the question papers of the ongoing secondary school certificate exams.
উদ্বিগ্ন পরীক্ষার্থীদের শঙ্কা, ভুলের কারণে তারা নম্বর কম পেতে পারে, কেউ কেউ ফেলও করতে পারে।
The students worry that they will not fare well in the exams because of these errors, some even fear failure.
এমন উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও যশোর বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকদের আশ্বাস হলো, প্রশ্নপত্রের ভুলের কারণে কোনো পরীক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
The controller of exams for the Dhaka, Chittagong and Jessore boards, where the mistakes appeared, assured the students that no one would be harmed by the blunders.
এই আশ্বাসও উদ্বেগের বিষয়। কারণ, ভুল প্রশ্নের উত্তর ভুল হলো, না সঠিক হলো, তা যাচাই করার যৌক্তিক উপায় থাকে না। যৌক্তিকভাবে ভুল প্রশ্নের সঠিক উত্তর হয় না।
But that is not reassuring because there is no accurate way to assess whether the wrong questions’ answers are wrong or right. Logically speaking, there can be no correct answer to an incorrect question.
অন্তত গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ইত্যাদি বিজ্ঞানের বিষয়ে ভুল প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের মেধা যাচাই করা অসম্ভব
A student’s merit cannot be assessed if the questions of the math, physics and other science exams are wrong.
বোর্ডগুলো যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, সব ভুল প্রশ্নের উত্তর সঠিক ধরে নিয়ে সব পরীক্ষার্থীকে নম্বর দেওয়া হবে; ‘পরীক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না’—এ আশ্বাসের মর্মকথা যদি এ-ই হয়, তাহলে মেধাবী পরীক্ষার্থীদের প্রতি অবিচার করা হবে।
f the boards decide to consider correct any answer given to the erroneous questions, this will be an injustice to the meritorious students.
প্রশ্ন হলো, পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ভুলের সংখ্যা এত বেশি কেন যে সে কারণে পরীক্ষার্থীদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার, এমনকি অকৃতকার্য হওয়ারও আশঙ্কা দেখা দেয়?
The question is, why were there so many mistakes in the question papers that would create fear of poor results, even failure?
যেমন যশোর বোর্ডের গণিতের মোট ৪০টি প্রশ্নের মধ্যে ভুল রয়েছে ১১টিতে!
Of the 40 math questions under Jessore Board, 11 questions were incorrect!
ভুলের হার ২৭ শতাংশ! এটা কীভাবে ঘটল? কারা তৈরি করেছেন এই প্রশ্নপত্র?
That is 27 percent wrong! How did this happen? Who drew up the question papers?
আরও বড় প্রশ্ন হচ্ছে, প্রশ্নপত্রে ভুলের ঘটনা তো এবারই প্রথম ঘটছে না।
This is not the first time that such blunders have been made in question papers.
বছরের পর বছর ধরে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ভুল নিয়ে পরীক্ষার্থীদের মানসিক ভোগান্তির ঘটনা ঘটে চলেছে।
Year after year the children suffer from worry over the wrong questions. Is there no solution to the problem?
এর কি কোনো প্রতিকার নেই? প্রশ্নপত্র যাঁরা তৈরি করেন, যাঁরা সেগুলো যাচাই করেন এবং অনুমোদন দেন, তাঁদের কি কোনো জবাবদিহি নেই?
Is there no solution to the problem? Are those who draw up the questions, select them and approve them, not accountable at all?
পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সম্পূর্ণভাবে নির্ভুল করতে হবে।
Exam question papers must be faultless.
ভুলের পুনরাবৃত্তি বন্ধ করতে হলে প্রশ্নপত্র তৈরির দায়িত্ব পালনকারীদের শতভাগ জবাবদিহি নিশ্চিত করা জরুরি।
Those in charge of drawing up the question papers must be fully accountable.
যাঁরা ভুল করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ অবশ্যই নিতে হবে।
And legal action must be taken against those who have slipped up in this task.
0 responses on "প্রথম আলোর সম্পাদকীয় (২৮-০২-১৬)"