প্রথম আলো সম্পাদকীয় (১১/০৪/২০১৬)

নতুন বিনিয়োগ বাড়ানোর বিকল্প নেই
No substitute to a fresh investment
কর্মসংস্থানের হতাশাব্যঞ্জক চিত্র
Gloomy picture of employment

==
১। বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে যখন নানা আশাবাদের কথা বলা হচ্ছে, তখন দুই বছরে মাত্র ছয়-লাখ লোকের কর্মসংস্থানের তথ্য হতাশাব্যঞ্জক।
While scores of optimistic thoughts have been expressed regarding economic condition of Bangladesh, employment of a mere 6 lacs in two years is unenthusiastic.
২। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব অনুযায়ী, গত ১৫ বছরের মধ্যে দেশে বেকারের সংখ্যা এখন সবচেয়ে বেশি।
According to a report of the BBS (Bangladesh Statistics Bureau), the current unemployment rate is exorbitant in 15 years.
৩। একটি বড় জনগোষ্ঠীকে বেকার রেখে দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করা ও অর্থনীতিকে একটি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর আকাঙ্ক্ষা পূরণ কি আদৌ সম্ভব?
Is it possible to ensure the development as well as to assemble a solid stand for the economy of a country by keeping a large number of her people unemployed?
৪। জরিপে দেশের শ্রম খাতের যে চিত্র পাওয়া গেছে, তাকে খুব স্বাভাবিক ও স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি বলা যাবে না।
The portrait of the job sector which is found in that statistics, cannot be called natural or easing.
৫। এখানে শিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি আর একদমই শিক্ষার সুযোগ পাননি—এমন জনগোষ্ঠীর মধ্যে কর্মসংস্থানের হার সবচেয়ে বেশি।
The unemployment rate is more among the educated and the rate of employment is a great deal among those who didn’t receive any education.
৬। এটা প্রমাণ করে যে বাংলাদেশের শ্রমবাজার মূলত অনানুষ্ঠানিক খাতের ওপর নির্ভরশীল।
It proves that, basically, the labour-market of Bangladesh is reliant on non-institutional sectors.
৭। আবার শিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের হার বেশি হওয়ায় বাধ্য হয়েই অনেকে নিজের যোগ্যতার তুলনায় নিম্ন উৎপাদনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন।
As the unemployment rate among the educated people is high, many of them are engaging themselves into lower-growing sectors which are lower than their status.
৮। এতে মেধার অপচয় ঘটছে।
Thus, brain-drain occurs.
৯। বোঝা যায়, দেশের শ্রমবাজার এখনো কাঠামোগতভাবে কোনো সংগঠিত রূপ নিতে পারেনি।
It is understandable that the job sector of the country is yet to receive organized shape.
১০। দেশের ৮৫ শতাংশ কর্মসংস্থানই অনানুষ্ঠানিক খাতে হওয়ায় অধিকাংশ শ্রমিকেরই অধিকার বা সুরক্ষা বলে কিছু নেই।
As 85% employments emerge from non-institutional sectors and most of the labours have no protection of rights.
১১। ফলে দেশের শ্রমবাজারে অনানুষ্ঠানিক খাতের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে এসব কর্মসংস্থানকেও শ্রম আইনের আওতায় আনার এটি বিবেচনায় নিতে হবে।
Taking the significance of non-structural job-market into cognizance, this sort of employment should be brought under labour law.
১২। শ্রমিকদের অধিকার ও সুরক্ষার এটি নিশ্চিত করতে হলে এর কোনো বিকল্প নেই।
As far as the right and protection of the labour’s are concerned, there’s no substitute to labour-law.
১৩। আর সামগ্রিকভাবে দেশের কর্মসংস্থানের যে হতাশাব্যঞ্জক চিত্র, তা দূর করার একমাত্র পথ হচ্ছে বেসরকারি খাতে নতুন বিনিয়োগ বাড়ানো।
The only way of to get rid of this gloomy picture of job-opportunity in the country, is to magnify investment in non-governmental sectors.
১৪। নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা কী সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন, তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই চিহ্নিত করতে হবে এবং সরকারকে বিনিয়োগবান্ধব নীতি-সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।
In fact, the troubles faced by the investors should be identified by discussing the issue with concerned personnel and the government has to apply venture friendly policy as well.
১৫। শিল্প স্থাপনের প্রক্রিয়াগুলোকে সহজ করতে হবে।
Not only that, the procedure of setting up of industries is supposed to be trouble-free.
১৬। বিনিয়োগকারী ও শিল্পোদ্যোক্তারা যাতে সহজে জমি ও যৌক্তিক দামে জ্বালানি পেতে পারেন, সেই সুযোগ ও পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে।
The opportunity and the ambiance ought to be created as the investors and the industry entrepreneurs can easily obtain land and get fuel at a reasonable price.